এসব দাবি মানতে তারা ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
Published : 22 Dec 2024, 08:25 PM
সাম্প্রতিক কয়েকটি ‘গুপ্ত হত্যার’ তদন্তের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে বিশেষ নজরদারি করাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছেন।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তারা দেখা করে এসব দাবি মানতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
উপদেষ্টার কাছে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুপ্ত-হত্যা ও হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সারাদেশের ছাত্র সমাজ। অতীতে বেশকিছু ইস্যুতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের নমনীয়তাকেই আজকের এহেন পরিণতির কারণ হিসেবে মনে করে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাকিন সাবাব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ‘গুপ্ত হত্যা’ ও হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
“আমাদের এ দাবি না মানলে 'ঢাকা ব্লকেড' এর মত কর্মসূচি দেব বলে জানিয়েছি। তবে আমরা আশা করছি এমন কোনো কিছু করা প্রয়োজন হবে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদেরকে জানিয়েছেন এগুলো তার নিজেরও দাবি। তিনি আমাদের দাবি মেনে নেবেন বলে সকল প্রকার আশ্বাস দিয়েছেন।”
তিনি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগস্থলে অস্ত্রধারী বাহিনীর বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেন, "এ বাহিনীর বা প্লাটুনের সদস্যদের অবশ্যই কোনো না কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে নিয়োগ দিতে হবে।"
চার দফা দাবি
>> একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, যেটির দায়িত্ব হবে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ বা বিগত আমলে ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টের’ দোসরদের কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা বের করা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
>> প্রতিটি থানায় কমপক্ষে পাঁচটি টহল গাড়ি ২৪/৭ টহলে থাকতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে।
>> প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে কমপক্ষে চার সদস্যের অস্ত্রধারী একটি প্লাটুন বা দল নিযুক্ত করতে হবে, তারা ওই নির্দিষ্ট এলাকার পাহারার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবে। এদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
>> ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধকরণের পরও এই ’জঙ্গি সংগঠনের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনলাইনে ও ময়দানে সক্রিয় সব নেতাকর্মী এবং তাদের সহযোগীদের নির্মূল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এ টাস্কফোর্সের কার্যক্রমকে বেগবান করতে রাষ্ট্রের সব গোয়েন্দা সংস্থার তৎপর ভূমিকা পালন করতে হবে।