সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে লড়াইও করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Published : 07 Aug 2022, 01:28 AM
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেন রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব। পরের ব্যাটসম্যানরা ধরে রাখলেন ধারাবাহিকতা। তাদের দৃঢ়তায় ভারত পেল বড় সংগ্রহ। লক্ষ্য তাড়ায় লড়াইও করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল রোহিতের দল।
ফ্লোরিডায় শনিবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৫৯ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়ে তারা ক্যারিবিয়ানদের থামিয়ে দিয়েছে ১৩২ রানে।
বিরূপ আবহাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। তবে কাটা পড়েনি ওভার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত ও সূর্যকুমার ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। ওবেড ম্যাককয়ের করা ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ২৫ রান নিয়ে সুর বেঁধে দেন তারা।
পরের ওভারে আকিল হোসেনের চমৎকার এক ডেলিভারিতে অবশ্য বোল্ড হয়ে যান রোহিত। ভারত অধিনায়ক ১৬ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে করেন ৩৩।
পরের ওভারে জায়গায় দাঁড়িয়ে আলজারি জোসেফের বল লেগে ঘোরানোর চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হয়ে যান সূর্যকুমার (১৪ বলে ২৪)। ক্রিজে গিয়েই বোলারদের উপর চড়াও হন রিশাভ পান্ত। দীপক হুডা সঙ্গ দিয়ে যান তাকে। হুডাকে বিদায় করে ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন জোসেফ।
ফিফটির আশা জাগিয়ে ৪৪ রানে থামেন পান্ত। বিস্ফোরক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৩১ রানের ইনিংস গড়া ৬ চারে। শেষের দিকে ২৩ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসে দলের রান দুইশর কাছে নিয়ে যান সাঞ্জু স্যামসন।
এতে বড় অবদান আছে আকসার প্যাটেলেরও। মাত্র ৮ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।
ভারতের ব্যাটসম্যানের ঝড়ে সবচেয়ে বড় অংশটা যায় ম্যাককয়ের উপর দিয়ে। ৪ ওভারে তিনি দেন ৬৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যা সবচেয়ে খরুচে বোলিং। এর আগে ৪ ওভারে সবচেয়ে খরুচে বোলিং ছিল কিমো পলের; ২০২০ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ রান দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ৬ জনই যান দুই অঙ্কে। তবে কেউ বড় করতে পারেননি ইনিংস। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের প্রথম চার ওভারে ব্র্র্যান্ডন কিং ও ডেভন টমাসকে বিদায় করেন আভেশ খান।
আকসারের ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২২ রান নিয়ে সেই ওভারেই রান আউট হয়ে যান নিকোলাস পুরান। ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ রান নেওয়ার চেষ্টায় প্রায় মাঝপথে চলে যান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দেন কাইল মেয়ার্স। তবে কোনো সুযোগই ছিল না তার।
ক্রিজে গিয়েই রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন রভম্যান পাওয়েল। আকসারকে দুই ছক্কায় উড়িয়ে ভালো কিছুর আভাসও দেন তিনি। তবে সেই ওভারেই আরেক ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়েন সীমানায়। ১৬ বলে পাওয়েল করেন ২৪।
দলের আর কেউ যেতে পারেননি ২০ পর্যন্ত। শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডারদের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমায় কেবল।
৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া আভেশ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
একই মাঠে রোববার হবে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৯১/৫ (রোহিত ৩৩, সূর্যকুমার ২৪, হুডা ২১, পান্ত ৪৪, স্যামসর ৩০*, কার্তিক ৬, আকসার ২০*; আকিল ৪-০-২৮-১, ড্রেকস ৪-০-৩১-০, ম্যাককয় ৪-০-৬৬-২, জোসেফ ৪-০-২৯-২, হোল্ডার ৪-০-৩৩-০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.১ ওভারে ১৩২ (কিং ১৩, মেয়ার্স ১৪, টমাস ১, পুরান ২৪, পাওয়েল ২৪, হেটমায়ার ১৯, হোল্ডার ১৩, আকিল ৩, ড্রেকস ৫, জোসেফ ৬*, ম্যাককয় ২; ভুবনেশ্বর ৩-০-২১-০, আভেশ ৪-০-১৭-২, আকসার ৪-০-৪৮-২, আর্শদিপ ৩..১-০-১২-৩, বিষ্ণই ৪-০-২৭-২, হুডা ১-০-৪-০)
ফল: ভারত ৫৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত
ম্যান অব দা ম্যাচ: আভেশ খান