“একদম যারা ব্যাংকে যেতে পারছেন না, মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন, এই মানুষগুলোকে আমরা জামানতহীন একক সুদহারে ঋণ দিতে চাই”
Published : 15 Jun 2023, 12:38 PM
সমাজের যে অংশটি অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে যুক্ত, যাদের লেনদেন হয় ‘ক্যাশ’ টাকায়, প্রথাগত ব্যাংকও যাদের ঋণ দেয় না, সেই বড় অংশটিকে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনার স্বপ্ন দেখছে ‘নগদ’।
ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল লেনদেন সেবা বলছে, ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেলে তারা একেবারে প্রান্তিক মানুষদের এক অংকের সুদ হারে ঋণ দিতে চায়। এই ঋণের জন্য কোনো জামানতও রাখা হবে না।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান যেভাবে কাজ করেছে, তাতে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো হয়ে গেছে।
কারা ঋণ পাবে, পেলে কত টাকা পাবে, সে বিষয়ে গবেষণাধর্মী কাজও এগিয়ে নিয়েছে নগদ। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এমএফএসে লেনদেনের ইতিহাসসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক এই মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ছাড়া প্রথাগত ব্যাংকের মত শাখা থাকবে না বলে পরিচালন ব্যয় কম হবে। ফলে তুলনামূলক কম সুদে ঋণ বিতরণ করেও মুনাফা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন তানভীর এ মিশুক।
দেশে ডিজিটাল ব্যাংক পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করলে মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আর দরকার পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক নীতিমালার খসড়া তৈরি করার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে নগদ এমডি বলেন এ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা।
এরই মধ্যে এই নীতিমালা অনুমোদন হয়ে গেছে। আর ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা এ কোম্পানি আশা করছে, তারা এই অনুমোদন পাবে।
ডিজিটাল ব্যাংক করার চিন্তা কেন
নগদ এমডি বলেন, তিনি ২০২০ সালে ডিজিটাল ব্যাংকের কথা তোলেন। তখন অনেকে হাসাহাসি করত এটা নিয়ে। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশ এরই মধ্যে তা চালু করে ফেলেছে। প্রতিবেশী ভারতেও ডিজিটাল ব্যাংক আছে।
“আমাদের দেশে ব্যাংক অনেক বেশি হয়ে গেছে। ট্র্যাডিশনাল ব্যাংকিং আছে, ইসলামী ব্যাংকিং আছে। ৩৭টি এনবিএফআই আছে, এত বড় ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি আমাদের দেশে জন্য লাগে না। তারপর এল এমএফএস। তারা এসে কিন্তু লেনদেন সহজ করে ফেলেছে।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখছেন, ২০২৭ সালে ৭০ শতাংশ লেনদেন হবে ক্যাশলেস। এটি আসলে ডিজিটাল ব্যাংকিং ছাড়া সম্ভব না।”
লক্ষ্য কারা
তানভীর এ মিশুক বলেন, “একদম যারা ব্যাংকে যেতে পারছেন না, মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন। এই মানুষরা জামানত দিতে পারছেন না, ট্রেড লাইসেন্স নেই, তাই তারা ব্যাংকে যেতে পারছেন না। এই মানুষগুলোকে আমরা জামানতহীন একক সুদহারে ঋণ দিতে চাই।
“নগদ যাদি ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পায়, তাহলে আমাদের বিষয়টি হবে প্লাগ অ্যান্ড প্লের মত। আমাদের সাড়ে সাত কোটি গ্রাহক আছে। তাদের যদি আমরা অন্তর্ভুক্ত করি, তাহলে আমাদের দুই বছরের বিজনেস রেডি আছে। এই গ্রাহকগুলোর অনেকেই কিন্তু আনব্যাংকড।”
নগদের এমডি বলেন, “কারওয়ান বাজারে যিনি সবজি ব্যবসা করেন, তিনি লুঙ্গি পরে ব্যাংকে যাবেন না। তিনি গেলে ব্যাংকের লোকজনও তাকে সেবা দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন না। কিন্তু একজন সবজি ব্যবসায়ী প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকার লেনদেন করেন। এমএফএস প্রতিষ্ঠান তাকে সেই সেবা দিতে পারবে না। কারণ এমএফএস এর লিমিট তিন লাখ টাকা। তার মানে এই সবজি ব্যবসায়ী, মুরগি ব্যাবসায়ী, মুদি দোকানদার সবাই ক্যাশে লেনদেন করেন।
“তারা ব্যাংকে আসতে চান না ভ্যাট ও ট্যাক্সের ভয়ে। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। না জেনে না বুঝে তারা এ কথা বলেন। কিন্তু ভ্যাট ট্যাক্সেরে ভয়ে তারা ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনে আসছেন না। তাদের আসতে তো কোনো প্লাটফর্মই দিইনি।”
তানভীর এ মিশুক বলেন, “একটি স্টাডিতে দেখা গেছে ৫২ শতাংশ মানুষই অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে আছে। তার মানে এই পরিমাণ টাকা মানুষের হাতে আছে। বালিশের নিচে রাখছে। তাদের কাছ থেকে তো জোর করে টাকা বের করতে পারবেন না। টাকা বের করতে হলে তাকে সহজ ভিত্তি দিতে হবে।”
শাখা ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক কীভাবে আমানত সংগ্রহ ও নগদ টাকা দেবে, এই প্রশ্নে নগদ এমডি বলেন, এজেন্ট ব্যাংক, এমএফএস এর এজেন্ট বা প্রতিনিধির সহায়তা নিয়ে ক্যাশ আউট-ক্যাশ ইন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের কী সুবিধা
নগদ এমডি বলেন, যে সেবা দিতে ব্যাংকের অনেক খরচ হয়, ডিজিটাল ব্যাংকের খরচ হবে তার চেয়ে অনেক কম, কারণ পরিচালন ব্যয় থাকবে অনেক কম। প্রথাগত ব্যাংকের চেয়ে ডিজিটাল ব্যাংক এ দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে।
“ব্যাংকের পরিচালন যে খরচ হয়, এই খরচ তো কাস্টমারের কাছ থেকে নিতে হয় ব্যাংকের। ডিজটাল ব্যাংক যখন আসবে, তার (খরচ) জিরোতে নেমে আসবে। ডিজিটাল ব্যাংক তখন কম চার্জে এই সেবাটি সাধারণ মানুষকে দিতে পারবে।”
ডিজিটাল ব্যাংক হলে দেশের অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির পুরোটাই ২-৩ বছরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে চলে আসবে বলে তানভীর এ মিশুকের বিশ্বাস।
ঋণের সুদ কি কম হবে?
নগদ এমডি বলেন, “যারা ব্যাংকের ঋণ পায় না এমনকি ক্ষুদ্র ঋণও নিতে পারে না বা নিলেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সুদ দিতে হয়, তাদেরকে আমরা সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেব। এর জন্য কোনো জামানতও লাগবে না।”
এই ঋণ কারা ও কত টাকা পাবে- সে প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে কম্পিউটার বলে দেবে কাকে কত টাকা ঋণ দিলে তা নিরাপদ।
“আমরা গত দুই বছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা পুরোপুরি তৈরি। আমরা পাইলটও করেছি নিজস্ব কর্মীদের মধ্যে। এটা দারুণ কাজ করছে।”
কিন্তু জামানত ছাড়া ঋণ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা কী?
তানভীর এ মিশুক বলেন, “একটা গবেষণায় দেখা গেছে, করপোরেট গ্রাহক খেলাপি হয়। ছোট ঋণ কিন্তু খেলাপি হয় না। ক্রেডিট কার্ডের বেলায় যাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে তিনি খেলাপি হচ্ছেন। কিন্তু যাকে কম দেওয়া হচ্ছে তিনি খেলাপি হন না।”
ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ঋণ আদায়ে নানা কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়। সেখানে নগদ কীভাবে নিশ্চিত হবে যে, ব্যাংকে ঋণের টাকা এমনিতেই ফিরিয়ে দেবে মানুষ?
এমন প্রশ্নে নগদ এমডি বলেন, “ক্ষুদ্র ঋণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সুদে পরিশোধ করছে গ্রাহকরা। সেখানে যদি তারা ৮ শতাংশ সুদে ঋণ পান, তাহলে তারা নিশ্চয় যত্নবান হবেন ঋণ যথাসময়ে ফেরত দিতে। কারণ, একবার খেলাপি হলে নগদ তাকে আর ঋণ দেবে না।”
গ্রাহকের সেই প্রযুক্তি জ্ঞান আছে?
নগদ এমডি বলেন, “কোভিডের সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হল শুধু নগদ এর মাধ্যমে টাকা দেবে। তখন লাখ লাখ মানুষ ফাইন্যান্সিয়ল ইনক্লুশনের আওতায় চলে এল। যারা কোনো অ্যাপ ব্যবহার করত না, তারা অ্যাপ খুলে টাকা পেমেন্ট করে দিত। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু অনেক স্মার্ট। প্ল্যাটফর্মটা ছিল না। যখন এল, তারা বদলে গেল।
“নগদের গ্রাহকরা কিন্তু অ্যাপ ব্যবহার করছেন। শুধু লেদেনই করছেন না। তারা বিভিন্ন বিল পরিশোধ করছেন। সরকারি বিল দিচ্ছেন, মার্চেন্ট পেমেন্ট করছেন। নতুন যেটা আসবে তা হলো ঋণ। আমি তাদের নতুন করে কিছু শেখাব না। আমরা এমন সহজ করব, এক ক্লিকেই সব হবে।”
কিন্তু হ্যাকিং বা প্রতারণার ঘটনা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে?
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসি’ যে জরুরি, নগদ এমডিও তা মানছেন। তার ভাষায়, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজটি একা কোনো কোম্পানির পক্ষে সম্ভব না। সরকারের পাশাপাশি সব কোম্পানিকেই এগিয়ে আসতে হবে।
“পিন কোডটা তো গোপন জিনিস। এমএফএস এর গোপন পিন কোড গ্রাহকরা মোবাইলের পেছনে কাগজে লিখে রাখে। তারা দোকানে গিয়ে পিনকোড বলে দিয়ে এজেন্টকে বলে টাকা বের করে দিতে। এটা কোনোভাবেই নিরাপদ হতে পারে না। এজন্য ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা বায়োমেট্রিক ও ফেসিয়াল ট্রেস প্রযুক্তি আনছি। বায়োমেট্রিক সুবিধা পেলে তাদের জন্য নিরাপদ হবে।”
ডিজিটাল ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন তো নিষিদ্ধ
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তানভীর বলেন, “রেমিটেন্সটা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসছে। ডিজিটাল ব্যাংক তো প্রমোট করবে ওই জায়গাটায়, যেখানে প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে প্রচুর মানুষ বিদেশে পড়াশোনা করতে যায়।
“কানাডায় আমার বোনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র সাড়ে ৫ হাজার ডলার পাঠাতে ছয় বার ব্যাংকে যেতে হয়েছে। এতগুলো ফরম পূরণ করতে হয়েছে। এত ভোগান্তি কেন। এজন্যই কিন্তু ইনফরমাল বিষয়গুলো চলে আসে। ডিজিটাল ব্যাংকিং এটি নিশ্চিত করবে যেখানে একটা ক্লিকে কানাডার ইউনিভার্সিটিতে টাকা চলে যাবে।
“আবার কেউ একজন যদি আলী এক্সপ্রেস থেকে পণ্য কিনতে চান, তাহলে তাকে ব্যাংকে যেতে হবে। এলসি খুলতে হবে। ফি দিতে হবে… এরপর দেখবে আলী এক্সপ্রেসে পণ্য নেই। সেখানে তো সীমিত পরিমাণে পণ্য থাকে। একজন যদি আলী এক্সপ্রেস থেকে কোনো পণ্য কিনতে চান, তিনি ক্লিক করবেন। টাকা চলে যাবে-পণ্য চলে আসবে। একটা ক্লিকেই হবে। আমি চাই লাইফটা অনেক ইজি করতে। এলসি দরকার আছে। কিন্তু ব্যক্তিগত বা ছোট পরিসরের জন্য না।”
নগদ এমডি মনে করেন, মানুষ দুই কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল ছেড়ে অবেধ হুন্ডিতে যায়।
“৫ হাজার ডলার পাঠানোর জন্য যদি আপনাকে ১০ বার ব্যাংকে যেতে হয়, তাহলে আপনি ভাববেন ধুর ব্যাংকে যাওয়ার দরকার কী। আমি হুন্ডিতে পাঠিয়ে দিই। টাকা পাঠানো যত সহজ করে দেব, আপনি তখন বৈধ চ্যানেলে পাঠাবেন।
“আবার আপনি যদি বৈধ চ্যানেলে ১১০ টাকা পান, আর অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে ১১৫ টাকা পান, তাহলে টাকা তো সেখান দিয়েই আসবে। এ জন্য জীবনটাকে সহজ করতে হবে। সিঙ্গাপুরও করেছে। এজন্য নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে।”
ডিজিটাল ব্যাংকে শীর্ষ কর্তা নিয়োগে অভিজ্ঞতার শর্ত কি বাধা?
ডিজিটাল ব্যাংকের সিওও, সিএফওসহ শীর্ষ কর্তকর্তাদের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং তো চালুই হয়নি দেশে। তাহলে এই শর্ত কীভাবে পূরণ হবে?
নগদ এমডি বলেন, “আমাদের অনেক জনবল রয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে যারা লিডিং পজিশনে আসবে, তাদের নলেজ ব্লেন্ডিং থাকতে হবে। ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি টেকনোলজি প্লাস ফিনটেকের ধারণা থাকতে হবে।
“ব্যাংকিংয়ের চেয়ে বেশি দরকার হচ্ছে ফিনটেকের। ব্যাংকিং মূলত ঋণ দিতে, ব্যাংকিং বিভাগের জন্য একটি বিভাগ থাকবেন যেখানে টপ ব্যাংকাররা থাকবেন। ব্যাংকিং তারা বুঝবেন। কিন্তু ব্যাংকিং চালাবে মূলত ফিনটেক। আমি মনে করি বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কাজ করবে করবে। এখন তারা ব্যাংকিং বিষয়ে বেশি দেখছে। আমার মনে হয় তারা কাস্টমাইজড করবে। সাধারণ মানুষের জন্য যেটা ভালো হয় তা করবে।”
ডিজিটাল ব্যাংক এলে মোবাইল ব্যাংকিয়ের আর দরকার হবে?
তানভীর এ মিশুক বলছে, প্রতিটি জিনিসেরই একটি সময় থাকে, তারপর তা নিঃশেষ হয়ে যায়।
“শুরুটা হয়েছিল পোস্ট অফিস থেকে। তারপর ব্যাংক এল। এরপর এমএফএস, এখন ডিজিটাল ব্যাংকিং। এক সময় টেলিফোন ছিল, এখন নেই। প্রত্যেকটা জিনিস কিন্তু এক পর্যায়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। ডিজিটাল ব্যাংক পুরোদমে চালু হয়ে গেলে হয়ত এমএফএসও বিলুপ্ত হয়ে যাবে।”