ব্যাখ্যাতীত ব্যাটিংয়ে স্রেফ ১৩ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে বড় হারের শঙ্কায় নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।
Published : 24 Mar 2024, 09:00 AM
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ১১০.৪ ওভারে ৪১৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১) ১৩ ওভারে ৪৭/৫
সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিনে ২১১ রানে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের লিডের সঙ্গে ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ২৩ ও নাইটওয়াচম্যান ভিশ্ব ফার্নান্দো ২ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
দ্রুত বাকি ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ লক্ষ্য আড়াইশ রানের মধ্যে রাখতে চায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার চাওয়া যত বেশি সম্ভব রান যোগ করা। এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দু মেন্ডিস।
টেস্টে কখনও ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। দুইশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের নজির স্রেফ একবার। তাই শ্রীলঙ্কার নতুন করে যোগ করা প্রতিটি রানই চ্যালেঞ্জ আরও বাড়াবে স্বাগতিকদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে):
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৩৬ ওভারে ১১৯/৫ (মাদুশকা ১০, কারুনারাত্নে ৫২, কুসাল ৩, ম্যাথিউস ২২, চান্দিমাল ০, ধানাঞ্জয়া ২৩*, ভিশ্ব ২*; শরিফুল ১১-১-২৭-১, খালেদ ৭-১-২৭-০, নাহিদ ১০-০-৪২-২, তাইজুল ৬-২-১২-১, মিরাজ ২-১-৫-১)
পিচ রিপোর্টে রাসেল আর্নল্ড বলেছেন, উইকেটে ফাটল কিছুটা বাড়লেও, এখনও পেসাররাই বেশি সুবিধা পাবেন। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই একপ্রান্ত থেকে স্পিনার ব্যবহার করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আনা হয়েছে তাইজুল ইসলামকে। দিনের শুরুটা করেছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। দুই ওভারে ৫ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
৩৮ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৪ রান। লিড ২১৬ রানের।
দিনের খেলা শুরুর আগে দিমুথ কারুনারাত্নে বলেছেন, ৩০০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলে তাদের জন্য ভালো হবে।
আগের দিন শেষ দিকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা ভিশ্ব ফার্নান্দোকে বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না সৈয়দ খালেদ আহমেদ। দিনের তৃতীয় ওভারে তাকে ফেরালেন ড্রেসিং রুমে।
প্রথম দুটি ওভার খেলেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। তৃতীয় ওভারে প্রথমবারের মতো স্ট্রাইক পান ভিশ্ব। খালেদের অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারি দূর থেকেই ব্যাট এগিয়ে দেন ভিশ্ব। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। খানিকটা নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২৪ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন ভিশ্ব। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস।
প্রথম ইনিংসে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মিলে গড়েছেন ২০২ রানের জুটি। এখন আবার তারাই ক্রিজে।
৩৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৬ রান। ৫৩ বলে ২৮ রানে খেলছেন ধানাঞ্জয়া। সফরকারীদের লিড ২১৮ রানের।
তৃতীয় দিনের শুরুতে ভিশ্ব ফার্নান্দোর উইকেট নিলেও এরপর তেমন সুবিধা করতে পারছে না বাংলাদেশ। কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নিচ্ছেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। এরই মধ্যে সফরকারীদের লিড আড়াইশ ছাড়িয়েছে।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ৪৮ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৯ রান। লিড এখন ২৫১ রানের।
ধানাঞ্জয়া ৪৯ ও কামিন্দু ১২ রানে খেলছেন।
উইকেটের খোঁজে প্রথম ঘণ্টায় নিজের সব বোলারকে ব্যবহার করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিরতির আগে মেহেদী হাসান মিরাজকে আনা হয় আক্রমণে। টার্ন ও বাউন্স পেলেও, উইকেট নিতে পারেননি অফ স্পিনার। জুটি ভাঙতে সফল হননি অন্যরাও।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা দ্বিতীয়বারেও ছুঁলেন পঞ্চাশ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের লিড বাড়াচ্ছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক।
ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি করতে ৮২ বল খেলেছেন ধানাঞ্জয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এর সঙ্গে আছে ৩টি সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বারেও বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জুটি। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো সুযোগ না দিয়েই রান করে যাচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান।
এরই মধ্যে পঞ্চাশ পেরিয়েছে ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দুর সপ্তম উইকেট জুটি। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে তিনশর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার লিড।
৫৩তম ওভারে নাহিদ রানার বলে ৩ চারে ১৪ রান নিয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান।
৫৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৬ রান। লিড এখন ২৮৮ রানের। ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দুর জুটি ৮৫ বলে ৭০ রানের।
ধানাঞ্জয়া ৯৩ বলে ৬৩ ও কামিন্দু ৪৫ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত।
মেহেদী হাসান মিরাজের পরপর দুই বলে ছক্কা ওড়ালেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। প্রথম ছক্কায় দুইশ পেরোলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয়টিতে তাদের লিড স্পর্শ করল ৩০০ রান।
৫৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৮ রান।
প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দুর জুটি একশ রানের পথে। এই জুটি ভাঙার কোনো সম্ভাবনাও জাগাতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা।
৯৯ বলে ৭৫ রানে খেলছেন ধানাঞ্জয়া। কামিন্দু ৪৫ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও একশ রানের জুটি গড়লেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুজনের জুটিতে তরতরিয়ে বাড়ছে শ্রীলঙ্কার লিড।
প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের জুটি গড়া ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দু এবার জুটির ১০০ রান পূর্ণ করেছে ১২৭ বলে।
৬০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২৬ রান। তাদের লিড এখন ৩১৮ রানের।
ধানাঞ্জয়া ১১৬ বলে ৮১ ও কামিন্দু ৬৪ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত।
দিনের শুরুতে ভিশ্ব ফার্নান্দোকে ফেরালেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। এরপর আর সুযোগ দিলেন না ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। তিনশ ছাড়াল শ্রীলঙ্কার লিড। হতাশার এক সেশন পার করল বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৩ রান। সকালের সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ১১৪ রান করেছে তারা। সফরকারীদের লিড এখন ৩২৫ রানের।
প্রথম সেশনের শেষ বলে ফিফটি করেন কামিন্দু। প্রায় দুই বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে দুই ইনিংসেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের একমাত্র ইনিংসেও ফিফটি করেছিলেন তিনি। টেস্টে এখন পর্যন্ত ৩ ইনিংসে ৩টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস তার।
কামিন্দুর আগেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ধানাঞ্জয়া এগোচ্ছেন চলতি ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে। ১২৯ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত লঙ্কান অধিনায়ক।
ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দুর অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৪৫ বলে ১০৭ রান।
এই দুজনের ব্যাটে ক্রমেই চ্যালেঞ্জ বাড়ছে বাংলাদেশের। টেস্টে ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই তাদের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই এক ম্যাচেই শুধু দুইশর বেশি রান তাড়া করেছে তারা।
এমনিতে সব মিলিয়ে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৪১৩ রান। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৫২১ রানের লক্ষ্যে চারশ ছাড়িয়েছিল বাংলাদেশ।
মেহেদী হাসান মিরাজের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি পেছনের পায়ে খেলার চেষ্টায় পরাস্ত ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। বল গ্লাভসে নিয়েই স্টাম্প ভাঙলেন লিটন কুমার দাস। স্টাম্পিংয়ের প্রচ্ছন্ন আবেদনও করলেন।
কিন্তু এর আগেই যে ধানাঞ্জয়ার গ্লাভস ছুঁয়ে গেছে বল, সেটি যেন টেরই পাননি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক। এমনকি বোলার মিরাজ বা অন্য ফিল্ডারদেরও তেমন কোনো হেলদোল দেখা যায়নি। রিপ্লেতে দেখা যায়, পরিষ্কারভাবে গ্লাভসে ছুঁয়েছে ওই বল।
ফলে ৯৪ রানে বেঁচে যান ধানাঞ্জয়া। প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়া বেঁচে যান শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। দ্বিতীয়বারেও বেঁচে গিয়ে সেঞ্চুরির পথে তিনি।
৭২ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭০ রান। ধানাঞ্জয়া ১৫৫ বলে ৯৮ ও কামিন্দু মেন্ডিস ৯৭ বলে ৭০ রানে খেলছেন। শ্রীলঙ্কার লিড এখন ৩৬২ রানে। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ১৪৪ রান।
নব্বই পেরিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর সেঞ্চুরি করতে কোনো ভুল হলো না ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বারেও তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেললেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। ১৬৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরি তার। সব মিলিয়ে দ্বাদশ।
৫৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন ধানাঞ্জয়া। শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টের দুই সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে তিনিই প্রথম। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান তিনি।
৭৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৩ রান। তাদের লিড এখন ৩৬৫ রানের। কামিন্দু মেন্ডিস অপরাজিত ৭১ রানে।
৮০ ওভার হতেই দ্বিতীয় নতুন বল নিলো বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে এলো জুটি ভাঙার সুযোগ। কিন্তু শরিফুল ইসলামের বলে সহজ ক্যাচ নিতে পারলেন না নাহিদ রানা। ১০১ রানে বেঁচে গেলেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা।
দুইবার বেঁচে যাওয়া ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দু ডি সিলভার জুটিতে এরই মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। তরতরিয়ে বাড়ছে তাদের লিড।
৮১ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৯ রান। তাদের লিড বেড়ে হয়েছে ৩৮১ রান।
অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দু যোগ করেছেন ১৬৩ রান। কামিন্দু ১৩৪ বলে ৮০ ও ধানাঞ্জয়া ১৭২ বলে ১০৭ রানে খেলছেন।
সেঞ্চুরির আগে-পরে দুইবার বেঁচে যাওয়ার পর আর বেশিক্ষণ টিকলেন না ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ ট্র্যাকার ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে সোজা শর্ট মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক।
৯ চার ও ২ ছক্কায় ১৭৯ বলে ১০৮ রান করে থামলেন ধানাঞ্জয়া। তার বিদায়ে ভাঙল ১৭৩ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান প্রাবাথ জয়াসুরিয়া। সেঞ্চুরির আশা বাঁচিয়ে রেখে ১৪৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত কামিন্দু মেন্ডিস।
৮৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০৪ রান। তাদের লিড এখন ৩৯৬ রানের।
ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ফিরলেও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে এরই মধ্যে চারশ ছাড়িয়েছে সফরকারীদের লিড।
৮৮ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩১৩ রান। তাদের লিড এখন ৪০৫ রানের।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৯৪ রানে খেলছেন কামিন্দু। প্রাবাথ জয়াসুরিয়া অপরাজিত ৪ রানে।
প্রায় দুই বছর পর টেস্টে ফিরে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন কামিন্দু মেন্ডিস। বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের হতাশায় ডুবিয়ে ১৩ চারে ১৭১ বলে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টের দুই সেঞ্চুরির জাদুকরী স্পর্শ পেলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এক টেস্টে দুই শতকের দেখা পাওয়া সপ্তম ব্যাটসম্যান তিনি।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭ নম্বরে নেমে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন কামিন্দু। দ্বিতীয়বারে তিনি নেমেছেন ৮ নম্বরে। টেস্ট ইতিহাসে ৭ বা তার নিচে নেমে একই ম্যাচের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও জোড়া বেধে সেঞ্চুরি করলেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। একইসঙ্গে তারা ছুঁয়ে ফেললেন বিরল এক কীর্তি।
প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একই দলের দুই ব্যাটসম্যানের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার তৃতীয় ঘটনা এটি।
সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার সহোদর গ্রেগ চ্যাপেল ও ইয়ান চ্যাপেল। এর প্রায় ৪০ বছর পর ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবু ধাবিতে একই কীর্তি গড়েন আজহার আলি ও মিসবাহ উল হক।
এছাড়া জুটিতেও বিরল কীর্তিতে নাম তুলেছেন ধানাঞ্জয়া ও কামিন্দু। প্রথম ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ২০২ রানের জুটি। দ্বিতীয়বারে সপ্তম উইকেটে তারা যোগ করেন ১৭৩ রান।
টেস্ট ইতিহাসে দুই ব্যাটসম্যানের একই ম্যাচের দুই ইনিংসে ১৫০ রানের বেশি জুটি গড়ার তৃতীয় ঘটনা এটি।
সর্বপ্রথম ১৯৩৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এডি পয়েন্টার ও পল গিব গড়েন এই কীর্তি। পরে ২০১৫ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের পাশে বসেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নস।
সিলেট টেস্টে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে ৪৩০ রানে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
৯৪ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। কামিন্দু মেন্ডিস ১৭১ বলে ১০০ ও প্রাবাথ জয়াসুরিয়া ৩৪ বলে ১৩ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ৩৯ রান।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড, ৪১৮ রানের। অর্থাৎ লঙ্কানরা এই মুহূর্তে ইনিংস ঘোষণা করলেও ম্যাচ জিততে নতুন ইতিহাস লিখতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রথমটির মতো দিনের দ্বিতীয় সেশনেও স্রেফ ১ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে ৩১ ওভারে ১০৫ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
ধানাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরানোর পরও তেমন স্বস্তি পেল না বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেট জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নিচ্ছেন কামিন্দু মেন্ডিস ও প্রাবাথ জয়াসুরিয়া। এরই মধ্যে দুজন গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
১০০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৬১ রান। তাদের লিড এখন ৪৫৩ রানের।
কামিন্দু ১৯৯ বলে ১১৫ ও জয়াসুরিয়া ৪২ বলে ২১ রানে অপরাজিত।
মেহেদী হাসান মিরাজের রাউন্ড দা উইকেট থেকে হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি স্লগ সুইপের চেষ্টা করলেন প্রাবাথ জয়াসুরিয়া। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারলেন না। বল আঘাত করল অফ স্টাম্পে।
ক্যারিয়ারের আগের সর্বোচ্চ ১৬ ছাড়িয়ে ২৫ রান করে ফিরলেন জয়াসুরিয়া। তার বিদায়ে ভাঙল ৬৭ রানের অষ্টম উইকেট জুটি।
১০১.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৬৬ রান। তাদের লিড এখন ৪৫৮ রান।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান লাহিরু কুমারা। ২০৩ বলে ১১৬ রানে অপরাজিত কামিন্দু মেন্ডিস।
প্রাবাথ জয়াসুরিয়ার পরের বলে লাহিরু কুমারাকেও ফেরালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি কুমারা। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি কুমারার।
১০২ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৬৬ রান। তাদের লিড এখন ৪৫৮ রান।
ক্রিজে শেষ জুটিতে আছেন কাসুন রাজিথা ও কামিন্দু মেন্ডিস।
শেষের কাছে পৌঁছে কাসুন রাজিথাকে নিয়ে লড়াই করছেন কামিন্দু মেন্ডিস। ধীরে ধীরে পাঁচশ রানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার লিড। এর মাঝেই কামিন্দুর ক্যাচ ছেড়েছেন লিটন কুমার দাস।
মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরে করা ডেলিভারি টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে কামিন্দুর ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে যায়। উইকেটের পেছনে সেটি নিতে পারেননি লিটন। ফলে ১৩৫ রানে বেঁচে যান কামিন্দু।
১০৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৯০ রান। তাদের লিড এখন ৪৮২ রান।
২২২ বলে ১৩৬ রানে খেলছেন কামিন্দু। ৭ বলে ৪ রানে অপরাজিত কাসুন রাজিথা।
তাইজুল ইসলামের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। মিড উইকেটে নিরাপদে ক্যাচ নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সমাপ্তি ঘটল শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের।
কামিন্দু ও ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান করল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসের ৯২ রানের লিডসহ বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এখন ৫১১ রানের।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড, ৪১৮ রানের। অর্থাৎ ম্যাচ জিততে নতুন ইতিহাস লিখতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য সময়ের অবশ্য কমতি নেই। পুরো দুই দিনসহ তৃতীয় দিনের ১৫ ওভার খেলা বাকি এখনও।
১৬ চার ও ৬ ছক্কায় ২৩৭ বলে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কামিন্দু। দশম উইকেটে কাসুন রাজিথাকে নিয়ে তিনি যোগ করেছেন ৫২ রান।
আগের দিন ৫ উইকেটে ১১৯ রানের সঙ্গে রোববার বাকি ৫ উইকেটে শ্রীলঙ্কা করেছে ৭৪.৪ ওভারে ২৯৯ রান।
কামিন্দুর আগে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক ধানাঞ্জয়ার ব্যাট থেকে আসে ১০৮ রান।এছাড়া পঞ্চাশ ছোঁয়া আরেক ব্যাটসম্যান দিমুথ কারুনারাত্নে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (আগের দিন ১১৯/৫) ১১০.৪ ওভারে ৪১৮ (ধানাঞ্জয়া ১০৮, ভিশ্ব ৪, কামিন্দু ১৬৪, জয়াসুরিয়া ২৫, কুমারা ০, রাজিথা ৪*; শরিফুল ২১-২-৭৫-১, খালেদ ১৮-২-৪৬-১, নাহিদ ২০-১-১২৮-২, তাইজুল ২০.৪-২-৭৫-২, মিরাজ ২৯-৮-৭৪-৪, মুমিনুল ১-১-০-০, শান্ত ১-০-৫-০)
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ভিশ্ব ফার্নান্দোর মিডল স্টাম্পে পিচ করে ভেতরে আসা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি তরুণ ওপেনার।
বল প্যাডে আঘাত করতেই আবেদনের চেয়ে বরং উদযাপনই শুরু করেন ভিশ্ব। আম্পায়ারও আঙুল তুলতে সময় নেননি। কিছুক্ষণ আলোচনা করে রিভিউ নেন জয়। তাতে কোনো লাভ হয়নি। শূন্য রানেই বিদায়ঘণ্টা বাজে তার।
১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে জয়ের ষষ্ঠ শূন্য এটি।
তিন নম্বরে নেমেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজে আরেক ওপেনার জাকির হাসান।
দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে উইকেট বিলিয়ে এলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল দূর থেকেই খেলার চেষ্টা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন তিনি।
অথচ ছেড়ে দিলে ওই বলে ওয়াইডও পেতে পারত বাংলাদেশ। উল্টো ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে স্বাগতিকরা।
৫ বলে ৬ রান করে আউট হয়েছেন শান্ত। চার নম্বরে নেমেছেন মুমিনুল হক। ক্রিজে আরেক ব্যাটসম্যান ওপেনার জাকির হাসান।
অতিরিক্ত শট খেলার মাশুল গুনলেন জাকির হাসান। লাহিরু কুমারার অফ স্টাম্পের বাইরের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি বাউন্সের মুখে খেলার চেষ্টা করেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
২ চারে ২২ বলে ১৯ রান করে ফিরলেন জাকির। ৮ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে বাংলাদেশ।
৮ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন। ১৬ বলে ২ রানে খেলছেন মুমিনুল হক।
টিকতে পারলেন না শাহাদাত হোসেন। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরলেন ড্রেসিং রুমে। চল্লিশের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে গভীর খাদে বাংলাদেশ।
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভিশ্ব ফার্নান্দোর বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি খোঁচা মেরে আউট হলেন তরুণ ব্যাটসম্যান। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন কুসাল মেন্ডিস।
৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও লিটন কুমার দাস।
চল্লিশের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে দল। দায়িত্ব নিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করার বদলে চাপ আরও বাড়িয়ে গেলেন লিটন কুমার দাস। প্রথম বলেই কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো শট খেলে ফিরলেন কিপার-ব্যাটসম্যান।
ভিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বড় শটের চেষ্টা করলেন লিটন। কিন্তু টাইমিং হয়নি। বল উঠে যায় আকাশে। কভার থেকে অনেকটা ভেতরে এসে সহজ ক্যাচ নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
সাত নম্বরে নেমেছেন তাইজুল ইসলাম। ১৭ বলে ৩ রানে অপরাজিত মুমিনুল হক।
৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৭ রান।
ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ন্যুনতম লড়াইয়ের আশাও দেখাতে পারছে না বাংলাদেশ। ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ৫ উইকেটে ৪৭ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা।
বাকি ৫ উইকেট নিয়ে আরও ৪৬৪ রানের জন্য চতুর্থ দিন খেলতে নামবে তারা। মুমিনুল হক ২৯ বলে ৭ ও তাইজুল ইসলাম ১৪ বলে ৬ রানে সোমবার ব্যাটিংয়ে নামবেন। এরপর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাকি আছেন শুধু মেহেদী হাসান মিরাজ।
৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে এদিন বাকি ৫ উইকেটে আরও ২৯৯ রান যোগ করেছে তারা। শেষ পর্যন্ত তারা থেমেছে ৪১৮ রানে।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয়বারেও তিন অঙ্ক ছোঁয়া ধানাঞ্জয়া আউট হন ১০৮ রান করে। এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা শ্রীলঙ্কার প্রথম অধিনায়ক তিনি। সব মিলিয়ে এই তালিকায় দেশের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান ধানাঞ্জয়া।
তার বিদায়ের পর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কামিন্দু। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরা কামিন্দু খেলেন ১৬৪ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৭ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার করেছেন ৮ নম্বরে নেমে।
টেস্ট ইতিহাসে ৭ বা তার নিচে নেমে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান কামিন্দু। এছাড়া প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একই দলের দুই ব্যাটসম্যানের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার তৃতীয় ঘটনা এটি।
দিনের শেষ ঘণ্টায় বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভারের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে এলবিডব্লিউ হন মাহমুদুল হাসান জয়। পরের ওভারে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর জাকির হাসানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। শাহাদাত হোসেন ও লিটন কুমার দাসকে পরপর দুই বলে ফেরান ভিশ্ব ফার্নান্দো। প্রথম বলেই আউট লিটনের ওই শটের ব্যাখ্যাও খুঁজে পাওয়া কঠিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (আগের দিন ১১৯/৫) ৭৪.৪ ওভারে ৪১৮ (ধানাঞ্জয়া ১০৮, ভিশ্ব ৪, কামিন্দু ১৬৪, জয়াসুরিয়া ২৫, কুমারা ০, রাজিথা ৪*; শরিফুল ২১-২-৭৫-১, খালেদ ১৮-২-৪৬-১, নাহিদ ২০-১-১২৮-২, তাইজুল ২০.৪-২-৭৫-২, মিরাজ ২৯-৮-৭৪-৪, মুমিনুল ১-১-০-০, শান্ত ১-০-৫-০)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১) ১৩ ওভারে ৪৭/৫ (জয় ০, জাকির ১৯, শান্ত ৬, মুমিনুল ৭*, শাহাদাত ০, লিটন ০, তাইজুল ৬*; ভিশ্ব ৭-৩-১৩-৩, রাজিথা ৩-০-১৯-১, কুমারা ৩-১-৬-১)