সোমবার সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভা ডাকার কথা বলেছেন উপাচার্য।
Published : 27 Jan 2025, 03:47 AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মধ্যরাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবারের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার কথা রাত ২টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এদিকে হঠাৎ ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
এদিকে রাত আড়াইটার সংঘাত থামলেও ক্যাম্পাস ও নীলক্ষেত-নিউ মার্কেট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে হল পাড়ায় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউ মার্কেট ও ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে আছেন।
বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষের মাঝে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনিবার্যকারণবশত সোমবারের পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে।
পরে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রোববার গভীর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
সোমবার সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভা ডাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সভায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
যে সকল বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মারামারির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, " বর্তমানে দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় কোনো তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।"
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য মামুন আহমেদ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সব পক্ষকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তার কথায় রাগ করে তিন সড়কের মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনা বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে রাত দেড়টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, "সন্ধ্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে আমার অফিসে আলোচনাকে কেন্দ্র করে রাতে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা দুঃখজনক। এতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।
”আমি বিশ্বাস করি সুষ্ঠু পরিবেশে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে যে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে তা প্রশমনের জন্য সব পক্ষকে আমি ধৈর্য ধারণের জন্য আমি আন্তরিক আহবান জানাচ্ছি।"