অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে রোববার মধ্য রাতে দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল।
Published : 08 Jan 2024, 12:17 AM
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে এবার বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে দেশ ছেড়েছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে যুব বিশ্বকাপের এবারের আসর। এতে অংশ নিতে রোববার মধ্যরাতের (রাত ১টা) ফ্লাইটে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
জাতীয় নির্বাচনী ডামাডোলের মাঝে রাত ১০টার কাছাকাছি সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছায় মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বাধীন দল।
যুবাদের প্রাথমিক গন্তব্য জোহান্সবার্গ। সেখান থেকে তারা যাবে পচেফস্ট্রুমে। সেখানে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। ১২ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে তাদের।
১৩ তারিখ আইসিসির বলয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশের যুবারা। প্রিটোরিয়ায় পর দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। একই মাঠে ১৭ জানুয়ারি নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।
ব্লুমফন্টেইনে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। একই মাঠে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচে ২২ জানুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে।
নতুন ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এবার প্রতি গ্রুপ থেকে পরের ধাপ অর্থাৎ সুপার সিক্সের টিকেট পাবে তিনটি করে দল। সেই ধাপের লড়াইও হবে গ্রুপ পর্বে। ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপের তিনটি এবং ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের তিনটি করে দল নিয়ে করা হবে আলাদা দুইটি গ্রুপ। এই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল উঠবে সেমি-ফাইনালে।
প্রাথমিকভাবে এই আসর হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। তবে দেশটি আপাতত আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেছে নেওয়া হয় নতুন আয়োজক হিসেবে।
স্বাগতিক দেশ বদলালেও তা নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। মিরপুরে শনিবার বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের সময় অধিনায়ক রাব্বি বলেন, গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে দেবে তাদের।
“আমার মনে হয় না, কোনো কিছু তেমন কঠিন হবে। (এশিয়া কাপে) ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের উইকেট আর দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট অনেকটা একরকম। আমার মনে হয় না, এটা তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ। একটা ম্যাচ খেললেই আর চাপ আসবে না।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২০ সালেও বসেছিল যুব বিশ্বকাপের আসর। সেবার আকবর আলির নেতৃত্বে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র এই ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। একই দেশে আরেকটি বিশ্ব আসর শুরুর আগে বড় সাফল্যের আশাই দেখালেন অধিনায়ক রাব্বি।
“আমাদের আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আছে। দলের অবস্থাও ভালো। আশা করি, আমরা যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমি শতভাগ সন্তুষ্ট। আমাদের দলের খেলোয়াড়রা আমাকে অনেক সহায়তা করছে। কোচ থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করে আমার কাজ সহজ করে দিচ্ছে।”
বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার রাব্বি ছাড়াও এবারের স্কোয়াডে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন শেখ পারভেজ জীবন, আরিফুল ইসলাম, চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। নির্বাচক হান্নান সরকারও দল ঘোষণার সময় বলেছেন, দলের প্রধান শক্তি অলরাউন্ডাররাই।
এছাড়া ব্যাটিংয়ে এশিয়া কাপে সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন আশিকুর রহমান। পাঁচ ইনিংসে দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন এই ওপেনার। আরিফুল, রিজওয়ানরাও রান পেয়েছেন নিয়মিত। বল হাতে মারুফ মৃধা, রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণরা কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন প্রতিপক্ষের।
সব মিলিয়ে দল হিসেবে দারুণ অবস্থায় বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে প্রয়োজন এশিয়া কাপের মতো দলগত পারফরম্যান্স।