“এই হলের প্রতিটি জিনিস বিপ্লবের স্মৃতিকে ধারণ করছে,” বলেছেন উপাচার্য।
Published : 01 Feb 2025, 07:25 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নবনির্মিত বর্ধিত ভবন ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবন’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
এই ভবনের ২৫২টি কক্ষে ১ হাজার ৮ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন৷
শনিবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য বলেন, “কয়েকটি কারণে আজকের দিন গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট যেন সহনীয় পর্যায়ে আনা যায় সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারই একটি উপলক্ষ আজকের এই ভবন উদ্বোধন।
“দ্বিতীয়ত, এই ভবনটি আধুনিক একটি স্থাপত্য। ভবনটির নামকরণ হয়েছে শহীদদের স্মরণে। সেই শহীদদের রেখে যাওয়া দায় কিছুটা পূরণের জন্য আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “এই হলের প্রতিটি জিনিস বিপ্লবের স্মৃতিকে ধারণ করছে। এটা ভাবতে পারলেই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারব৷”
ছাত্র কক্ষসহ পেছনের বারান্দা ও করিডোরসহ পুরো ভবনটির মেঝে টাইলস দিয়ে আচ্ছাদিত, এছাড়া ভবনটি ক্লোজ সার্কিট-সিসি ক্যামেরা, আধুনিক ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম, জরুরি সিঁড়ি, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রদের জন্য র্যাম্প, হল ভবনে ৩টি, আবাসিক ভবনে ২টিসহ মোট ৫টি লিফট স্থাপন করা হয়েছে।
আবাসিক শিক্ষক ভবনটির নিচতলা পার্কিং সুবিধাসহ জরুরি সিঁড়ি, সিসি ক্যামেরা, ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবন’ এর নিচতলায় প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়, সভাকক্ষ, দর্শনার্থীদের অপেক্ষার জন্য কক্ষ, মিলনায়তন, খাবারের কক্ষ, সেলুন, লন্ড্রি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয় কক্ষ রয়েছে।
দ্বিতীয় তলায় আবাসিক শিক্ষক কক্ষ, মসজিদ, ক্যান্টিন, টেলিভিশন কক্ষ, খেলার কক্ষ, সাংস্কৃতিক কক্ষ, সাইবার কক্ষ, ইমামের আবাসিক কক্ষ ইত্যাদি রয়েছে। তৃতীয় তলা থেকে একাদশ তলা ছাত্রকক্ষ ও পাঠকক্ষ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “আজকের এই দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
শেখ মুজিব হলের এই ভবনটি নামকরণ করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে। বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তারা একটি বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছিলেন। তাদের এই চাওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় মনে রাখে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।