ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব কেমন হতে পারে, ইউনিলিভার তারই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।”
Published : 14 Apr 2025, 12:52 AM
নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ঢাকা সদর দপ্তরে সফর করেছেন যুক্তরাজ্য সরকারের বাণিজ্যদূত ও ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন (ডনকাস্টার)।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বলে ইউনিলিভারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইউবিএলের ঢাকা সদর দপ্তরে তাদের স্বাগত জানান ইউনিলিভার বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে ছিলেন হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর সৈয়দা দুরদানা কবির; কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর শামিমা আক্তার এবং লিগ্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি এসএম রাশেদুল কাইয়ুম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চপর্যায়ের এই সফর ইউনিলিভারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে। কীভাবে ব্রিটিশ ঐতিহ্য থেকে বেড়ে ওঠা এই কোম্পানি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশে ‘একটি অপরিহার্য অংশ’ হয়ে উঠেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে তাদের সামনে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারের অংশ এবং এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্যে।
এই সফর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউবিএল-এর নেতৃবৃন্দ প্রতিষ্ঠানের ছয় দশকের যাত্রা উপস্থাপন করেন অতিথিদের সামনে। সেখানে বলা হয়, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এখন বাংলাদেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে ৯টির অংশ। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে এ কোম্পানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে একটি সাবানের কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইউনিলিভারের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকে এ কোম্পানির ২৫টির বেশি ব্র্যান্ড দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে, যার ৯৬ শতাংশের বেশি পণ্য এখন দেশেই উৎপাদিত হয়।
১৯৭৩ সাল থেকে ইউনিলিভারের ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের; যা জাতি গঠনে প্রতিষ্ঠানের ‘গভীর ও স্থায়ী অংশীদারত্বের প্রমাণ’ বলে এ কোম্পানির ভাষ্য।
ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব কেমন হতে পারে, ইউনিলিভার তারই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। একটি ব্রিটিশ কোম্পানি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্পে এত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাদের এই পথচলা শুধু বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি যৌথ সমৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীল ব্যবসার প্রতিচ্ছবি।”
অনুষ্ঠানে ইউনিলিভারের অগ্রগামী টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু সহনশীলতা, প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাস, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং কমিউনিটির ক্ষমতায়ন।
উদ্ভাবনকে কেন্দ্র করে ইউনিলিভার বাংলাদেশে জাতীয় উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্রমাগত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে এ কোম্পানির ভাষ্য।
সারাহ কুক বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়। ইউনিলিভারের মতো দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রেখে স্থানীয় প্রতিশ্রুতি পালন করা ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো এই রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। টেকসই উন্নয়নে তাদের বিনিয়োগই আজকের পৃথিবীর প্রয়োজনীয় কর্পোরেট নেতৃত্বের উদাহরণ।”
ইউবিএলের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, “আমরা আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত, আমাদের লক্ষ্য নিয়ে গর্বিত, এবং বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত। এই যাত্রায় পাশে থাকার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যের অংশীদার এবং বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধুই ব্যবসার প্রতি নয়, এই দেশের মানুষের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতিও।”