চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে ভারতকে।
Published : 04 Mar 2025, 06:59 PM
কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে পথ দেখালেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। পরে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস উপহার দিলেন অ্যালেক্স কেয়ারি। সঙ্গে বাকিদের টুকটাক অবদানে ভারতকে রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া।
দুবাইয়ে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমি-ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। চমৎকার বোলিংয়ে তাদেরকে ২৬৪ রানে গুটিয়ে দেয় ভারত।
তবে এই রানই ভারতের জন্য তাড়া করা কঠিন হতে পারে। কারণ আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যে নেই কোনো দলের।
আগের রেকর্ডটি অবশ্য ভারতেরই। আহমেদাবাদে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ২৬১ রানের লক্ষ্যে জিতেছিল তারা।
অস্ট্রেলিয়াকে লড়ার মতো পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ৭৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন স্মিথ। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে সাজান তার ৯৬ বলের ইনিংস। ৫৭ বলে ৬১ রান করতে ১ ছক্কা ও ৮ চার মারেন কেয়ারি।
ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, ৪৮ রানে। দুটি করে শিকার ধরেন ভারুন চক্রবর্তী ও রাভিন্দ্রা জাদেজা। একটি করে প্রাপ্তি হার্দিক পান্ডিয়া ও আকসার প্যাটেলের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে চেপে ধরেন শামি। ম্যাথু শর্ট ছিটকে পড়ায় সুযোগ পাওয়া কুপার কনোলিকে নাচিয়ে ছাড়েন ভারতীয় পেসার। তৃতীয় ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ব্যাটেই লাগাতে পারেননি কনোলি। শেষ বলে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় ভারত। ৯ বলে শূন্য রান করেন তরুণ ওপেনার।
শুরুতে অস্বস্তিতে ছিলেন ট্রাভিস হেড। প্রথম ১১ বলে ১ রান করেন তিনি। পরে পান্ডিয়াকে পরপর চার ও ছক্কা মেরে ডানা মেলে দেন তিনি। শামিকে টানা তিনটি চার মারেন বাঁহাতি ওপেনার।
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা হেডকে আক্রমণে এসেই থামান ভারুন। রহস্য স্পিনারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ছক্কার চেষ্টায় লং-অফে ধরা পড়েন হেড। ২ ছক্কা ও পাঁচটি চারে করেন ৩৯ রান।
৫৪ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন স্মিথ। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন মার্নাস লাবুশেন। জমে ওঠে তাদের জুটি। কিন্তু জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে শেষ হয় লাবুশেনের ২৯ রানের ইনিংস। ভাঙে ৫৬ রানের জুটি। জস ইংলিশকেও টিকতে দেননি জাদেজা।
পরে কেয়ারিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন স্মিথ। ৬৮ বলে ফিফটি করা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু শামির ফুলটসে বোল্ড হয়ে থামে তার ইনিংস।
পরের ওভারে আকসার প্যাটেলকে ছক্কা মারার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এক প্রান্ত ধরে রেখে দলের রান বাড়ান কেয়ারি। ৪৮ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন তিনি।
শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব ছিল তারই কাঁধে। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ারের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউটে কাটা পড়েন কেয়ারি। এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াও।
শেষের আগের ওভারে ন্যাথান এলিসের ক্যাচ নিয়ে দারুণ এক কীর্তি গড়েন ভিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের সফলতম ফিল্ডার বিশ্ব রেকর্ডের পথে আরেকটু এগিয়ে যান তিনি।
ওয়ানডেতে কোহলির ক্যাচ এখন ১৬১টি। ছাড়িয়ে যান সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ও দুর্দান্ত ফিল্ডার রিকি পন্টিংকে (১৬০)। এই সংস্করণে ফিল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে কোহলি। ২১৮ ক্যাচ নিয়ে সবার ওপরে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জায়াওয়ার্দেনে।