৪৩ বছর বয়সী শোয়েব মালিককে পিএসএল খেলতে দেখে ৫০ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ বলছেন, “আমাকে খেলতে দিলে তো আমিও খেলব।”
Published : 15 Apr 2025, 12:52 PM
বয়স পেরিয়ে গেছে ৪৩। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য টুর্নামেন্টে মেন্টরের ভূমিকাও পালন করেছেন। এমন একজন কেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলবেন? শোয়েব মালিককে পিএসএল খেলতে দেখে বেশ চটেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। ৫০ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাটসম্যান বলছেন, সুযোগ দেওয়া হলে তিনি নিজেও এখনও খেলতে চাইবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের উচিত এমন কাউকে সুযোগ না দেওয়া।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মালিক সবশেষ খেলেছেন ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। এরপর থেকে দেশের ভেতরে-বাইরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেখা যাচ্ছে তাকে। দেশের বাইরের লিগে খেলার জায়গাও অনেকটা কমে এসেছে তার সাম্প্রতিক সময়ে। গত এক বছর ধরে শুধু পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটেই খেলার সুযোগ পাচ্ছেন।
গত অক্টোবরে ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে একটি দলের মেন্টর ছিলেন মালিক। ওই আসরে মেন্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন মিসবাহ-উল-হাক, সাকলায়েন মুশতাকের মতো সাবেকরা। এখন মালিক আবার খেলছেন পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে।
পাকিস্তানের সামা টিভিতে আলোচনায় সঞ্চালক প্রশ্ন করলেন, ‘শোয়েব মালিক কবে ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেবেন?” সেখানেই ইউসুফ বললেন, ব্যাপারটি দেখা উচিত পাকিস্তানের বোর্ডের।
“শোয়েব মালিকের পিএসএল খেলার ক্ষেত্রে একটি সীমারেখা টেনে দেওয়া উচিত পিসিবির। এমনকি আমাকেও এখনও খেলতে দিলে তো আমি খেলব। কিন্তু এটা তো হতে দেওয়া উচিত নয়।”
“আমার মনে হয়, বোর্ডের ঠিক করে দেওয়া উচিত, কে খেলতে পারবে, কে নয়। সবাই তো খেলতে চায়। তবে সিদ্ধান্তটি নেওয়া উচিত বোর্ডের।”
পিএসএলে এবার এখনও পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে একটিতে ব্যাট করে ১৫ বলে ১৪ রান করেছেন মালিক। বল হাতে দুই ওভারে রান দিয়েছেন ৩৫।
গত মাসে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে চার ইনিংস খেলে তার মোট রান ছিল ৬৫, উইকেট নিতে পেরেছিলেন একটি। এর আগে ডিসেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি ৭ ইনিংসে ৪০ ছুঁতে পারেননি একবারও। মোট ১৩২ রান করতে পেরেছিলেন স্রেফ ১১২ স্ট্রাইক রেটে। পারফরম্যান্সের এই হাল আর বয়স মিলিয়েই তাকে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ইউসুফের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে আলোচনায় সাবেক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি অবশ্য আরেকটু সংযত প্রতিক্রিয়া জানালেন।
“সে চাইলে যতদিন ইচ্ছে খেলতে পারে। তবে কিছু ছাড় দিতে পারে। কিছুদিন আগে মইন খানের একাডেমিতে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার। সে সময় ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ চলছিল। সে কিছু ম্যাচ অবশ্যই খেলতে পারে, তবে কিছু ম্যাচে বাইরেও থাকা উচিত, যাতে তরুণরা সুযোগ পেতে পারে এবং নিজেদের মেলে ধরতে পারে।”