“রেজিস্ট্রার পদে আমরা এইরকম বদমেজাজি কাউকেই চাই না,” বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাসুদ রানা।
Published : 24 Apr 2025, 07:15 PM
ক্যাম্পাসে সাইকেল চুরির লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সময় রেজিস্ট্রারের ‘অসৌজন্যমূলক আচরণের’ অভিযোগ ওঠার পর তার পদত্যাগ দাবি করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দীনের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে রেজিস্ট্রারের কুশপুতুল পুড়িয়ে তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
সেখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রার আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায় শিক্ষার্থীরা নেবে না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “৫ অগাস্ট পরবর্তী আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত ক্যাম্পাস চেয়েছি। কিন্তু এখন আবারও কিছু শিক্ষক ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠছেন। তেমনই একজন গিয়াস উদ্দিন। ওনার অফিসে গেলে উনি অসন্তুষ্ট হয়ে যান। সময় থাকতে সাবধান হন। আপনি তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরে যান। রেজিস্ট্রার পদে আমরা এইরকম বদমেজাজি কাউকেই চাই না।”
বিক্ষোভ-সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহীন মিয়া বলেন, “আপনি ক্লাসরুমে ছিলেন, সম্মান নিয়ে ফিরে যান। যদি সম্মান নিয়ে ফিরে না যান, তাহলে আমরা টেনেহিঁচড়ে নামাব।”
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাইকেল চুরির একাধিক ঘটনায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দীনের কাছে যান ছাত্রফ্রন্টের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সভাপতি ইভান তাহসীবসহ কয়েকজন। সেখানে রেজিস্ট্রার ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
ইভান তাহসীব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার অভাবে শিক্ষার্থীদের সাইকেল হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার অনুরোধ করলে রেজিস্ট্রার সাইকেল হারানোকে উল্টো ‘ব্যক্তিগত দায়’ বলেন। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং শুধুই অফিসিয়াল গাড়ির জন্য। শিক্ষার্থীরা সাইকেল রাখে অবৈধভাবে’।”
শিক্ষার্থী দলের সঙ্গে কথপোকথনের একটি অডিও এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে রেজিস্ট্রারকে ‘উত্তেজিত হয়ে’ কথা বলতে শোনা যায়। ‘শিক্ষার্থীদের অফিস থেকে বের করে দেওয়ার’ কথাও বলতে শোনা যায় অডিওতে।
অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াস উদ্দীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।