হাবের আগের কমিটি বহাল করে তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের রায়ে।
Published : 15 Dec 2024, 08:00 PM
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (হাব) প্রশাসক নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তা অবৈধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে হাবের আগের কমিটি বহাল করে তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আগের কমিটির (রিটকারীর) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শিশির মনির পরে সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে হাই কোর্ট রুল দিয়েছিল। রুলের শুনানি শেষে এখন রায় ঘোষণা করা হল।
“রায় অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হাব অফিসে যে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে আগের যে কমিটি ছিল সে কমিটিকে বহাল করা হয়েছে।”
এর ফলে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) যে নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব পালন করছিল, সে কমিটিই দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান এ আইনজীবী।
গত ১৫ অক্টোবর ‘বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি’র মালিক ও অপর কয়েকটি এজেন্সির মালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে হাব এ প্রশাসক নিয়োগ করে।
হাবের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তাকে ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়।
প্রশাসক নিয়োগের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করে হাব। সে রিটের শুনানি নিয়ে প্রশাসক নিয়োগের আদেশে স্থিতাবস্থা দিয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।
হাই কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিক আক্তার উজ্জামান আপিল বিভাগে যান। এরই মধ্যে সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করে হাব।
ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে সম্পূরক আবেদন করে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাবের সাধারণ সভা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে চেম্বার আদালত।
পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ প্রশাসক নিয়োগে হাই কোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশটি স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেয়।