তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ও খেলার ধরন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের কাছে।
Published : 25 Jul 2022, 06:55 PM
নিয়মিতদের অনেকে নেই দলে। অনেকটা নতুন চেহারার দল নিয়ে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দলটিকে তাই প্রত্যাশার ভারে নুইয়ে দিতে চান না বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। বললেন, এই সিরিজে দল সব ম্যাচ হারলেও আপত্তি থাকবে না তার।
এই সংস্করণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচ খেলে ১১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে পাঁচটিতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতেছে কেবল এক ম্যাচ। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে তো বাংলাদেশের বিপক্ষে কয়েক বছর ধরেই হারের চক্রে বন্দি তারা।
নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম। চোট থেকে সেরে ওঠেননি ইয়াসির আলি চৌধুরি। দলে নেই পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনও। তাদের অনুপস্থিতিতে যারা সুযোগ পেয়েছেন তাদের বিপুল প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট করতে নারাজ মাহমুদ।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে দল। আগের দিন রাজধানীর একটি হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসেন মাহমুদ ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। আলোচনা শেষে সোহানকে নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাহমুদ জানান, জিম্বাবুয়েতে খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ও খেলার ধরনের দিকে থাকবে তাদের মূল মনোযোগ। ফল সেখানে এতটা গুরুত্ব পাবে না।
“আমাদের ওয়ানডে দল আমরা টাচই করতে পারব না, সেখানে পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। এখানে কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারব না। টেস্ট ক্রিকেট, আমি মনে করি অভিজ্ঞদের জায়গা। একটাই মাত্র ফরম্যাট যেখানে নতুন কাউকে দেখতে পারি, সেটা হলো টি-টোয়েন্টি।”
“সত্যি বলতে জিম্বাবুয়েতে যদি আমরা ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাই তবুও আমি বিন্দুমাত্র আপসেট হবো না। কারণ, আমি এই চাপ ওদের দিতেই চাই না। আমি চাই ওরা ফ্রিডম নিয়ে খেলুক, ফ্রি হয়ে খেলুক। ওদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কী আছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমরা টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে পারি কি না, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
কোনো সংস্করণের দলেই সাকিবের থাকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিশ্রাম পাওয়ায় টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে জাগছে প্রশ্ন। তবে সে সব উড়িয়ে দিলেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ।
“রিয়াদ, মুশফিক, সাকিব যে এই সংস্করণ থেকে বাদ হয়ে গেল, ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা কিছু ছেলেকে দেখতে চাই। যারা সম্ভাবনাময়, তাদের নিজেদের সেরা জায়গায় খেলিয়ে আমরা দেখতে চাই, কী করে। সিনিয়রদের সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। জানি কী পারে, না পারে।”
“প্লেয়ারদের পুরো সিরিজে সুযোগ দেওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একটা ম্যাচ খেলার পর গ্যাপ দিয়ে আরেকটা ম্যাচ খেলিয়ে তো বিচার করা যায় না। এর জন্য একটু সময় দেওয়াও দরকার। একটা না একটা সময় আমাদের তো ঘুরে দাঁড়াতে হবেই। পালাবদলের সময় যে এখনই শুরু হয়ে গেছে সেটা বলব না। এখনও সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে সামর্থ্য আছে। জুনিয়র খেলোয়াড়দের ঠিক মতো তুলে ধরাটাও আমাদের কাজ।”
টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে মঙ্গলবার রাতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। আগামী শনিবার হারারেতে হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি।