অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তির খবরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ খবর এল।
Published : 24 Apr 2025, 10:55 PM
রাঙামাটিতে নিজেদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে তারা। তবে জেএসএস সে অভিযোগ স্বীকার করেনি।
বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জেলা সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামার টিভি মৌন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা।
‘গুলিবিদ্ধ’ ইউপিডিএফ কর্মীর নাম লেটতো চাকমা (৪২)। তিনি যৌথনখামার টিভি মৌন পাড়ার রত্ন কুমার চাকমার ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সচল চাকমা বলেন, “আজ বিকাল পৌনে ৫টার সময় আমছড়ির দেপ্পোছড়ি থেকে দুটি সিএনজি যোগে সন্তু গ্রুপের ছয়জনের একটি সশস্ত্র দল যৌথখামার টিভি মৌন পাড়ায় লেটতো চাকমার বাড়িতে হানা দেয়। এসময় তিনি বাড়ির উঠানে অবস্থান করছিলেন। “সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে দেখা মাত্র গুলি করতে থাকে। এতে তিনি কোমড়ে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। হামলার পর সন্ত্রাসীরা দেপ্পোছড়ির দিকে পালিয়ে যায়।”
ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা।
তিনি বলেন, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সে এলাকায় আমাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই; কোনো কমিটিও নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হতে পারে। কারণ পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে নানা ঝামেলা চলতেছে।”
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, “আমরা এ রকম ঘটনার খবর শুনেছি। তবে এখনো কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ দেয়নি।”
চাকমাদের বিঝু উৎসব শেষে গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী অপহৃত হন।
অপহরণের ঘটনায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফকে দায়ী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে জনসংহতি সমিতির ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিবৃতিতে পিসিপি বলে, অপহরণকারীরা কয়েক দফায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে।
তাদের এ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরেই নিজেদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ তুলল ইউপিডিএফ।