বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর নির্যাতিত মানুষের সম্পদ: মাকসুদ কামাল

“বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন; মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন,” বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2024, 11:27 AM
Updated : 26 March 2024, 11:27 AM

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর সব নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। 

তিনি বলেছেন, “দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সাথে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এই মহত্ব অর্জন করেছেন।” 

মঙ্গলবার দুপুরে টিএসসি মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিল জনগণের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। 

“তেমনই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশোর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়।” 

বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কেই ‘ইতিহাস’ বর্ণনা করে উপাচার্য বলেন, “আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। 

“এজন্য তিনি কখনও পরাজিত হননি, সাহস নিয়ে সকল প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবেলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের উপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ও আত্মহুতি দিয়েছিল।” 

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। 

“শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।” 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। 

সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এছাড়া শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। কার্জন হল ও টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।  

আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বক্তব্য দেন। সভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।