জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হলগুলো উদ্ধারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা; যার একটি হল দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের বিরুদ্ধে।
Published : 30 Oct 2020, 12:27 AM
ছেলের কর্মকাণ্ডের জন্য হাজী সেলিমের বিপাকে পড়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা এই সংগঠনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিশু মানববন্ধনে বলেন, “হাজী সেলিমের লাঠিয়াল বাহিনীকে প্রশাসন যে ভয় পায় না, সেটা প্রমাণ হবে তার দখলে থাকা হল উদ্ধারের মাধ্যমে। প্রশাসনের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে দ্রুতই হল উদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে।”
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রশাসনের ব্যবস্থা দেখে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি দেব।”
হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের তিব্বত হল দখলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
তিন দশক আগে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীরা যে আবাসিক হলগুলো ছাড়তে বাধ্য হয়, তার একটি তিব্বত হল।
২০০২ সালে ওয়াইজঘাটে স্ত্রীর নামে হাজী সেলিম যে গুলশান আরা সিটি মার্কেট নির্মাণ করেন, সেটি তিব্বত হলের জায়গা দখল করেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
২০১৪ সালে জাতীয় সংসদে হাজী সেলিম ছাত্রলীগের সমালোচনা করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হল পুনরুদ্ধার আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে গুলশান আরা সিটি মার্কেটটি ঘেরাওয়ে গেলে পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় শিক্ষার্থীদের।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে হাজী সেলিম তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পুরান ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা আব্দুল্লাহ ওয়ালফেয়ার ট্রাস্টের সম্পত্তিতে তিনি মার্কেট নির্মাণ করেছেন।
হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার সাজাও হয়েছে।
কয়েক দিন আগের ওই ঘটনার পর থেকে হাজী সেলিম প্রকাশ্যে আসছেন না।
এর মধ্যে তার দখল করা একটি জায়গায় রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।