অধিনায়ক ও কোচের সিদ্ধান্তেই ছয়ে মুশফিক

সবশেষ সিরিজেই মুশফিককে ওয়ানডেতে এই নতুন ভূমিকায় খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকসিলেট থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2023, 03:02 PM
Updated : 23 March 2023, 03:02 PM

শেষ ম্যাচে ব্যাটিংই পেলেন না মুশফিকুর রহিম। তাতে তার মন খারাপের কোনো কারণও নেই। দল জিতে গেছে ১০ উইকেটে। সঙ্গে তার ব্যক্তিগত প্রাপ্তিযোগও হলো। দুই ইনিংস ব্যাট করেই তিনি ম্যান অব দা সিরিজ। সিরিজ সেরার পুরস্কার নিলেন তিনি চওড়া হাসিতে। পরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তামিম ইকবাল শোনালেন মুশফিকের নতুন ভূমিকার প্রেক্ষাপট, যে ভূমিকায় সফল হয়েই তিনি সিরিজের সেরা। 

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপে তাকিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরুর ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই পথে প্রথম ম্যাচেই দেখা যায় কৌতূহল জাগানিয়া পরিবর্তন। চার নম্বরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান মুশফিককে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় ছয় নম্বরে। ওয়ানডেতে ৬ বছরের বেশি সময় পর তিনি ছয়ে নামেন। মাঝের ৭৫ ইনিংসে তিনি ব্যাট করেন চার ও পাঁচে। 

নতুন ভূমিকায় প্রথম ম্যাচেই তিনি দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪৪ রান করেন ২৬ বলে। পরের ম্যাচে তিনি শুধু নিজেকেই নয়, ছাড়িয়ে যান বাংলাদেশের ইতিহাসের সবাইকে। ৬০ বলের সেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি উপহার দেন তিনি। বলার অপেক্ষা রাখে না, নতুন ভূমিকার শুরুটায় তিনি দারুণ সফল। 

সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম শোনালেন মুশফিককে ছয়ে নামানোর পেছনের ভাবনা। 

“এটা আসলে গত সিরিজেই ঠিক করেছি, আমি আর কোচ মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকে ছয়ে ব্যাট করাব। কারণটা হলো, আমার কাছে মনে হয়… তার চারে খেলার বিপক্ষে কিছু নয়, ওখানে অবশ্যই দুর্দান্ত খেলেছে…, তবে ছয় নম্বরে ওকে দরকার, কারণ মাঝেমাঝে আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি না। ওর অভিজ্ঞতা অনেক আর যে পরিমাণ শট ওর হাতে আছে, সেটা তো দৃশ্যমানই… যেভাবে ব্যাট করেছে এই দুই ইনিংসে। এটাই কারণগুলির একটি।” 

“সে এমন একজন, যখন কম ওভার বাকি থাকে, তখন সে অনেক আগ্রাসী। আমার কাছে এটা মনে হয়। সৌভাগ্যবশত এটা কাজে লেগে গেছে এবং সে অবিশ্বাস্যরকমের ভালো খেলেছে।” 

শুধু এই সিরিজেই নয়, সামনের পথচলায় এটিই মুশফিকের ভূমিকা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তামিম। এই পজিশনে যে কাজটা কঠিন, সেটিও তিনি মনে করিয়ে দিলেন। 

“ও যদি এরকম চালিয়ে যেতে পারে, আমাদের জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। ছয়ে ব্যাট করা কখনও কখনও অনেক ‘ট্রিকি।’ কারণ সবসময় ভালো শুরু হবে না। ১০০ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলে তার আসা লাগতে পারে। ৬ নম্বরে যে-ই ব্যাট করুক না কেন, খুবই ‘ট্রিকি’ পজিশন। রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) কথা বলুন, আফিফের কথা বলুন, মুাশর কথা বলুন, তাদের প্রতি আমার সফট কর্নার আছে। কারণ আমার সবসময় মনে হয়, ওপেনিং ছাড়া এটাই সবচেয়ে কঠিন জায়গা ব্যাট করার জন্য।”