এক সময়ে বেশ বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগানো অস্ট্রেলিয়াকে সাড়ে তিনশ রানের নিচে থামানোর আশা জাগিয়েছে ইংল্যান্ড।
Published : 20 Jul 2023, 12:35 AM
টেস্টে ৬০০ উইকেটের সীমানা ছুঁয়ে সব আলো কেড়ে নিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। অভিজ্ঞ এই পেসারের মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে অ্যাশেজে ব্যাটে-বলে লড়াই হলো দারুণ। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৯ ব্যাটসম্যানের আটজনই গেলেন দুই অঙ্ক। তবে কেবল দুই জন ছুঁতে পারলেন পঞ্চাশ। এক সময়ে অনেক বড় সংগ্রহে চোখ রাখা সফরকারীদের এখন সাড়ে তিনশর আগেই থামানোর আশায় ইংল্যান্ড।
ম্যানচেস্টারে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৯ রান। চারটি চারে ৭০ বলে ২৩ রানে ব্যাট করছেন মিচেল স্টার্ক। ক্রিজে তার সঙ্গী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
১৯ ওভারে ৫২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার ক্রিস ওকস। ব্রড ২ উইকেট নেন ৬৮ রানে।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন অভিজ্ঞ এই পেসারই। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে তিনি এলবিডব্লিউ করেন উসমান খাওয়াজাকে।
আরেক প্রান্তে ডেভিড ওয়ার্নার ছিলেন সাবলীল, দ্রুত রান তোলার দিকে ছিল তার মনোযোগ। নিজের মতো করে খেলছিলেন মার্নাস লাবুশেন। ওয়ার্নারকে কট বিহাইন্ড করে জমে ওঠা জুটি ভেঙে শিকার শুরু করেন ওকস।
প্রথম সেশনের বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ। লাঞ্চের পরপরই পঞ্চাশ স্পর্শ করে তাদের জুটির রান। তবে এরপর আর তা লম্বা হয়নি। গতিময় পেসার মার্ক উডের বলে এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে স্মিথের প্রতিরোধ ভাঙে ইংল্যান্ড, জুটি থামে ৫৯ রানে।
লাবুশেনের সঙ্গে ট্র্যাভিস হেডের জুটি জমে যায় দ্রুত। এক প্রান্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১১৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন লাবুশেন। আরেক প্রান্তে পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তোলেন হেড।
ফিফটি ছুঁয়ে পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান লাবুশেন। মইন আলির অফ স্পিনে ফ্লিক করার চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় ইংল্যান্ড।
চা-বিরতির পর প্রথম ওভারেই হেডকে ফিরিয়ে ইতিহাসের কেবল দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন ব্রড। প্রথম পেসার হিসেবে এই কীর্তি দেখানো সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসনও খেলছেন এই টেস্টে। ভালো বোলিং করলেও প্রথম দিন তিনি পাননি কোনো উইকেট।
এক সময়ে ৩ উইকেটে ১৮৯ রানের দৃঢ় অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া দ্রুত ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেয় মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিনের জুটিতে। তবে একই ওভারে তাদের ফিরিয়ে দলকে শক্ত অবস্থানে রাখেন ওকস। উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোরের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরার আগে মার্শ এক ছক্কা ও সাত চারে ৬০ বলে করেন ৫১ রান।
মনে হচ্ছিল দিনের বাকি সময়টা পার করে দেবেন অ্যালেক্স কেয়ারি ও স্টার্ক। তবে দ্বিতীয় নতুন বলে তাদের জুটি ভাঙেন ওকস। এই অলরাউন্ডারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান কিপার-ব্যাটসম্যান কেয়ারি। দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেওয়া স্টার্ক, কামিন্সদের সামনে এখন সংগ্রহ যতটা সম্ভব বড় করার চ্যালেঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৩ ওভারে ২৯৯/৮ (ওয়ার্নার ৩২, খাওয়াজা ৩, লাবুশেন ৫১, স্মিথ ৪১, হেড ৪৮, মার্শ ৫১, গ্র্রিন ১৬, কেয়ারি ২০, স্টার্ক ২৩*, কামিন্স ১* ; ব্রড ১৪-০-৬৮-২, অ্যান্ডারসন ১৭-৪-৪৩-০, ওকস ১৯-৪-৫২-৪, উড ১৬-৪-৬০-১, মইন ১৭-১-৬৫-১)