অগ্নি নির্বাপণ পণ্য দেশে উৎপাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Published : 17 Feb 2024, 05:56 PM
চলতি বছরের মধ্যেই দেশের সব উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেছেন, “ইনশাআল্লাহ এই বছরের মধ্যেই প্রত্যেকটি উপজেলায় আমাদের ফায়ার স্টেশন থাকবে।
“আমাদের যতগুলো বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়েছে, সেখানেও কিন্তু আমাদের ফায়ার স্টেশন দরকার, ওখানেও ফায়ার স্টেশন রাখার ব্যবস্থা করব।”
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অগ্নি নির্বাপণ উপকরণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইসাব নবমবারের মতো এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য আগুন যাতে না লাগে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিরাপদ ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে ভবন নির্মাণ আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সেই আইন প্রণয়ন হওয়ার পর একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থাও করা হবে বলে অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তিনি।
সালমান বলেন, দেশে কিছু আগুন প্রতিরোধক দরজা ও কেবল তৈরি করা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রায় সব পণ্যই আমদানি করতে হয়।
“সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এখন থেকে বাড়িঘর নির্মাণ করার সময় অগ্নি প্রতিরোধক পণ্য ব্যবহারের একটা ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে।”
১৭ কোটি মানুষের এ দেশে অগ্নি নির্বাপণ পণ্যের চাহিদা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বিশাল একটি বাজার তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে এসব পণ্য দেশেই উৎপাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
“আপনারা যাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করছেন, তাদের সাথে জয়েন্টভেঞ্চারে অথবা তাদেরকেই এ দেশে এসব পণ্য উৎপাদন বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করেন। দেশে এসব পণ্য উৎপাদন করলে দেশের বিশাল চাহিদা পূরণ করে রপ্তানিও করা যাবে।”
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে। এর ফলে দেশে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে।”
এসব অঞ্চলে অগ্নি নির্বাপণ পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “বাংলাদেশ এখন নিরাপদ পোশাক কারখানার মডেল। পৃথিবীর সেরা ২৩টি পোশাক কারখানার ২১টি বাংলাদেশের। তবে এটা পোশাক খাতে।
“এখন অন্যান্য খাতেও নিরাপদ ও উন্নত কারখানা নির্মাণ শুরু হয়েছে। এর ফলে বিশাল বাজার সৃষ্টি হচ্ছে।”
এ বাজার ধরতে অগ্নি নির্বাপণ পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কলকারখানা ও আবাসিক ভবনে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ প্রদর্শনী করা হচ্ছে। তিন দিনের এ আয়োজনে বিশ্বের খ্যাতনামা ৮৫টি কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, ইসাব সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতি।