বিশ্ব বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ২ বছরে সর্বনিম্ন: এফএও

এপ্রিলের শেষের দিকে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার পর থেকে চিনির দামও সেখানে কমতে শুরু করেছে।

রয়টার্স
Published : 2 June 2023, 09:10 PM
Updated : 2 June 2023, 09:10 PM

চিনি ও মাংসের দাম বাড়লেও ভেজিটেবল অয়েল, খাদ্যশস্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেশি হারে কমায় জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার (এফএও) বৈশ্বিক মূল্য সূচক দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে।

সংস্থাটির হিসাবে, গত মে মাসে খাদ্যমূল্যের গড় সূচক নেমে হয়েছে ১২৪ দশমিক ৩ পয়েন্টে, যেখানে আগের মাসের সংশোধিত সূচক ছিল ১২৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ২০২২ সালের মার্চে সর্বকালের সর্বোচ্চ পয়েন্টে এফও এর বৈশ্বিক খাদ্যসূচকটি। সেই অবস্থান থেকে ২২ শতাংশ কমে দুই বছরের মধ্যে (২০২১ সালের এপ্রিলের পর থেকে) সর্বনিম্ন সূচক নথিবদ্ধ হয়েছে মে মাসে।

কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য পরিবহনের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোয় ইউক্রেন থেকে রপ্তানির সুযোগ তৈরি এবং পর্যাপ্ত সরবরাহের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় মে মাসে কমে প্রায় ৫ শতাংশ।

তবে কিছু রপ্তানিকারক দেশ সরবরাহে কড়াকড়ি আরোপ করায় মে মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়া অব্যাহত ছিল বলে জানাচ্ছে এফএও। এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ওই মাসে উদ্বেগ জানিয়েছিল জাতিসংঘের এ সংস্থা।

বিপুল পরিমাণ শস্যবীজের জোগানের পাশাপাশি পাম ওয়েলের চাহিদা কমায় শুধু মে মাসেই ভেজিটেবল অয়েলের সূচক কমেছে ৯ শতাংশ। আর উত্তর গোলার্ধে মৌসুমী উৎপাদন বাড়ায় দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে ৩ শতাংশেরও বেশি।

তবে আবহাওয়াজনিত কারণে আখের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় বিশ্ববাজারে টানা চতুর্থ মাসের মতো চিনির দাম বেড়েছে। আগের মাসের তুলনায় মে মাসে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫.৫ শতাংশ।

এদিকের ব্রাজিলে আবহাওয়ার উন্নতি এবং অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এপ্রিলের শেষের দিকে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার পর পণ্যটির দাম সেখানে কমতে শুরু করেছে।

আরেক প্রতিবেদনে এফএও জানিয়েছে, ভুট্টার ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর বিশ্বজুড়ে ২ দশমিক ৮১৩ টন শস্য উৎপাদিত হবে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।

ভুট্টা, চাল ও বার্লির জোগান বাড়ায় এবারের মৌসুমে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের মজুদ ১.৭ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৮৭৩ মিলিয়ন টনে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। আর চাহিদা ঠিক থাকলেও উৎপাদন কমার কারণে গমের মজুত আগের তুলনায় কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।