তবে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না।
Published : 06 Jun 2023, 06:24 PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ইভ্যালির কর্ণধার মে. রাসেল।
চারটি শর্তে তাকে এই জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পরপরই কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি। তবে অর্থ দিয়েও পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
অভিযোগ বাড়তে থাকার মধ্যে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর তাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়। শামীমা জামিনে ছাড়া পেলেও রাসেল এখনও কারাগারে রয়েছেন।
রাসেল গ্রেপ্তার হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাড্ডা থানায় যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় হাই কোর্ট থেকে মঙ্গলবার জামিন পেলেন রাসেল।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ রাসেলের জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে রাসেলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
আহসানুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিনে আদালত শর্ত দিয়েছেন। শর্তগুলো হল- রাসেলকে থানায় মাসে একদিন করে হাজিরা দিতে হবে, বিচারকাজে বিচারককে সহযোগিতা করতে হবে, কোনো ধরনের অপপরাধমূলক কাজে যুক্ত হওয়া যাবে না; কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ বিকৃত করা যাবে না।”
“রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না,” বলেন তার আইনজীবী।
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার জানিয়েছেন, তারা রাসেলের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করবেন।
আলমগীর হোসেনের করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাসেও তিনি তা পাননি।
প্রতারণার এই ঘটনা ডিজিটাল মাধ্যমে হওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়। এতে আসামি করা হয় রাসেলসহ ১৫-২০ জনকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর গত ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।