বাজেটে কর প্রস্তাবে দাম বাড়লেও এখন পর্যন্ত সরকার রাজস্ব পাচ্ছে আগের অর্থবছরের হিসাবে। এক মাসে রাজস্ব ক্ষতি অন্তত ২০০ কোটি টাকা।
Published : 14 Jul 2024, 12:58 AM
বাজেটে কর বাড়িয়ে দেওয়ার পর বাড়তি দামেই সিগারেট কিনছে ভোক্তারা, কিন্তু তাতে সরকারের কোনো লাভ হচ্ছে না এখনও।
সংসদে বাজেট পেশের পর তা পাসও হয়ে গেছে; এরই মধ্যে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সরকার আগের হারেই রাজস্ব পাচ্ছে, এর কারণ কোম্পানির বিশেষ এক কৌশল।
বাজেটের আগে আগে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বেড়ে যায়, তারা বাজারে সিগারেট ছেড়েও দেয়; আর সেসময়ই সরকারকে কর দেওয়া হয়।
কিন্তু বাজেটে কর বাড়ার ঘোষণার পরপরই বিক্রেতারা বাড়তি দামে বিক্রি করেন আগের সরবরাহ করা সিগারেটই। এভাবে কয়েক মাস বাড়তি দরের সিগারেট থেকে বাড়তি রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হয় না।
এ খাতের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এক মাসে ভোক্তারা যে টাকা দিয়েছেন, তাতে সরকারের কোষাগারে বাড়তি ২০০ কোটির টাকার বেশি আসতে পারত।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা এই প্রবণতার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তবে এ নিয়ে কাজ করার কথা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই ‘দায়িত্ব’ স্বীকার করে নিয়ে বলেছে, নিত্যপণ্য নিয়ে কাজ করার কারণে তারা সিগারেট নিয়ে অভিযানে যেতে পারছে না।
অন্যদিকে সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না।
সরকারের রাজস্ব ক্ষতি যেভাবে
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সিগারেট হচ্ছে মূল্য সংবেদনশীল পণ্য। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে যেহেতু দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিমাত্রায় উৎপাদন ও মজুদের প্রবণতা থাকে, তাই এগুলোর দাম বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তবায়ন করা হয়।
অর্থাৎ গত ৬ জুন অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার সঙ্গে সঙ্গে সিগারেটের কর ও মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি কার্যকর হয়ে গেছে, চার স্তরেই বেড়েছে করের হার।
বাজেটে নিম্ন স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, সম্পূরক শুল্ক ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৮ থেকে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। তাতে করভার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশ, আগে যা ছিল ৭৪ শতাংশ। ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য সারচার্জ আগের মতই রয়েছে।
মধ্যম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা, উচ্চ স্তরে ১১৩ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রিমিয়াম বা অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ তিন স্তরেই সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৬৬ করা হয়েছে। বাকি ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ আগের মতই রয়েছে।
নিয়ম হচ্ছে কোম্পানিগুলো সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে দাম ঘোষণা করার ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের থেকে বেশি দাম ঘোষণা করবে এবং যে দাম ঘোষণা করা হবে তার ওপর এই করভার প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
রাজধানীর একাধিক এলাকায় ‘অতি উচ্চ’ স্তরের সিগারেট ব্র্যান্ড বেনসন অ্যান্ড হেজেস এবং মার্লবোরোর ২০ শলাকার প্যাকেটে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাজেট ঘোষণার আগের মতই ৩১০ টাকা দেখা গেছে। কিন্তু খুচরা দোকানদারের কাছে এটি বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ১৪-১৫ টাকা বেশি দামে, অর্থাৎ ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ৩২৪ থেকে ৩২৫ টাকায়।
আইন অনুযায়ী বাজেট ঘোষণার পর থেকেই প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩২৪ বা ৩২৫ টাকা লেখা থাকার কথা ছিল। তা লেখা না থাকায় জনগণের পকেট থেকে বাড়তি টাকা খরচ করতে হলেও সরকার তার প্রাপ্য বাড়তি রাজস্ব পাচ্ছে না।
আগের হিসাবে ৮১ শতাংশ করভারে সরকার রাজস্ব পেত ২৫১ টাকা ১০ পয়সা। যেহেতু প্যাকেটের গায়ে এ দরই লেখা, তাই সরকার এখনও আগের মতই রাজস্ব পাচ্ছে। অথচ বর্তমান করভার হিসাবে রাজস্ব পাওয়ার কথা ২৬৫ টাকা ৬৮ পয়সা।
বাজারে ‘নিম্ন’ স্তরের ডারবি ও হলিউড, মেরিসের মত সিগারেটের ২০ শলাকার মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য আগের মতই ৯০ টাকা লেখা। তাতে ৭৪ শতাংশ হারে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৬৫ টাকা ১২ পয়সা। বাজেটের পর একই প্যাকেট বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকায়। সরকারের এক্ষেত্রে রাজস্ব পাওয়ার কথা ৭৬ টাকা, কিন্তু বাড়তি টাকাটা যাচ্ছে বিক্রেতা, পরিবেশক, বা কোম্পানির কাছে।
আগের দামের সঙ্গে বর্তমানে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম এবং নতুন করভার সংযুক্ত করলে দেখা যায় ‘উচ্চ’ স্তরের সিগারেটে সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়ার কথা।
গোপীবাগের বাসিন্দা আসিফ ইকবাল বেসরকারি একটি তারকা হোটেলে কর্মরত আছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ”বাজেটের পর থেকেই আমরা বেশি দামে সিগারেট কিনছি।”
তিনি যে ব্র্যান্ডের সিগারেট খান, সেটির ২০ শলাকার প্যাকেট কিনছেন ৩৬০ টাকায়। তবে এর গায়ের মূল্য লেখা ৩১০ টাকা। তার বন্ধুরা অন্য যেসব ব্র্যান্ডের সিগারেট খান, তার সবগুলোরই একই অবস্থা।
বাড়তি দামে আগের সিগারেট বিক্রির বিষয়ে মিরপুর ১২ এর খুচরা বিক্রেতা রাশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তো নতুন পুরাতন মোড়ক বুঝি না। বাজেটের পর থেকেই আমরা পাইকারি কিনতেছি বেশি দিয়ে।”
“তবে প্যাকেটের গায়ে তো আগের দামই লেখা”, অন্য এক প্রশ্নে বলেন তিনি।
একই রকম তথ্য পাওয়া যায় মহাখালীর দোকানি রুবেলের ভাষ্যে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও সব আগের প্যাকেট। তবে বাজেটের পর থেকে কিনি বেশি দামে।”
কাদের থেকে কেনেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “কোম্পানি থেকে।”
কোম্পানি নাকি ডিলার থেকে-এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ”ডিলারের মাধ্যমে কোম্পানি থেকে। প্রতিদিন কোম্পানির গাড়ি আসে।”
রাজস্ব ক্ষতি কত?
বাংলাদেশে সিগারেটের বাজারের সিংহভাগই দখল করে আছে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)। পরের স্থানে রয়েছে জাপান টোবাকো ইন্টারন্যাশনাল এবং আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানি লিমিটেড। বাজারে এসব কোম্পানির ৫০টির বেশি ব্রান্ডের সিগারেটেই আগের মোড়ক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বিএটির রাজস্ব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ কোম্পানি প্রতি মাসে কম বেশি সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে দিয়ে থাকে।
অন্যান্য সব কোম্পানি মিলে মোট রাজস্বের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ জোগান দেয়। এ হিসাবে বিএটির বাইরে অন্য কোম্পানিগুলো মাসে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব দেয়।
বাজেটে মূল্য বাড়ানো ও বাড়তি করভার যুক্ত করার ফলে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ হলেও রাজস্ব বাড়ার কথা। তবে প্যাকেটে নতুন মূল্য যুক্ত করা না হওয়ায় অন্তত ২০০ কোটি টাকা সরকার পাচ্ছে না।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মার্চের পর থেকে প্রতিমাসেই অঙ্কটা বড় হচ্ছে।
মার্চ মাসে কোম্পানিটি রাজস্ব দিয়েছে তিন হাজার ৩৭২ কোটি এক লাখ টাকা। এপ্রিলে তা বেড়ে হয় তিন হাজার ৪১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং মে মাসে তিন হাজার ৭৩৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এ ধারাবাহিকতা ধরলে সরকারের রাজস্ব হারানোর পরিমাণ আরও বাড়বে। এই তিন মাস আলোচনার অন্য আরও একটি কারণ আছে। প্রতি বাজেটেই সিগারেটের দাম বেড়ে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কোম্পানিগুলো এ সময়ে চাহিদার তুলনায় বাড়তি সিগারেট উৎপাদন করে। ধারণা করা যায়, এটা করাই হয় আগের দরে সরকারকে রাজস্ব দেওয়ার জন্য।
রাজস্ব আহরণের পর্যালোচনাতেও সে রকমই ইঙ্গিত মিলছে। দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিএটির দেওয়া গড় রাজস্ব ছিল প্রতি মাসে ২ হাজার ৩৬৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ শেষের ৫ মাসের তুলনায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা কম।
ওই অর্থবছর বাজেট ঘোষণার পরের মাসে রাজস্ব পরিশোধ ছিল আরও কম, ১ হাজার ৭৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। তার মানে হল, বাজেটের আগেই বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি সিগারেটের জোগান রাখায় বাজেটের পর ১-২ মাস নতুন পণ্য তারা বাজারে ছাড়ে না বা কম ছাড়ে।
বিএটির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ কোম্পানি ২০২৩ সালে ৭ হাজার ১১৯ কোটি ৮০ লাখ সিগারেট উৎপাদন করেছে, যা আগের বছরে ছিল ৬ হাজার ৩৮৭ কোটি ৭০ লাখ। অর্থাৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ। তাদের আয়ও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৯ শতাংশ।
ফলে নতুন করভার আমলে নিলে সরকারের আনুমানিক ১০ শতাংশ রাজস্ব বাড়ার কথা। করভার ও দামের সমন্বয়ের ফলে নতুন প্রভাবের সর্বনিম্নটা আমলে নিলেও ওই অঙ্ক পাওয়ার কথা।
জাপান টোবাকো ইন্টারন্যাশনাল ও আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্ব ধরলে সরকারের এক মাসে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ে। মধ্যম ও নিম্নস্তরের সিগারেটে এ দুই কোম্পানির বড় বাজার রয়েছে।
বিএটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বার্ষিক আয়ব্যয় ও সরকারকে দেওয়া রাজস্ব পরিমাণ সহজে জানা যায়। অন্য কোম্পানিগুলো এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি, ফলে তারা সেসব হিসাব প্রকাশ করে না।
কোম্পানির বক্তব্য নেই
গত শনিবার বিএটির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে কোম্পানির যোগাযোগ বিভাগ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য যথাযথ প্রশ্নসহ মেইল করতে বলা হয়। মেইল করা হলে প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে একদিন সময় চায় যোগাযোগ বিভাগ।
রোববার তারা বক্তব্য পাঠায়নি, তাদের হয়ে যোগাযোগ করে জনসংযোগের কাজ করা একটি এজেন্সি। তারা বক্তব্য দেওয়ার জন্য আরও একদিন সময় চায়, সে পর্যন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করা হয়।
সোমবার জনসংযোগের ওই এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএটি যেহেতু একটি বহুজাতিক কোম্পানি, তাদের দেশীয় শাখা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। কোম্পানির গ্লোবাল অফিস তথা লন্ডন থেকে মন্তব্য পেতে আরও একদিন অপেক্ষা করতে হবে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএটির গ্লোবাল অফিস বা দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ এজেন্সি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাঠানো হয়নি।
জাপান টোবাকো ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও লিখিত প্রশ্ন চায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য একদিন সময় চেয়ে নেয়।
কিন্তু তারাও আর যোগাযোগ করেনি। ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কথা বলতে আবুল খায়ের গ্রুপের যোগাযোগ বিভাগে ফোন করা হলে তারা জানায়, আবুল খায়ের টোবাকোর কোনো যোগাযোগ বিভাগ নেই। আর গ্রুপের পক্ষ থেকে কারো কথা বলার অনুমতি নেই।
এনবিআর বলছে দায়িত্ব ভোক্তা অধিদপ্তরের
সরকারের রাজস্ব ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন করলে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক বিধি) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিগারেট অন্য পণ্যের মত না। ভোক্তা পর্যায়ে নিতে গেলে কর ফাঁকির পরিমাণ বাড়বে তাই সিগারেটের কর নেওয়া হয় উৎপাদনের পর বাজারে ছাড়ার আগেই।
“আমরা মোড়কে যা ঘোষণা থাকে তার ওপর ভ্যাট ও শুল্ক পেয়েছি। এখন কেউ আগের মোড়ক বেশি দামে বিক্রি করলে সেটি আমাদের দেখার কথা না। এটি দেখবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।”
এ ধরনের কর পরিহারের প্রবণতা কমাতে করভার আরও পুনর্গঠনের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সামনে এটিও কমে আসবে।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা সত্য যে কোম্পানিগুলো বাজেটের আগেই তিন-চার মাসের পণ্য বাড়তি উৎপাদন করে কর পরিশোধ করে স্টক করে রাখে। পরে বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে সেসব পুরনো সিগারেট বাড়তি দামে বিক্রি করে, তাতে সরকার শতশত কোটি টাকা রাজস্ব হারায়।
“সমস্যা হচ্ছে, সবাই শুধু বলে এসব দেখার দায়িত্ব ভোক্তার। কিন্তু আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে বেশি কাজ করায় এসব দিকে নজর দিতে পারি না।”
গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে সিগারেটের বিষয়ে অভিযান চালাতে চাইলেও ডিম, ভোজ্য তেল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে সেটি আর হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।