‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ)’ পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস।
Published : 22 Nov 2022, 09:52 PM
চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-২০১৯’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, “চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় করণীয় ঠিক করতে আমরা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করব।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে রপ্তানি খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খাতভিত্তিক নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে পদক দেওয়া হয়।
এবার ৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি স্বর্ণ, ২৪টি রৌপ্য, ১৮টি ব্রোঞ্জ পদক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ)’ জেতে হা-মীম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস।
নিট পোশাক, ওভেন পোশাক, হোম টেক্সটাইল, সুতা, টেক্সটাইল ফেব্রিক্স, হোম ও স্পেশালইজ টেক্সটাইল, টেরিটাওয়াল, হিমায়িত খাদ্য, কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, কৃষিপণ্য, এগ্রো প্রসেসিং পণ্য, ফুল ফলিয়েজ, হস্তশিল্প খাত, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, সফটওয়্যার, প্যাকেজিং এক্সেসরিজসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এবারের পদক দেওয়া হয়েছে।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত, প্লাস্টিক ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংখাতে মোট ছয়টি পদক গেছে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএলের কাছে।
পুরস্কার পেল যেসব প্রতিষ্ঠান
নিট পোশাক উপখাতে জিএমএস কম্পোজিট, স্কয়ার ফ্যাশনস ও ফোর এইচ ফ্যাশনস। স্পিনিং মিলে বাদশা টেক্সটাইল, কালাম ইয়ার্ন ও নাইস কটন। বস্ত্রকলে এনভয় টেক্সটাইল, আকিজ টেক্সটাইল ও নাইস ডেনিম পুরস্কার পাবে।
হোম ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল শ্রেণিতে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের এবং টেরিটাওয়েলে মান টেরিটাওয়েল মিলস পুরস্কার পাচ্ছে। হিমায়িত খাদ্যে পুরস্কার পেয়েছে জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, অ্যাপেক্স ফুডস ও এমইউ সি ফুডস। কাঁচাপাটে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স আর পাটজাত পণ্যে আকিজ জুট মিলস, করিম জুট স্পিনার্স ও ওহাব জুট মিলস।
চামড়া খাতে অ্যাপেক্স ট্যানারি ও এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ; চামড়াজাত পণ্যে পিকার্ড বাংলাদেশ, এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিবিজে লেদার গুডস; জুতাশিল্পে বে-ফুটওয়্যার, রয়েল ফুটওয়্যার ও এফবি ফুটওয়্যার এবং কৃষিপণ্যে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং ও ইনডিগো করপোরেশন পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য শ্রেণিতে তিনটি পুরস্কারই পেয়েছে প্রাণ গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- প্রাণ ডেইরি, প্রাণ অ্যাগ্রো ও প্রাণ ফুডস। ফুল ফলিয়েজ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রাজধানী এন্টারপ্রাইজ ও এলিন ফুডস ট্রেড।
হস্তশিল্প শ্রেণিতে কারুপণ্য রংপুর, বিডি ক্রিয়েশন ও ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বিডি; প্লাস্টিক পণ্যে বেঙ্গল প্লাস্টিকস, ডিউরেবল প্লাস্টিক ও বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল।
সিরামিক পণ্যে শাইনপুকুর সিরামিকস, আর্টিসান সিরামিকস ও প্যারাগন সিরামিক; হালকা প্রকৌশল শিল্পের ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্ট, ইউনিগ্লোরি সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউনিট-২ পুরস্কার পেয়েছে।
এ ছাড়া ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্যে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং, কনফিডেন্স স্টিল ও রহিম আফরোজ ব্যাটারি; অন্যান্য শিল্পজাত পণ্যে তাসনিম কেমিক্যালস কমপ্লেক্স, মেরিন সেফটি সিস্টেম, মূমানু পলিয়েস্টার ইন্ডাস্ট্রিজ; ওষুধ খাতে বেক্সিমকো, স্কয়ার ও ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কম্পিউটার সফটওয়্যারে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড পুরস্কার পেয়েছে।
ইপিজেডের শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাকশিল্প (নিট ও ওভেন) শ্রেণিতে ইউনির্ভাসেল জিনস ও প্যাসিফিক জিনস এবং অন্যান্য পণ্য ও সেবায় ফারদিন এক্সেসরিজ ও আরএম ইন্টারলাইনিংস পুরস্কার পেয়েছে।
প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ পণ্যে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং, মনট্রিমস ও ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন, ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল ও দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ড কোম্পানি পুরস্কার পেয়েছে।
অন্যান্য সেবা খাতে মীর টেলিকম এবং নারী উদ্যোক্তা বা নারী রপ্তানিকারক (সংরক্ষিত) শ্রেণিতে স্কয়ার টেক্সটাইল ও আল-সালাম ফেব্রিকস পুরস্কার পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান্যান এ এইচ এম আহসান বক্তব্য রাখেনে। ট্রফি পাওয়াদের মধ্যে রিফাত গানর্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ এবং পিকার্ড বাংলাদেশ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমৃত মাকিন বক্তব্য রাখেন।