কর্মকর্তারা বলছেন, এস আলম গ্রুপের লোকজন অস্ত্র নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় দখলের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
Published : 11 Aug 2024, 12:39 PM
ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকালে ঢাকার মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে শফিউল্লাহ সরদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকিবিল্লাহ ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফলে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পরদিন এস আলম গ্রুপের নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেন বিক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা। এরপর গত ৭ ও ৮ অগাস্ট ব্যাংকারদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় বিপুল অংকের ঋণ কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানাতে রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তারা ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন।
এ সময় এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তা শতাধিক লোক নিয়ে অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে সেখানে সংঘর্ষ বেঁধে যায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের এসএভিপি ড. শওকত আলী বলেন, “আমরা জানতে পেরেছিলাম, এস আলমের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা আজ ব্যাংক দখলের চেষ্টা করবে। সেজন্য আমরা সকাল থেকেই ব্যাংকের সামনে অবস্থান করছিলাম। পরে এস আলমের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও বহিরাগতরা সিটি সেন্টারের সামনে থেকে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপরে সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে আমাদের ৬ জন ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
কর্মকর্তারা ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ‘লুটেরাদের’ বের করে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মাওলা, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাউসার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিনসহ এস সালাম গ্রুপের নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
২০১৭ সালের জুন থেকে বাজার থেকে শেয়ার কিনে ব্যাংকটির মালিকানায় চলে আসে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির প্রায় অধিকাংশ শেয়ার কিনে নেয় তারা। এরপর দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানি ও ব্যক্তি শেয়ার ছেড়ে দিতে শুরু করেন।
ওই সময়ের পর থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের অবৈধ বলে এখন দাবি করছেন অন্য কর্মকর্তারা।
পুরনো খবর...
'২০১৭ এর পর নিয়োগ পাওয়াদের ইসলামী ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হবে না'