আইসিসির ফেব্রুয়ারি মাসের সেরার লড়াইয়ে গিলের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ও নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।
Published : 07 Mar 2025, 05:57 PM
গত মাসে ব্যাট হাতে চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স শুবমান গিলকে এনে দিতে পারে দারুণ এক স্বীকৃতি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ফেব্রুয়ারির সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ও নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস।
গত মাসের সেরার লড়াইয়ে মনোনীত পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম শুক্রবার প্রকাশ করে আইসিসি। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালানা কিং, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের থিপাতচা পুথাওং।
শুবমান গিল (ভারত)
গত মাসে পাঁচটি ওয়ানডে খেলে গিল করেন ৪০৬ রান। গড় ১০১.৫০ আর স্ট্রাইক রেট ৯৪.১৯।
দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৭, ৬০ ও ১১২ রানের ইনিংস। সেই ফর্ম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বয়ে নিয়ে দুবাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়ায় ১০১ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন তিনি। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন গুরুত্বপূর্ণ ৪৬ রান।
স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)
শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশ করা টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন স্মিথ। দুই ম্যাচে ১৪১ ও ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। জেতেন সিরিজ-সেরার পুরস্কার।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচে ১২ ও ২৯ রানের বেশি তিনি করতে পারেননি। পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ রানের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে হারের পরদিন ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন স্মিথ।
গ্লেন ফিলিপস (নিউ জিল্যান্ড)
ফেব্রুয়ারিতে পাঁচটি ওয়ানডে খেলে ১২৪.২১ স্ট্রাইক রেটে ফিলিপস রান করেন ২৩৬। এছাড়া হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ২টি।
পাকিস্তানে নিউ জিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ে তার ছিল বড় অবদান। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলে তিনি হন ‘ম্যান অব দা ম্যাচ।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ২৮ ও ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ২০ রান।
পরে পাকিস্তানের বিপক্ষেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে করেন ৩৯ বলে ৬১। ওই ম্যাচে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ২১ রান।
অ্যালানা কিং (অস্ট্রেলিয়া)
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেয়েদের অ্যাশেজ সিরিজ (টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সম্মিলিত) জয়ে বড় অবদান রাখেন কিং। মোট ২৩ উইকেট নিয়ে জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। মেলবোর্নে একমাত্র টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে এই লেগ স্পিনার ৯ উইকেট নেন ৯৮ রান দিয়ে।
অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া)
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ২১ চার ও এক ছক্কায় ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাদারল্যান্ড। মেলবোর্নে প্রথম নারী হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। দলের ইনিংস ব্যবধানে জয়ে তিনি জেতেন ম্যাচ-সেরার পুরস্কার।
থিপাতচা পুথাওং (থাইল্যান্ড)
নেপালে থাইল্যান্ডের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন ২১ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার। পাঁচ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৩.৪৭ করে রান দিয়ে উইকেট নেন ১৪টি। টানা চার ম্যাচে অন্তত ৩টি করে উইকেট নেন তিনি। এর মধ্যে নেপালের বিপক্ষে ১০ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাট হাতে খেলেন অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস।
এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।