গতিময় দুই ফাস্ট বোলারকেই স্কোয়াডে রেখেছে নিউ জিল্যান্ড।
Published : 20 Sep 2022, 11:41 AM
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোটে ছিটকে পড়া লকি ফার্গুসনের বদলি ছিলেন অ্যাডাম মিল্ন। বোলিংয়ের ধরন একই বলে এই দুজনকে বরাবরই দেখা হয়েছে পরস্পরের বিকল্প হিসেবে। এবার দুজনের গতিতেই একসঙ্গে আস্থা রেখেছে নিউ জিল্যান্ড। দুই ফাস্ট বোলারই জায়গা পেয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে।
ফিট থাকলে দলে ফার্গুসনের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই। মিল্নের ক্ষেত্রে ফিটনেস যেমন বড় সমস্যা, তেমনি পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাও। শেষ পর্যন্ত কাইল জেমিসনের চোট দুয়ার খুলে দিয়েছে মিল্নের জন্য। পিঠের চোট কাটিয়ে ফেরার পথে পুনবার্সন চলছে জেমিসনের।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মঙ্গলবার দল ঘোষণা করে গত আসরের রানার্স আপ নিউ জিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে দেশের মাঠে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডও এটিই। তবে বাইরে থেকে আরও দু-একজন যোগ করা হতে পারে এই টুর্নামেন্টের জন্য।
স্কোয়াডে জায়গা পেলেও মিল্নেকে ফিট পাওয়া নিয়ে সংশয় এখনও খানিকটা আছে। যদিও ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই তাকে পুরো ফিট পাওয়া যাবে বলে বার্তা পেয়েছেন কোচ গ্যারি স্টেড।
প্রায় ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মিল্ন মাত্র ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন পিছু না ছাড়া একের পর এক চোটের কারণেই।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবেন ওপেনার ফিন অ্যালেন ও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েল। নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট রাঙিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটাও দারুণ করেছেন অ্যালেন। আগ্রাসী এই ওপেনার ১৩ ম্যাচে একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ৩৩৪ রান করেছেন ১৬৯.৫৪ স্ট্রাইক রেটে। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও ডাক পড়তে শুরু করেছে ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের।
এই বছরই অভিষেকের পর দ্রুতই ব্যাটে-বলে দলের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন ব্রেসওয়েল। এখনও পর্যন্ত ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে ওভারপ্রতি স্রেফ ৫.৫৯ রান দিয়ে তার উইকেট ৯টি, ব্যাট হাতে স্ট্রাইক রেট ২০৬.৯৭। পাশাপাশি ১২টি ওয়ানডে খেলে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি ওভারপ্রতি মাত্র ৫.০৯ রান দিয়ে, একটি সেঞ্চুরিসহ ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইক রেট ১১০.৯২।
নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন মার্টিন গাপটিল। তার সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন অ্যালেন। গত বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে চমক দেখানো ড্যারিল মিচেল তাই ফিরে যাবেন তার মূল জায়গা মিডল অর্ডারে।
গ্লেন ফিলিপস থাকলেও উইকেট কিপিং গ্লাভস থাকবে ডেভন কনওয়ের হাতে। প্রয়োজনে সেখানে হাত বাড়াবেন ফিলিপস বা অ্যালেন।
ব্রেসওয়েল ছাড়াও স্পিনের দুই নিয়মিত মুখ লেগ স্পিনার ইশ সোধি ও বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার যথারীতি আছেন স্কোয়াডে।
কোচ স্টেড জানিয়েছেন, বিশ্বকাপর জন্য সম্ভাব্য ১২ জনের দলও তার মাথায় সাজিয়ে ফেলেছেন। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজে নানা সমীকরণ ও কম্বিনেশন মিলিয়ে দেখতে চান।
২২ অক্টোবর সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ।
নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল: মার্টিন গাপটিল, ফিন অ্যালেন, কেন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চাপম্যান, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, অ্যাডাম মিল্ন।