‘এক্স ফ্যাক্টর’ নয়, মুরাদকে ‘একই রকম’ থাকতে বলছেন হাথুরুসিংহে

প্রথমবার টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া তরুণ বাঁহাতি স্পিনারের জন্য সহজ বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ পথচলায় হাসান মুরাদের সামনে এখন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। প্রথমবার টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তরুণ এই বাঁহাতি স্পিনার। তার ওপর এখনই বাড়তি কোনো প্রত্যাশা চাপিয়ে দিতে চায় না দল। তাকে নিজের স্বাভাবিক খেলা ধরে রাখার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দলে একমাত্র নতুন মুখ মুরাদ। চোটের কারণে সাকিব আল হাসান নেই। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে স্কোয়াডে ঠাঁই হয়েছে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই বাঁহাতি স্পিনারের।

বছর তিনেক আগে যুব বিশ্বকাপ জেতার পর কিছুটা আড়ালে পড়ে যান ২২ বছর বয়সী স্পিনার। তবে পরের বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ধারাবাহিক বোলিংয়ে মুরাদ এখন টেস্ট অভিষেকের স্বপ্ন আঁকছেন মনে।

২০২১ সালের অসমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে যাত্রা শুরু করেন মুরাদ। একই বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ৭ ইনিংসে দুইবার ৫ উইকেটসহ ২২ শিকার ধরে তিনি হন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

গত বছর ডিউক বলে হওয়া জাতীয় লিগে ৯ ইনিংসে ৪ বার ৫ উইকেট নেন মুরাদ। পেসারদের দাপট দেখানো টুর্নামেন্টে ২৮ উইকেট নিয়ে স্পিনারদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ওপরে। এবারের জাতীয় লিগে চার ম্যাচের ৮ ইনিংসে তার শিকার ২৪ উইকেট।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই টানা এক জায়গা ধরে রাখা বোলিং করতে দেখা যায় তাকে। সঙ্গে ছোট ছোট টার্নে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে স্রেফ ২০ ম্যাচে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ডে স্পর্শ করেন কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিককে।

সব মিলিয়ে ২৬ ম্যাচের ৪৫ ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেটসহ তার শিকার ১৩০ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ এই পরিসংখ্যান তার সামনে খুলেছে জাতীয় দলের দরজা। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তার কাছ থেকে অভিন্ন চাওয়া হাথুরুসিংহের।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে রোববারের সংবাদ সম্মেলনে মুরাদের জন্য সহজ ও স্পষ্ট বার্তাই দিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।

“গত দুই বছর ধরে এনসিএলের সর্বোচ্চ উইকেট তার। সে নিজের কাজটা করেছে, স্কোয়াডে জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। তার জন্য আমার বার্তা হলো, একই রকম থাকা। এক্স বা ওয়াই ফ্যাক্টর হতে হবে না। এটি তেমন কিছু নয়।”

“সে এনসিএল বা বিসিএলে যা করেছে, আমাদের নির্বাচকরা দেখেছে। এজন্যই সে এখানে। ছেলেদের জন্য আমাদের বার্তা এটাই, ‘এত দিন যা করেছো, ঠিক সেটাই করো। এজন্যই তোমরা এখানে এসেছো।”