নতুন নাম ঠিক করা হয়েছে ‘সোনার বাংলা লিজ ফাইন্যান্স পিএলসি’।
Published : 24 Dec 2023, 06:37 PM
অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবতে ব্সা ব্যাংক বহিূর্ভত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন নাম ঠিক করা হয়েছে ‘সোনার বাংলা লিজ ফাইন্যান্স পিএলসি’। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় নাম পরিবর্তনে শেয়ারধারকদের অনুমোদন লাগবে। সেজন্য বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ডেকে রোববার তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে পিপলস লিজিং।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিপলস লিজিংয়ের বিশেষ সাধারণ সভা হবে।
সভার আলোচ্য সূচিতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ‘সোনার বাংলা লিজ ফাইন্যান্স পিএলসি’ রাখার প্রস্তাবটিও রয়েছে। শেয়ারধারকরা অনুমোদন দিলে নাম বদলের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এগিয়ে নেবে পিপলস লিজিং।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ রয়েছে এখনো। সময়ে সময়ে লেনদেন বন্ধ থাকার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১১ ডিসেম্বর আরো ১৫ দিনের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার তথ্য জানায় ঢাক স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। পিপলস লিজিং এর একটি।
নানা কৌশলে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান বলে ২০২০ সালের শুরুতে খবর আসে। তাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে জারি করা হয় রেড নোটিস। পরে তিনি ভারতে গ্রেপ্তার হন।
অনিয়ম-দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের জন্য ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই মামলার শুনানি শেষে অবসায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
আমানতকারীদের আন্দোলনের মুখে ২০২১ সালের জুন মাসে শুরু হওয়া অবসায়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করে কোম্পানি পুনরুজ্জীবিত করতে ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় উচ্চ আদালত।
সেই সঙ্গে আমানতকারী ও ঋণগ্রহীতাসহ পর্ষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি ও দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক চেয়ারম্যানকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক পিপলস লিজিংকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমোদন দেয় ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর। এরপর থেকে গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত ও বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল এ কোম্পানি।
নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর আমানতকারীদের কিছু অংশ ফেরত দিতে পারলেও এখনো বকেয়া রয়েছে বৃহত অংশই।
পুরনো খবর:
পিপিলস লিজিং: আমানত ফেরত পেতে '৩২ লাখ টাকা' খরচ আন্দোলনকারীদের
পি কে হালদারের জের টানছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো
‘বেনাপোল দিয়ে ২০১৯ সালেই’ দেশ ছাড়েন পি কে হালদার