জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল বিজিএমইএকে নিশ্চিত করেছে যে তারা এলসি এর ধারাটি সরিয়ে ফেলবে।
Published : 08 Dec 2023, 01:01 AM
‘জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়লে ক্রয়াদেশ দেওয়ার পরও পণ্যের দায়িত্ব নেওয়া হবে না’ মর্মে ধারাটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ওই ধারা প্রত্যাহার নিয়ে ক্রেতা, বায়িং হাউজ, দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং বিজিএমইএর মধ্যে চালাচালি হওয়া চিঠিগুলো প্রকাশ করেন।
ওই সব চিঠি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ফরাসি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘কারিবান’ এর একটি লেটার অব ক্রেডিট বা এলসিতে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনো ধারা না থাকলেও ঢাকায় আন্তর্জাতিক বায়িং হাউজ জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল এর অনুকূলে তৈরি এলসিতে তা যুক্ত করা হয়। মূলত দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধারাটি সন্নিবেশিত করে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন কথা ওই ধারায় বলা নেই। জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল বিজিএমইএকে নিশ্চিত করেছে যে তারা এলসি এর ধারাটি সরিয়ে ফেলবে এবং প্রয়োজন হলে তারা সেই ধারা ছাড়াই একটি নতুন এলসি ইস্যু করবে।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জভিত্তিক নিট কনসার্ন কারখানার এলসির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার ওই বিষয়টি জুড়ে দেওয়ার পর এ নিয়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না, সেই উদ্বেগও দেখা দেয়। পরে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চায় বিজিএমইএ।
সেই এলসিতে লেখা ছিল- “আমরা জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সাথে লেনদেন প্রক্রিয়া করব না। নিষেধাজ্ঞার কারণগুলোর জন্য আমরা কোনও বিলম্ব, নন-পারফরমেন্স বা/ তথ্য প্রকাশের জন্য দায়ী নই।”
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “এলসিগুলো ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক ইনস্ট্রুমেন্ট, সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি নয়। সুতরাং এলসিকে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য ব্যবস্থা প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বার্তা হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত হবে না। বিজিএমইএ বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন থেকে বা কোনও অফিসিয়াল সোর্স থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা বাণিজ্য ব্যবস্থা আরোপের কোনো তথ্য পায়নি।
“এই প্রেক্ষাপটে, আমরা সব ব্র্যান্ড, রিটেইলার এবং তাদের এজেন্টদের বাহ্যিক ইস্যুগুলোর সাথে বাণিজ্যকে মিশিয়ে জটিল না করে তোলার জন্য, বিশেষ করে এই ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করে এমন কোনো অপ্রয়োজনীয় ধারা সন্নিবেশ না করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আমাদের সদস্যদের অনুরোধ করছি যে, এই ধরনের ধারা থাকলে কোনো এলসি গ্রহণ করবেন না।”
ফারুক হাসান বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্যের দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে; মানবাধিকার এবং পরিবেশগত বিষয়গুলো ক্রমবর্ধমানভাবে অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাণিজ্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল, তাই বাণিজ্য নীতি সংক্রান্ত যে কোনো নতুন বিষয় আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।”
এক ‘ক্রয়াদেশ’ নিয়ে পোশাক খাতে গুঞ্জন
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “এলসিগুলো ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক ইনস্ট্রুমেন্ট, সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি নয়। সুতরাং এলসিকে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য ব্যবস্থা প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বার্তা হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত হবে না। বিজিএমইএ বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন থেকে বা কোনও অফিসিয়াল সোর্স থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা বাণিজ্য ব্যবস্থা আরোপের কোনো তথ্য পায়নি।
“এই প্রেক্ষাপটে, আমরা সব ব্র্যান্ড, রিটেইলার এবং তাদের এজেন্টদের বাহ্যিক ইস্যুগুলোর সাথে বাণিজ্যকে মিশিয়ে জটিল না করে তোলার জন্য, বিশেষ করে এই ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করে এমন কোনো অপ্রয়োজনীয় ধারা সন্নিবেশ না করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আমাদের সদস্যদের অনুরোধ করছি যে, এই ধরনের ধারা থাকলে কোনো এলসি গ্রহণ করবেন না।”
ফারুক হাসান বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্যের দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে; মানবাধিকার এবং পরিবেশগত বিষয়গুলো ক্রমবর্ধমানভাবে অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাণিজ্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল, তাই বাণিজ্য নীতি সংক্রান্ত যে কোনো নতুন বিষয় আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।”
পুরনো খবর: