কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ ভাবতে পারেননি, খুশদিল এত ভালো ব্যাট করতে পারেন।
Published : 19 Jan 2023, 07:13 PM
পাকিস্তানের ক্রিকেটে খুশদিল শাহর মূল পরিচয় আগ্রাসী ব্যাটসম্যান, যিনি টুকটাক বোলিং করেন। কিন্তু বিপিএলে আসার পর শুরুতে তার পরিচয়ই বদলে গিয়েছিল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রথম দুই ম্যাচে তাকে দেখা যায় মূলত বোলারের ভূমিকায়! সেই খুশদিল এখন আপন রূপে উজ্জ্বল হওয়ার পর কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলছেন, পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারকে নিয়ে তার ধারণা ছিল ভুল।
বিপিএলে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ঢাকা ডমিনেটর্সের বোলিং গুঁড়িয়ে ২৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন খুশদিল। পাঁচ নম্বরে নেমে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের এই বিধ্বংসী ইনিংসই ম্যাচে গড়ে দেয় ব্যবধান। মাঝারি মানের স্কোরের পথে থাকা কুমিল্লা শেষ পর্যন্ত ১৮২ রানে পৌঁছে যায় শেষ ৬ ওভারে ৯৪ রান তুলে।
অথচ শুরুতে তাকে পাঁচ নম্বরের ব্যাটসম্যান মনে করেননি সালাউদ্দিন। কুমিল্লার প্রথম ম্যাচে তাকে নামানো হয় আট নম্বরে। সেদিন তিনি আউট হয়ে যান ১ রান করে। পরের ম্যাচে তো তাকে আটের উপযুক্তও মনে করেনি দল। সেদিন কুমিল্লার ৮ ব্যাটসম্যান ক্রিজে গেলেও ব্যাটিংয়েই পাঠানো হয়নি খুশদিলকে। তার ওপরে খেলানো হয় এমনকি বোলার আবু হায়দার রনিকেও।
এই দুই ম্যাচেই পুরো চার ওভার করে বোলিং করেন তিনি। বেশ ভালো পারফর্মও করেন বাঁহাতি স্পিনে।
তবে চট্টগ্রামে যাওয়ার পর ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পান খুশদিল। ফিরে পান নিজের আসল জায়গা। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে পাঁচে সুযোগ পেয়ে খেলেন ৪ ছক্কায় ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে ছয়ে নেমে অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।
পঞ্চম ম্যাচে আবার পাঁচে নেমে ভালো করতে পারেননি (৩)। তবে বৃহস্পতিবার দেখা যায় তার সেরাটা। ১৪তম ওভারে উইকেটে গিয়ে ৭ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসে তুলাধুনা করেন ঢাকার বোলারদের। আফগান বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজা হোতাকের এক ওভারে মারেন টানা তিন ছক্কার সঙ্গে আরও দুটি চার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কয়টি ম্যাচ খেলেছেন খুশদিল, চার-পাঁচ-ছয়েই ব্যাট করেছেন বেশি। তবে বিপিএলে তাকে ঠিক বুঝতে পারেননি সালাউদ্দিন। ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সেই ভুলের কথা অকপটেই বললেন কুমিল্লা কোচ।
“আমি মনে করি, তার (খুশদিলের) ইনিংসের জন্যই আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম। সে সঠিক বোলারকে পেয়েই সুযোগ নিয়েছে। বাঁহাতি বোলার (হামজা) যখন এসেছে, ওই ওভারটাতে সুযোগ নেওয়াতে আমার মনে হয় সুবিধা হয়েছে, আমরা মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছি।”
“আসলে ওর ওপরে আমি ‘মিসজাজ’ করেছিলাম অনেক। প্রথম দুই ম্যাচে ওকে আমি আগে নামাইনি, কারণ মিরপুরে যখন ব্যাট করেছে, তখন ব্যাটে-বলে লাগেনি। আমি আসলে আগে ওর খেলা খুব কম দেখেছি। এই কারণে প্রথম দুই ম্যাচে ভুলটা আমার ছিল, কারণ আমি ওকে আগে নামাইনি। তবে চট্টগ্রামে আসার পর অনুশীলনে দেখলাম, ও খুব ভালো হিট করতে পারে। এই কারণে এখন ওপরে খেলাচ্ছি, ভালো ফলও পাচ্ছি।”