সিলেট টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য ৩ উইকেট চাই বাংলাদেশের, নিউ জিল্যান্ডের চাই আরও ২১৯ রান।
Published : 01 Dec 2023, 08:22 AM
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৩৮
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ৩৩২): ৪৯ ওভারে ১১৩/৭
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২১২/৩ (জয় ৮, জাকির ১৭, শান্ত ১০৪*, মুমিনুল ৪০, মুশফিক ৪৩*; সাউদি ১২-৩-২২-০, জেমিসন ৯-৩-১৯-০, এজাজ ২৩-১-৯৪-১, ফিলিপস ১২-৩৬-০-, সোধি ১২-১-৪১-০)
নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে সিলেট টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা এগিয়ে ২০৫ রানে। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করা শান্ত অপরাজিত ১০৪ রানে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া মুশফিকুর রহিম নামবেন ৪৩ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৯৬ রান।
ম্যাচের তৃতীয় দিনেও উইকেট তেমন ভাঙেনি। বরং দ্বিতীয় দিনের চেয়ে তৃতীয় দিন ব্যাটিং কন্ডিশন দেখা গেছে তুলনামূলক ভালো। তাই নিরাপদ লক্ষ্য সম্পর্কে খুব একটা নিশ্চিত নয় বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে ৪০০ রানের কথা বলেছেন মুমিনুল হক।
তা করতে হলে আরও বড় করতে হবে শান্তর সেঞ্চুরি। মুশফিকসহ অন্য ব্যাটসম্যানদেরও নিতে হবে দায়িত্ব। নতুন দিনে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
নতুন দিনের শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আগের দিনের ১০৪ রানের সঙ্গে আর মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন শান্ত। ১০ চারে সাজিয়েছেন ১৯৮ বলের ইনিংস। তার বিদায়ে ভেঙেছে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৯৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
ছয় নম্বরে নেমেছেন শাহাদাত হোসেন। ৪৪ রানে খেলছেন মুশফিক।
৭০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৮ রান।
ড্যারেল মিচেলকে দিয়ে এদিন বোলিং শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। তবে এক ওভার পরই তাকে সরিয়ে বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলকে আক্রমণে আনল তারা।
দিনের শুরুর খানিক নড়বড়ে ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিম পৌঁছে গেলেন পঞ্চাশে। এজাজ প্যাটেলের বলে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চার মারার পর টিম সাউদির বলেও কানায় লেগে নেন ২ রান। এতেই পূর্ণ হয় তার ২৭তম ফিফটি।
৬ চারে মাইলফলক ছুঁতে ৭৯ বল খেলেছেন মুশফিক। পঞ্চাশে পৌঁছানোর পর নিয়ন্ত্রিত স্কয়ার ড্রাইভে আরেকটি বাউন্ডারি মেরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
৭২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৯ রান। লিড এখন ২২২ রানের। মুশফিক ৫৫, শাহাদাত হোসেন ৪ রানে খেলছেন।
বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না শাহাদাত হোসেন। ৪ চারে ১৮ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেন অভিষিক্ত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ইশ সোধির সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউ হলেন শাহাদাত। খালি চোখেই আউট মনে হওয়ায় মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কথা বলে আর রিভিউ নেননি তিনি। ভাঙে ৩৮ বল স্থায়ী ৩৪ রানের জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। মুশফিক খেলছেন ৬০ রানে।
৭৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৫ রান।
৮০ ওভার শেষ হতেই পুরোনো বল ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় নতুন বল নিলো নিউ জিল্যান্ড। সঙ্গে সঙ্গে স্পিনার সরিয়ে আক্রমণে এলেন অধিনায়ক টিম সাউদি।
৮০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬৭ রান। বাংলাদেশের লিড এখন ২৬০ রানের।
মুশফিকুর রহিম ৬৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১১ রানে অপরাজিত।
চতুর্থ দিনের শুরুটা ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ, নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ঘণ্টার ১৪ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৫৯ রান। বিপরীতে ২ উইকেট নিয়েছে সফরকারীরা।
৮২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭১ রান। লিড ২৬৪ রানের। মুশফিকুর রহিম ৬৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৩ রানে অপরাজিত।
এজাজ প্যাটেলের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি মিড-অফের ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু দূরত্ব পেলেন না। সীমানার বেশ ভেতর থেকে সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন হেনরি নিকোলস।
তবে সেটি নিখুঁতভাবে তালুবন্দী করেছেন কিনা তা নিয়ে ছিল সংশয়। তাই টিভি আম্পায়ারের কাছে যান মাঠের আম্পায়ার। লম্বা সময় ধরে রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার রড টাকার সিদ্ধান্ত নেন, বলের কিছু অংশ মাটি ছুঁয়েছে। তাই নট আউটেরসিদ্ধান্ত জানান তিনি।
এক বল পর মিরাজের বিপক্ষে স্টাম্পিংয়ের জোরাল আবেদন করে নিউ জিল্যান্ড। এবার পা পপিং ক্রিজের ভেতরেই রাখায় বেঁচে যান মিরাজ।
৮৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৪ রান।
নতুন বলে সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগল না নিউ জিল্যান্ডের। এজাজ প্যাটেলের স্টাম্প তাক করে করা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউ হলেন মুশফিকুর রহিম। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
৭ চারে ১১৬ বলে তিনি করেছেন ৬৭ রান।
ঠিক আগের বলে ফের অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়া বল গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি টম ব্লান্ডেল। স্লিপে থাকা ড্যারেল মিচেল ডাইভ দিলেও নাগাল পাননি।
৮৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৯ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। মিরাজ খেলছেন ১৬ রানে।
এজাজ প্যাটেলের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হলেন নুরুল হাসান সোহান। ব্যাটের ভেতরের কানা ঘেঁষে বল আঘাত করল প্যাডে। জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার।
রিভিউ নিতে সময় নষ্ট করলেন না সোহান। রিপ্লেতে দেখা গেল, প্যাডে লাগার আগে ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে গিয়েছিল বল। তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান ৮ রানে খেলতে থাকা সোহান।
৮৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৮ রান। লিড ২৮১ রানের। মেহেদী হাসান মিরাজ খেলছেন ১৭ রানে।
দ্বিতীয় নতুন বলে দারুণ বোলিং করছে নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু ফিল্ডারদের কাছ থেকে তেমন সহায়তা পাচ্ছেন না বোলাররা। ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন নুরুল হাসান সোহান।
গ্লেন ফিলিপসের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মারেন সোহান। বল চলে যায় সোজা প্রথম স্লিপের দিকে। কিন্তু সময়মতো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেননি ড্যারেল মিচেল। তার হাতে লেগে মাটিতে পড়ে যায় বল। ৯ রানে বেঁচে যান সোহান।
৯১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯১ রান।
জীবন পেয়েও কোনো ফায়দা নিতে পারলেন না নুরুল হাসান সোহান। গ্লেন ফিলিপসের পরের ওভারেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিলেন বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটসম্যান।
১ চারে ২৭ বলে ১০ রান করেছেন তিনি। তার বিদায়ে তিনশর আগেই ৭ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাঈম হাসান। মেহেদী হাসান অপরাজিত ১৯ রানে।
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারালেও লিড তিনশ পার করল বাংলাদেশ। সকালের দুই ঘণ্টায় ২৬ ওভারে তারা নিল ৯৬ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৯৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০৮ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ ও নাঈম হাসান ৩ রানে অপরাজিত।
দিনের শুরুতেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্রুত রান তোলার আভাস দেওয়া শাহাদাত হোসেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪ চারে তিনি করেন ১৮ রান।
মুশফিকুর রহিম ফিফটি পেরিয়ে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।
দ্বিতীয় নতুন বলে দারুণ বোলিং করছে নিউ জিল্যান্ড। উইকেট থেকেও মিলছে সাহায্য। দ্বিতীয় সেশনে তাই লিড যত বেশি সম্ভব বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নামবে বাংলাদেশ।
বাড়তি বাউন্স কাল হলো নাঈম ইসলামের জন্য। ইশ সোধির বাড়তি বাউন্স করা বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
লেগ স্পিনারের শর্ট বল তীক্ষ্ন বাঁক নিয়ে চলে আসে নাঈমের শরীরের খুব কাছে। কাট করতে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে চমকে গিয়ে গ্লাভস ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট লেগে। সেখানে কোনো ভুল করেননি টম ল্যাথাম। ভাঙে ২৪ বল স্থায়ী ২০ রানের জুটি।
১১ বলে নাঈম করেন ৪ রান।
৯৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৩১১। ক্রজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম।
টিকতে পারলেন না তাইজুল ইসলাম। এজাজ আহমেদের ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি বড় শট মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিলেন মিড-অনে। ৬ বলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
৯৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১২ রান। লিড ৩০৫ রানের। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ৩৪ রানে।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর একপ্রান্ত ধরে রেখে দারুণ ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ চারে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি ছুঁতে ৭৬ বল খেললেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
নুরুল হাসান সোহানের বিদায়ের সময় ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। সেখান থেকে শেষের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আরও ৪৭ রান যোগ করেছেন তিনি। যেখানে তার একার অবদান ৩১ রান।
এজাজ প্যাটেলের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হলেন শরিফুল ইসলাম। ৩৩৮ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলাদেশ।
১ চারে ১০ রান করেন শরিফুল। সাত নম্বরে নেমে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে ৭ রানের লিড নেওয়া নিউ জিল্যান্ডকে ম্যাচ জিততে করতে হবে ৩৩২ রান।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে স্রেফ দুবার তিনশর বেশি রান তাড়া করে জিতেছে কিউইরা। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৪ রান তাদের সফল রান তাড়ার রেকর্ড।
আরেকটি বাংলাদেশের বিপক্ষেই, চট্টগ্রামে জিতেছিল ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন এজাজ প্যাটেল। ইশ সোধি ধরেছেন ২ শিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২১২/৩) (শান্ত ১০৫, মুশফিক ৬৭, শাহাদাত ১৮, মিরাজ ৫০*, সোহান ১০, নাঈম ৪, তাইজুল ০, শরিফুল ১০; সাউদি ১৫-৩-৩৩-১, জেমিসন ১৩-৩-২৫-০, এজাজ ৩৬.৪-১-১৪৮-৪, ফিলিপস ১৬-৪-৪৭-১, সোধি ১৯-২-৭৪-২, মিচেল ১-০-২-০)
রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেল নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই দারুণ ডেলিভারিতে টম ল্যাথামকে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম।
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে হালকা মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ল্যাথাম।
তিন নম্বরে নেমেছেন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা কেন উইলিয়ামসন।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনকে এবার বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। দারুণ এক ডেলভারিতে বাঁহাতি স্পিনার এলবিডব্লিউ করে দিলেন অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে।
স্টাম্প তাক করে ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি উইলিয়ামসন। ব্যাটের কানা এড়িয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। জোরাল আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে অন্তিম সময়ে রিভিউ নেন উইলিয়ামসন।
তাতে কোনো কাজ হয়নি, বল আঘাত হানত লেগ-মিডল স্টাম্পে। নষ্ট হয় নিউ জিল্যান্ডের একটি রিভিউ।
২৪ বলে দুই চারে ১১ রান করেন উইলিয়ামসন।
১০ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ১৯। ক্রিজে ডেভন কনওয়ের সঙ্গী হেনরি নিকোলস।
মেহেদী হাসান মিরাজের ওভার শুরুর আগে মুশফিকুর রহিমের পরামর্শে ডিপ ফাইন লেগে থাকা নাঈম হাসানকে শর্ট ফাইন লেগে আনলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওভারের চতুর্থ বলে ঠিক সেই জায়গাতেই ক্যাচ দিলেন হেনরি নিকোলস।
গুড লেংথে হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়ে নিকোলসের ব্যাটের ওপরের কানায় লাগে। খানিকটা পিছিয়ে অনায়াসে ক্যাচ নেন নাঈম। ২ রানে ড্রেসিং রুমে ফেরেন নিকোলস।
ওই ওভারের শেষ বলে রিভার্স সুইপের চেষ্টা করেন নতুন ব্যাটসম্যান ড্যারেল মিচেল। কিন্তু ঠিকভাবে খেলতে পারেননি। বল প্যাডে আঘাত করলে জোরাল আবেদন করে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। আম্পায়ার সাড়া দেননি।
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শান্তকে রিভিউ নিতে রাজি করান মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে গ্লাভস ছুঁয়ে গেছে বল। তাই নষ্ট হয় বাংলাদেশের রিভিউ।
১৩ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩০ রান। ১৭ রানে অপরাজিত বাঁহাতি ওপেনার ডেভন কনওয়ে।
দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনটা নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করল নিউ জিল্যান্ড। ৭ উইকেট বাকি রেখে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ২৯৫ রান।
ডেভন কনওয়ে ১৮ ও ড্যারেল মিচেল ৬ রানে দিনের শেষ সেশনে ব্যাটিং শুরু করবেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৩০ রান যোগ করে শেষ ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পরে রান তাড়া করতে নামা নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন শরিফুল ইসলাম। ড্রেসিং রুমে ফেরেন টম ল্যাথাম। কিউইদের মূল ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসনকে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল ইসলাম।
হেনরি নিকোলসকে টিকতে দেননি মিরাজ।
তাইজুল ইসলামের নিখুঁত টার্ন করা ডেলিভারি পেছনের পায়ে খেলার চেষ্টায় পরাস্ত ডেভন কনওয়ে। বল তার সামনের প্যাডে আঘাত করতেই সমস্বরে জোরাল আবেদন বোলার ও উইকেটরক্ষকের। তবে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার।
সঙ্গে সঙ্গে রিভিউয়ের ইঙ্গিত দেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। তবে রিভিউ নেওয়ার আগে কিছুক্ষণ আলোচনা করে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, অল্পের জন্য বল চলে যেত স্টাম্পের উপর দিয়ে।
ফলে বিফলে যায় আরেকটি রিভিউ। এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে প্রথম ব্যর্থ রিভিউ নেয় বাংলাদেশ।
১৮ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪০ রান। কনওয়ে ২০, ড্যারেল মিচেল ৭ রানে খেলছেন।
দুই স্পিনারের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে বেশ ভুগছিলেন ডেভন কনওয়ে। তার ভোগান্তির ইতি টানলেন তাইজুল ইসলাম।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে বল পা বাড়িয়ে মিড-অফের দিকে ব্লক করতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে চলে যায় শাহাদাত হোসেনের হাতে! ভাঙে ৬৭ বল স্থায়ী ১৬ রানের জুটি।
৭৬ বলে তিন চারে কনওয়ে করেন ২২ রান।
২৪ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ৪৭। ক্রিজে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গী টম ব্লান্ডেল।
আরও একবার উল্লাসে মেতে উঠলেন তাইজুল ইসলাম। ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন কিপার-ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেলকে। স্রেফ ৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে নিউ জিল্যান্ড।
মিডল স্টাম্প লাইনে পিচ করে নিখুঁত টার্নের সঙ্গে বাড়তি বাউন্স করা ডেলিভারিতে হকচকিয়ে যান ব্লান্ডেল। খেলবেন না ছাড়বেন ভাবনায় তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
৬ রান করে ফিরলেন ব্লান্ডেল। নতুন ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপস। ১৯ রানে অপরাজিত ড্যারেল মিচেল।
নাঈম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে নিখুঁত টার্নে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি পেছনের পায়ে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গ্লেন ফিলিপস। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। কিন্তু সাড়া দিলেন না আম্পায়ার।
বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল সোজা আঘাত করত মিডল-লেগ স্টাম্পে। ফলে বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ড্রেসিং রুমে ফেরেন ১২ রান করা ফিলিপস।
৩৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৮১ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান কাইল জেমিসন। ২৮ রানে অপরাজিত ড্যারেল মিচেল।
জয় থেকে এখনও ২৫১ রান দূরে নিউ জিল্যান্ড।
লম্বা সময় ধরে উইকেট আঁকড়ে রাখা ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ ছেড়ে দিলেন শাহাদাত হোসেন। নাঈম হাসানের টার্ন করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় লেগ গালি ক্যাচ দেন মিচেল। হাতে পেলেও রাখতে পারেননি শাহাদাত।
২৯ রানে বেঁচে গেলেন মিচেল। ৩৭ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৮২ রান। জয়ের জন্য আরও ২৫০ রান প্রয়োজন তাদের।
একশ পেরোতেই কাইল জেমিসনকে ফেরালেন তাইজুল ইসলাম। সপ্তম উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে নিউ জিল্যান্ড।
তাইজুলের লাইন ধরে রাখা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি জেমিসন। জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি জেমিসন।
৪৩.৩ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০২ রান। জয় থেকে আরও ২৩০ রান দূরে তারা।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ইশ সোধি। ড্যারেল মিচেল অপরাজিত ৪০ রানে।
তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে নিউ জিল্যান্ড। একশ রান করতে তারা খেলেছে ৪১ ওভার। বিপরীতে হারিয়েছে ৬টি উইকেট।
সপ্তম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন ড্যারেল মিচেল, কাইল জেমিসন। এরই মধ্যে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৯ রান।
মিচেল ৪০, জেমিসন ৭ রানে অপরাজিত। ৪১ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০০ রান।
অল্পের জন্য ইশ সোধির উইকেট পেল না বাংলাদেশ। রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন কিউই ব্যাটসম্যান। নাঈম হাসানের মিডল স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি পুল ও সুইপের মাঝামাঝি কিছু করার চেষ্টা করেন সোধি। বল লাগে তার প্যাডে।
জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন সোধি। বল ট্র্যাকিংয়ের জন্য বেশ লম্বা সময় নেন ব্রডকাস্টাররা। পরে দেখা যায়, অল্পের জন্য স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যেত ওই বল। তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারে সিদ্ধান্ত।
৪৮ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১২ রান। ড্যারেল মিচেল ৪৩, সোধি ৭ রানে খেলছেন। জয় থেকে এখনও ২২০ রান দূরে তারা।
চতুর্থ দিন দারুণ বোলিংয়ে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দিন স্রেফ ৩ উইকেট নিলেই মিলবে মনে রাখার মতো এক জয়। বিপরীতে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ২১৯ রান।
৩৩২ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেটে ১১৩ রান করে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ড্যারেল মিচেল অপরাজিত রয়েছেন ৪৪ রানে। শেষ ভাগে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া ইশ সোধি খেলছেন ৭ রানে।
দিনের শুরুটা ঠিক মনমতো হয়নি বাংলাদেশের। শুরুতেই ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। শাহাদাত হোসেনও পারেননি উইকেটে টিকতে। ফিফটি পেরিয়ে মুশফিকুর রহিমও বেশি দূর যেতে পারেননি।
তিনশর আগে ৭ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে তিনি যোগ করেন আরও ৪৭ রান। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্বিতীয় সেশনে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ এদিন ৭ উইকেটে করে ১২৬ রান।
কিউইদের রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিতে থাকেন তাইজুল ইসলাম। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসানরা।
দিন শেষে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসেও একই সমান শিকার ধরেছিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৩৮
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৩২) ৪৯ ওভারে ১১৩/৭ (ল্যাথাম ০, কনওয়ে ২২, উইলিয়ামসন ১১, নিকোলস ২, মিচেল ৪৪*, ব্লান্ডেল ৬, ফিলিপস ১২, জেমিসন ৯, সোধি ৭*; শরিফুল ৬-২-১৩-১, মিরাজ ১১-৩-৩১-১, তাইজুল ২০-৭-৪০-৪, নাঈম ১০-১-২৪-১, মুমিনুল ২-০-৫-০)