জাতীয় ক্রিকেট লিগে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিস ও রংপুর বিভাগ। তদন্তে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
Published : 26 Aug 2015, 10:02 PM
আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও চিঠি দেওয়া না হলেও এই দুই বিভাগকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আকরাম খান।
“তদন্ত করে ওই দুই বিভাগের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের সত্যতা পায়নি বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ। মৌখিক ভাবে এটা আমাকে জানানো হয়েছে। হয়ত ২-৩ দিনের মধ্যে চিঠিও দেওয়া হবে।”
গত জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যে ম্যাচটি পাতানো ছিল বলে অভিযোগ এনেছিল খুলনা বিভাগ। সেই ম্যাচে ১০২ রানে জিতে জাতীয় লিগের শিরোপা জিতে রংপুর।
টুর্নামেন্টে শিরোপার দৌড়ে ছিল খুলনাও। শেষ রাউন্ডের আগে খুলনা, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট ছিল ৯৬ করে। তৃতীয় দিন চট্টগ্রাম বিভাগকে ইনিংস ও ২৪ রানে হারানোয় খুলনার পয়েন্ট দাঁড়ায় ১২০। তাই শিরোপা জিততে রংপুরের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২৫ পয়েন্ট।
ম্যাচটি পাতানো ছিল দাবী করে গত ১৯ মার্চ বিসিবি টুর্নামেন্ট কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করে খুলনা বিভাগের কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ওই ম্যাচ নিয়ে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেশ কজন ক্রিকেটার।
নিজেদের দাবির পক্ষে ৩৫ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিলেন খুলনার কর্তারা, যেখানে ছিল ঢাকা মেট্রোর কোচ হান্নান সরকারের সঙ্গে কয়েকজন কর্মকতার কথোপকখন। তবে আকরাম খান জানালেন, ওই ক্লিপের সঙ্গে মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গতি ছিল না।
“তদন্তে নিশ্চয়ই ওই ক্লিপটি গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হয়েছে, কিন্তু প্রমাণ মেলে নি। আমাকে বলা হয়েছে, ওই ক্লিপের সঙ্গে মাঠের ক্রিকেটের মিল ছিল না। আর ওই ম্যাচের ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট আমি তখন দেখেছিলাম, সেখানে সন্দেহজনক কিছু লেখা ছিল না।”
বিসিবি দুর্নীতিবিরোধি নীতিমালা অনুয়ায়ী এই অভিযোগের তদন্ত করেছেন বিসিবির দূর্নীতিদমন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকতা আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদ।
এমন আলোচিত একটি ঘটনায় পুরোপুরিই দায়মুক্তি বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট আঙিনায়। তবে জাতীয় লিগের আরেকটি আসর দোড়গোড়ায় বলে তদন্ত কাজ শেষ হওয়ায় অন্তত স্বস্তি পাচ্ছেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান।
“তদন্তের ফল নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তদন্তে সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে নিশ্চয়ই। আরেকটি জাতীয় লিগ চলে এসেছে, এই ইস্যুর সমাধান হওয়া তাই আমাদের জন্য বড় একটা স্বস্তি।”
১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে জাতীয় লিগের আগামী আসর।