কক্সবাজারের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসছে ৩০ মেগাওয়াট

আগামী সেপ্টেম্বরে এ কেন্দ্র থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2023, 06:18 PM
Updated : 7 June 2023, 06:18 PM

সংকটের মধ্যে কক্সবাজারে নির্মাণাধীন দেশের সর্ববৃহৎ বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

পরীক্ষামূলকভাবে এ পরিমাণ বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছে বলে বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেইসবুক পেইজে জানিয়েছেন।

আগামী সেপ্টেম্বরে থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে ইউএস ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড এর নির্মাণাধীন এ কেন্দ্র থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুতের নতুন এ উৎস যোগ হওয়ার তথ্য দিয়ে লিখেছেন, “বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং ডলারের অস্বাভাবিক বিনিময় হারের কারণে উদ্ভূত লোড শেডিং থেকে অচিরেই বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ। আপনাদের অব্যাহত আস্থা ও সমর্থন প্রত্যাশা করি।”

পিডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, ২০২২ সালে মার্চে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে সমুদ্র উপকূল ও বাঁকখালী নদীর তীরে দেশের বৃহত্তম এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে দুটি ও ফেনীর মাতামুহুরি ড্যামে একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু আছে। এগুলোর প্রতিটির উৎপাদন সক্ষমতা এক মেগাওয়াটের কম।
জাতীয় সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের কোনো একটা সময়ে ১ থেকে ৭ মেগাওয়াট পর্যন্ত বায়ু বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

খুরুশকুলের নির্মাণাধীন কেন্দ্রটিতে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২২টি টারবাইন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি তিন মেগাওয়াট ক্ষমতার ১০টি টারবাইন ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বাকি টারবাইনগুলো স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেলের কর্মকর্তা নিরোদ চন্দ্র মণ্ডল জানান, বায়ু বিদ্যুতের টারবাইন থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন সময়ে সময়ে ওঠানামা করে। প্রতিটি টারবাইনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ গড় দক্ষতা বিবেচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গত সপ্তাহে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।