রিফাত রশীদকে নতুন সংগঠনের কমিটিতে রাখা না রাখা নিয়ে মুখোমুখি দুই পক্ষ।
Published : 26 Feb 2025, 05:34 PM
ছাত্রদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
মধুর ক্যান্টিনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরার কমিটি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে আরেক পক্ষ খসড়া কমিটি বহাল রেখেই কমিটি ঘোষণা চাইছিলেন। সেই দাবিতে তারা স্লোগানও দিচ্ছিলেন।
এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতিও হয়।
বুধবার বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল। তবে বিকাল সাড়ে ৫টার সময়ও তা হননি।
রিফাত রশিদকে নতুন দলে না রাখার গুঞ্জনে একদলের স্লোগান ছিল ‘রিফাত রশিদের ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘উত্তরায় বৈষম্য মানি না মানব না’।
অন্যপক্ষের স্লোগান ছিল– 'শিক্ষা ঐক্য মুক্তি', ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’।
মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তরার পূর্ব ও পশ্চিমে কমিটি এখনও দেওয়া হয়নি। তারা এখন নতুন দল ঘোষণা করতে চাচ্ছেন। এটা অবশ্যই বৈষম্য।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিফাত রশিদের ভূমিকা আপনারা সবাই জানেন। তাকে বাদ দিয়ে যদি কোন কমিটি হয় তা কখনও আমাদের ম্যান্ডেট নিয়ে হতে পারে না।”
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত কয়েকদিনে উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে কয়েকজন কিছু বেআইনি কাজ করেছে। তারাই এখন এখানে এসে স্লোগান ধরেছে।”
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশীদ বলেছিলেন, যারা সংগঠনটির মধ্যে থেকে নতুন কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হতে চান, তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ ছাড়তে হবে।