তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দলটিকে আগামী আসর থেকে আর দেখা যাবে না ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে।
Published : 23 Dec 2023, 10:13 AM
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) পথচলায় শুরুর সঙ্গে মিশে আছে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের নাম। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দল যে তারাই। শিরোপা জিতেছে তারা গত বছরও। সেই দলকেই আর এই টুর্নামেন্টে দেখা যাবে না! এবারের আসর দিয়ে শেষ হয়ে গেছে সিপিএলে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের অধ্যায়।
দলটির সত্ত্বাধিকারী ছিলেন ফ্লোরিডাভিত্তিক গায়ানিজ ব্যবসায়ী কৃষ পারসাউদ। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন সিপিএল কর্তৃপক্ষের কাছেই। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে সিপিএলের এক মুখপাত্র জানান, দলকে টেকসইভাবে পরিচালনার কোনো পথ না পেয়ে তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করে দিয়েছেন।
জ্যামাইকা তালাওয়াহসের বদলি হিসেবে অ্যান্টিগা ও বারবুদার একটি দল আগামী আসরে খেলবে। এই দলের নাম এখনও ঠিক হয়নি। অ্যান্টিগার একটি দল শুরুতে ছিল সিপিএলে। অ্যান্টিগা হকবিলস নামের সেই দল প্রথম দুই আসর মিলিয়ে স্রেফ তিনটি ম্যাচ জিততে পারে। এরপর দলটি টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ায়।
অ্যান্টিগা ও বারবুদার ক্রীড়ামন্ত্রী ড্যারিল ম্যাথিউ এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন আগামী আসর থেকে অ্যান্টিগার একটি দলের পরিকল্পনার কথা। সেটিই এখন বাস্তব রূপ পাচ্ছে।
ক্যারিবিয়ার প্রধান ক্রিকেট কেন্দ্রগুলির একটি জ্যামাইকা থেকে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ভবিষ্যতে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিপিএল কর্তৃপক্ষ। তবে ২০২৫ আসরের আগে এমন কিছুর সম্ভাবনা নেই। আগামী আসরে তাই খেলবে ৬টি দলই।
২০১৯ সালের পর থেকে এমনিতেই জ্যামাইকায় সিপিএলের কোনো ম্যাচ হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও সেখানে নিয়মিত হয় না এখন। সবশেষ ম্যাচটি ছিল গত বছরের অগাস্টে। জ্যামাইকার বিখ্যাত স্যাবাইনা পার্কে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচও রাখা হয়নি। সিপিএলের প্রধান নির্বাহী পিট রাসেল গতবছর জ্যামাইকা অবজারভারকে বলেছিলেন, ক্রিকেট আয়োজনে জ্যামাইকা সরকারের অনাগ্রহ তাদের কাছে বিস্ময়কর ও হতবুদ্ধিকর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, গত বছর জ্যামাইকার শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি, সেই রভম্যান পাওয়েল স্বাভাবিকভাবেই হতাশ সার্বিক পরিস্থিতিতে।
“ক্যারিবিয়ানের সবচেয়ে বড় দ্বীপ জ্যামাইকা, একটি গর্বিত জাতি আমরা, গর্বিত ক্রিকেট জাতি। এখানে যা হচ্ছে, তা কিছুটা হতাশার।”
“আমি একজন জ্যামাইকান এবং ঘরের মাঠের দর্শকের সামনে খেলতে চাই আমরা। তবে গত কয়েক বছর ধরে সেই সুযোগ পাইনি। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জ্যামাইকার সরকারকে একসঙ্গে বসে এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।”