এর আগে কমানো হয়েছিল ৫০ পয়সা।
Published : 29 Nov 2023, 08:00 PM
ডলারের দরে লাগাম টানতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান এ বিদেশি মুদ্রার দর আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা ৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্বে থাকা দুই সংগঠন এবিবি ও বাফেদা জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৫ পয়সা কমানোর ফলে ডলারের ক্রয় দর হবে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। এর আগে গত ২২ নভেম্বর এ দুই সংগঠন দাম নির্ধারণের দায়িত্বে আসার পর প্রথমবারের মতো ৫০ পয়সা দর কমিয়েছিল।
বাফেদার নির্বাহী সচিব আবুল হাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘এখন থেকে সব ধরনের ডলারের ক্রয় দর সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয় দর হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।’’
এক বছরে প্রথমবার ডলারের দর কমলো
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সায় কিনে আমদানিসহ যেকোনো বৈদেশিক দায় মেটাতে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ২৫ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক।
ডলারের দর কমিয়ে টাকার মান শক্তিশালী করার কারণ ব্যাখ্যায় এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ডলার বাজার আগের চেয়ে অনেকটা ভালো হচ্ছে। টাকাও স্থিতীশীল হচ্ছে। তারপরও অনেক ব্যাংক ডলার ধরে রাখছে দর বাড়বে এমন আশায়। তারা বিক্রি করেছে না। এজন্য দর কমানোর মাধ্যমে বার্তা দিতে চাই ডলারের বিপরীতে টাকা স্থিতীশীল হচ্ছে।‘’
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের যে চাপ বাংলাদেশের উপর ছিল তা কমতে শুরু করেছে দাবি করে তিনি বলেন, "এমন সময়েও কিছু রপ্তানিকারক রপ্তানি আয় দেশে না এনে বিদেশেই রাখছেন কোনো কারণ ছাড়াই। বাড়তি দরের আশাও তারা করছেন।
বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার অংশ হিসেবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের দর নির্ধারণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে দাম নির্ধারণ করে থাকে সংগঠন দুটি।
কোভিড মহামারী থেকে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সময় ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে বসলে আন্তর্জাতিক বাজারের দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে ডলারের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তখন থেকে সরবরাহ সঙ্কটে দাম বেড়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।
বাফেদা ও এবিবি দর নির্ধারণের দায়িত্বে আসার পর থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্রমাগত ডলারের দর বাড়িয়ে আসছিল সংগঠন দুটি। দর বাড়ানোর হার বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না এমন সমালোচনার মধ্যে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ডলারের দর কমিয়েছে সংগঠন দুটি।