আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিমার ডেলিভারিতে ‘নো’ বল না দেওয়ায় আম্পায়ারকে ধুয়ে দিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক।
Published : 22 Feb 2024, 04:07 PM
কোমর উচ্চতার উপরে তো বটেই, প্রায় কাঁধের কাছাকাছি ‘বিমার’ ডেলিভারি। কিন্তু স্কয়ার লেগ আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে গেল তা! ‘নো’ বল না ডেকে বিতর্কের জন্ম দিলেন লিন্ডন হ্যানিব্যাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষ ওভারে তার এমন সিদ্ধান্তে ভীষণ ক্ষুব্ধ ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। রান তাড়ায় শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া ম্যাচের লঙ্কান অধিনায়ক বললেন, অন্য কাজ খোঁজা উচিত ওই আম্পায়ারের।
ডাম্বুলায় বুধবার আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ঘটে এই কাণ্ড। ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ৬ বলে ১৯ রানের সমীকরণ মেলানোর জন্য ব্যাটিং করছিল লঙ্কানরা। পেসার ওয়াফাদার মোমান্দের প্রথম তিন বলে দুই চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন কামিন্দু মেন্ডিস।
চতুর্থ বলটি ছিল ব্যাটসম্যানের কোমর উচ্চতার ওপরে বিমার। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে স্কয়ার লেগ আম্পায়ার হ্যানিব্যাল নো বল ডাকেননি! পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, পরিষ্কার নো বল ছিল।
কামিন্দু মেন্ডিস শেষ বলে ছক্কা মারলেও ম্যাচটি জিততে পারেনি লঙ্কানরা। ৩ রানে হারের পর আম্পায়ারিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেন হাসারাঙ্গা। হ্যানিব্যালের নাম উল্লেখ না করলেও তিনি ক্ষোভ ঝাড়েন এমন আম্পায়ারদের ওপর।
“এই ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক ম্যাচে ঘটা উচিত নয়। যদি বলটি কাছাকাছি (কোমর উচ্চতার) হতো, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বলটি অনেক উপরে ছিল যে… আরেকটু উপরে গেলে ব্যাটসম্যানের মাথায়ই আঘাত করত।”
“যদি সেটা তিনি না দেখেন, তাহলে ওই আম্পায়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত নন। তিনি যদি অন্য কাজ করতেন তাহলে আরও ভালো হতো।”
মোমান্দের চতুর্থ ডেলিভারিটি আম্পায়ার নো বল না ডাকায় রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। কিন্তু আইসিসির বর্তমান প্লেয়িং কন্ডিশনে এর কোনো সুযোগ নেই। আউটের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিতে পারবেন না খেলোয়াড়রা। এমনকি আউটের সম্ভাবনা না থাকলে মাঠের আম্পায়াররাও কোমর উচ্চতার নো বল এর জন্য টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নিতে পারেন না।
আইসিসির এই নিয়মও পছন্দ হয়নি হাসারাঙ্গার। তার প্রশ্ন, পায়ের নো বল তৃতীয় আম্পায়ার দিতে পারলে এটা কেন নয়।
“আগে এইসব সিদ্ধান্তের বিপরীতে রিভিউ নেওয়া যেত, কিন্তু আইসিসি তা সরিয়ে দিয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যান রিভিউ নিতে চেয়েছিল। থার্ড আম্পায়ার যদি ফ্রন্ট ফুট নো বল দেখতে পারেন, তাহলে তার এই ধরনের নো বলও দেখা উচিত। তারা এটা না পারার কোনো কারণ দেখি না। তারা সেটাও করেনি। তাই আমি নিশ্চিত নই ওই সময় তার (স্কয়ার লেগ আম্পায়ার) মনে কী চলছিল।”
টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেনি তারা। তিন ম্যাচের সিরিজটি শেষ হয় ২-১ ব্যবধানে।