“চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচিগুলো চলমান রয়েছে। আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে,” বলেন তিনি।
Published : 24 Sep 2024, 09:02 PM
জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের কথা বলেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী।
মঙ্গলবার ঢাকায় চীনা দূতাবাস ও এনএসইউয়ের যৌথ আয়োজনে ‘২০২৪ ঢাকা-চায়না ডে’-তে তিনি একথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচিগুলো চলমান রয়েছে। আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ইয়াসমিন কামাল ও আজিজ আল কায়সার, কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুর রব খান এবং কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক মা জিওয়ানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক বুলবুল সিদ্দিকী বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের ইতিহাস রয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানটি আমাদের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বন্ধন জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা এনএসইউতে প্রথমবারের মত ঢাকা-চায়না দিবস উদযাপনের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত।”
প্রধান অতিথি এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “চীন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও অনেক উপায়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। আমি চীনের রাষ্ট্রদূতকে পাট খাতে অংশীদারিত্বের সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করছি, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “সাংস্কৃতিক বিনিময় এমন একটি বন্ধন যা মানুষকে একত্রিত করে। বাংলাদেশ ও চীন ইতোমধ্যে একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভাগাভাগি করছে। ঢাকা-চায়না দিবসের মত উৎসবের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক গভীর হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হল।”
চীনের ইউনান থেকে আগত একটি দল অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের শিক্ষার্থীরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া এনএসইউ প্লাজা এলাকায় চীনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী তাদের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, রান্না এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।