করমর্দনের সময় এমন মুখভঙ্গি করেন অ্যালেক্স হেলস, যেটিকে অপমানজনক মনে করছিলেন তামিম, এরপরই লেগে যায় কথার লড়াই।
Published : 09 Jan 2025, 07:56 PM
ম্যাচ শেষ হলেও তখনও রয়ে গেছে রেশ। দুই দলে পাশাপাশিই তখন দুই ধরনের আবেগের স্রোত। উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছে রংপুর রাইডার্স। হতাশার হাহাকারে ডুবছে ফরচুন বরিশাল। দুই দলের করমর্দন পর্ব চলছে তখনও। হঠাৎ টিভি পর্দায় ভেসে উঠল, চটে গেছেন তামিম ইকবাল। উত্তেজিত হয়ে কোনো একজনের দিকে প্রায় তেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছিলেন রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম।
টিভি ক্যামেরায় আগে-পরে আর কিছু দেখা যায়নি ওই ঘটনার। পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে তামিমকে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি এটা নিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের প্রতিনিধি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি বা বলতে চাননি। তবে পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তামিম ওভাবে তেড়ে যাচ্ছিলেন রংপুরের ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসের দিকে।
বরিশালের ব্যাটিং কোচ ও তামিমের বড় ভাই সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালের ধারণা, রংপুর রাইডার্সের কেউ কিছু একটা বলে থাকতে পারেন তামিমকে।
“আমিও নিশ্চিত নই, যেহেতু এটা নিয়ে আলাপ হয়নি। উত্তেজিত হয়েছে (তামিম), এটা দেখেছি। সাধারণত কী হয়, ম্যাচ হারার পর, বিশেষ করে এই ধরনের ম্যাচে, ইমোশন অনেক ক্যারি করে। আশা করি, সিরিয়াস কোনো কিছু না। নিশ্চয়ই কিছু একটা বলা হয়েছিল (অপর পক্ষ থেকে), যেটির প্রতিক্রিয়া ছিল (তামিমের উত্তেজিত হওয়া)। তবে আমার মনে হয়, তেমন সিরিয়াস কিছু নয়।”
টিভিতে দেখা গেছে, তামিম যখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তখন তার গা ঘেষেই ছিলেন রংপুরের অধিনায়ক ও অবিশ্বাস্য এক জয়ের নায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনিও খুব একটা মুখ খুললেন না।
“এটা আমি খুব কাছ থেকে দেখিনি। আমিও এদিকে আসার পর দেখেছি। যাওয়ার পর হয়তো বুঝতে পারব, কী হয়েছে। তবে আমি ছিলাম না ওখানে।”
এই ধরনের ঘটনায় সাধারণত প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চান না। বরিশালের দলীয় সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, হেলসের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন তামিম। সেসময় হেলস এমন কোনো মুখভঙ্গি করেছিলেন, যা ভালো লাগেনি তামিমের। তার কাছে এটি অপমানজনক মনে হয়েছে। বরিশাল অধিনায়ক তখন বলেন, “কিছু বলার থাকলে মুখে বলো… বি আ ম্যান…এরকম ভঙ্গি করছো কেন?” হেলস তখন কিছু একটা বলেন। তামিমও জবাব দেন। এভাবেই লেগে যায় দুজনের।
এই ঘটনায় ম্যাচ রেফারির কক্ষে অবশ্য ডাক পড়েনি তামিম বা হেলসের।
মাঠের ক্রিকেটেও এই ম্যাচে ছিল তুমুল উত্তেজনা। শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সকে বিধ্বস্ত করে তিন চার ও তিন ছক্কায় রংপুরকে অসাধারণ জয় এনে দেন সোহান।
ম্যাচের শেষ ভাগে মাঠে ছিলেন না তামিম। শেষের আগের ওভারে ক্যাচ নিতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান বরিশাল অধিনায়ক।