“দাবি না মানা হলে আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। সেদিন থেকে কোনো ক্লাস চলবে না, পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে।”
Published : 27 Jun 2024, 03:24 PM
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা ও জরুরি সভা কর্মবিরতির আওতামুক্ত রেখে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।
টানা তিন দিন আধাবেলা করে কর্মবিরতি পালনের পর বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, “যৌক্তিক দাবি আদায়ে আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। তাই আমরা ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব।
“এতেও দাবি না মানা হলে আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। সেদিন থেকে কোনো ক্লাস চলবে না, পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে।”
একই সঙ্গে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এই তিন দিন কলা ভবনের মূল ফটকে শিক্ষকরা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সরকারের চালু করা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এর আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগের পেনশন স্কিম চালু রাখা, ‘সুপার গ্রেডে’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল কার্যকরের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা।
শিক্ষক সমিতির দাবি, এ স্কিম বৈষম্যমূলক। এতে আগামী ১ জুলাই এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।