দুর্দান্ত পথচলায় এবার ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেললেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
Published : 21 Mar 2025, 04:44 PM
বিধ্বংসী ১৭৬ রানের পরের ম্যাচেও পঞ্চাশ করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এরপর দুই ম্যাচ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তবে বড় রানের অপেক্ষা খুব একটা দীর্ঘ হতে দিলেন না বাঁহাতি ওপেনার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আরেকটি শতরানের দেখা পেলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন নাঈম। ১১ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসে ৯ উইকেটের সহজ জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ১৬০ রানের লক্ষ্য মাত্র ২০.১ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
সাত ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের এটি চতুর্থ জয়। স্রেফ এক জয়ে তলানিতে শাইনপুকুর।
২০২৩ সালের প্রিমিয়ার লিগে ৯৩২ রান করে জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পেয়েছিলেন নাঈম। ওই বছরই সেপ্টেম্বরের পর আবার বাদ পড়ে যান তিনি। বছর দেড়েক পর লিগে এবার ওই একই ছন্দে ২৫ বছর বয়সী ওপেনার।
সাত ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি, এক ফিফটিতে এর মধ্যে ৪৫৯ রান করে ফেলেছেন নাঈম। গড় ৭৬.৫০, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭৯।
আর কোনো ব্যাটসম্যান এখনও পর্যন্ত চারশ রানও করতে পারেননি। তৃতীয় রাউন্ডে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
রানের ফোয়ারার পাশাপাশি তার খেলার ধরনেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। বাউন্ডারি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে দৌড়ে রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও দক্ষতা দেখাচ্ছেন নাঈম। এভাবে পারফর্ম করতে থাকলে নির্বাচকদের দুয়ারে টোকা দেবেন তিনি নিশ্চিতভাবেই।
শাইনপুকুরের ছোট পুঁজির জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসনের পথ বেছে নেন নাঈম। প্রথম ওভারে শাহিন আলমের বলে দুটি চার দিয়ে শুরু, এরপর একই ছন্দে এগিয়ে মাত্র ৩৬ বলে পূর্ণ করেন পঞ্চাশ।
অন্য প্রান্তে নাঈমকে দারুণ সঙ্গ দেন সাব্বির হোসেন। দশ ওভারে রহিম আহমেদের বলে দুটি ছক্কার পর মারেন বাউন্ডারি। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৯৪ বলে আসে ১২০ রান।
ষোড়শ ওভারে আউট হন ৪৭ বলে ৪৮ রান করা সাব্বির।
এরপর শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন নাঈম। ক্যারিয়ারের দশম লিস্ট 'এ' সেঞ্চুরি তিনি করেন মাত্র ৬৩ বলে। পরে তার ব্যাট থেকেই আসে ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারি।
ম্যাচের প্রথমভাগে একদমই সুবিধা করতে পারেনি শাইনপুকুর। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত উইকেট হারায় তারা। পাঁচ নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ফারজান আহমেদ। এছাড়া ২৫ ছুঁতে পারেন আর দুই ব্যাটসম্যান।
শেষ দিকে শরিফুল ইসলামের ২২ রানের সৌজন্যে দেড়শ পেরোয় তারা।
১০ ওভারে মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম। ২১ রান খরচায় বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামেরও শিকার ৩ উইকেট। ৩ মেডেনসহ ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৪৮.৪ ওভারে ১৫৯ (রানা ৫, নিওন ৮, সাকিব ২৯, শিহাব ৭, ফারজান ৩৮, রাফসান ২৭, মিনহাজুল ৭, রহিম ২, শরিফুল ২২, রাফি ৬, শাহিন ৪*; শফিকুল ৯.৪-১-২১-৩, খালেদ ৮-০-৩৭-১, নাজমুল ১০-২-২২-৩, রিশাদ ১০-৩-৩৭-২, শামীম ১০-১-৩৩-১, শাহাদাত ১-০-৮-০)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ২০.১ ওভারে ১৬২/১ (নাঈম ১০৪, সাব্বির ৪৮, শাহাদাত ৯*; শাহিন ৫-০-৪৫-১, শরিফুল ৬-০-৩৩-০, রহিম ৩-০-৩০-০, রাফি ৩.১-০-৩৩-০, রাফসান ২-০-১৪-০, শিহাব ১-০-৭-০)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ