বাজারে আরও সপ্তাহ দুয়েক আমের দেখা মিলবে, বলছেন ঢাকার বিক্রেতারা।
Published : 20 Aug 2023, 08:55 PM
বর্ষার শেষ প্রান্তে মৌসুমি ফলের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকা আম এখন ঢাকায় বেশি আসছে নওগাঁ ও রাজশাহী থেকে; তবে দাম দিতে হচ্ছে আগের চেয়ে ঢের।
বাজারে এর বাইরে স্বল্প পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে পাবর্ত্য জেলায় চাষ হওয়া বার্মিজ চোষা ও ভারত থেকে আসা আম্রপালি জাতের আমও। এগুলোর দামও ভর মৌসুমের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যোগান কমে আসায় ফলের দোকানে আমের ঝুড়ির সংখ্যাও কমে আসছে। আগের মতো অলিতে গলিতে ভ্যানে করেও আম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে না।
গুলিস্তানের পুরনো ফল বিক্রেতা দুলাল হোসেন জানান, বড়জোর সপ্তাহ দু’য়েক বাজারে দেশি-বিদেশি আমের সরবরাহ থাকবে।
বাজারে থাকা দেশি-বিদেশি সব ধরনের আম এখন আকার ও মান ভেদে ৮০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে ফজলী আমের দামই সবচেয়ে কম, ৮০ টাকার কাছাকাছি।
মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনের সামনের ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বড় সাইজের গৌড়মতি কেজিতে ২০০ টাকা করে আড়তেই। এরসঙ্গে পথ ও দোকান খরচা, ওয়েট লস মেলালে আড়াইশ টাকার নিচে বেচা যায় না। ভালো আম-মিষ্টি গ্যারান্টি দামতো একটু বেশি দেওন লাগব।
“এহনতো সিজন শ্যাষ। আর ১০-১৫ দিন থাকব আম, যা আছে তাই বেচুম-নতুন আম তুলুম না।’’
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে আমের ভরা মৌসুম এপ্রিলের শেষ থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এসময়ে হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা, আম্রপালি, ফজলী, গোপালভোগ, ফজলীসহ বিভিন্ন জাতের আম বাজারে পাওয়া যায়।
এগুলোর মধ্যে মৌসুম শেষ হওয়ার সময়ে পাকতে শুরু করে বিলম্ব জাতের গৌড়মতি ও ফজলী। নওগাঁ থেকেই আসছে গৌড়মতি। ফজলী ও আশ্বিনী ফজলী আসে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ এলাকা থেকে।
রাজশাহীর ফজলী আম প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন গুলিস্তানের দোকানি দুলাল হোসেন।
একই এলাকায় ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ী মন্টু সরদার বার্মিস চোষা জাতের আম বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা প্রতি কেজি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নাম বার্মিজ হলেও এগুলো রাঙামাটি, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় চাষ হয়। খাইতে মিষ্টি। বড়গুলোর দাম দেড়শ টাকা। মাঝারিগুলো প্রতিকেজি ১৩০ টাকা।
এ দোকানির সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে উপস্থিত রবিউল ইসলাম নামের এক ক্রেতা দাম শুনে চলে যাবার উপক্রম করেন। তিনি বলেন, ‘‘দামে তো বনে না। কেমতে কিনুম।’’
পরে কয়েক দফা দর কষাকষি শেষে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে তিন কেজি কেনেন তিনি।
মতিঝিল থেকে কিছুটা দূরে যাত্রাবাড়ী মোড়ের দোকানগুলোতে বারি ৪ জাতের আমের সরবরাহ দেখা গেছে বেশি। এজাতের আমও মিষ্টি হওয়ায় আকার ভেদে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন আবুল হাশেম নামে এক দোকানি।
অপরদিকে ভারত থেকে আসা আম্রপালি কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা দরে বিক্রির তথ্য দিলেন পল্টনের হাউজ-বিল্ডিং ফাইন্যান্সের পাশের ফুটপাতের দোকানি গিয়াস উদ্দিন।