৫০টিরও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে এ দুটি প্রতিষ্ঠান অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
Published : 07 Jan 2025, 10:09 PM
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের দুই উদ্যোগ দেশি ফার্মার ও টেকনো প্লাস্টিক সল্যুউশন এর জন্য এক কোটি টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ট্রান্সফর্ম’।
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে ৫০টিরও বেশি আবেদনকারী ‘অভিনব সমাধান’ তুলে ধরে যেগুলোর মধ্য থেকে এ দুই উদ্যোগকে নির্বাচিত করে যুক্তরাজ্য সরকার, ইউনিলিভার ও ইওয়াই এর নেতৃত্বাধীন ইমপ্যাক্ট এক্সেলেরেটর ‘ট্রান্সফর্ম’।
মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়ার কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।
এতে বলা হয়েছে, দেশি ফার্মার একটি এগ্রি-টেক প্ল্যাটফর্ম, যা ক্ষুদ্র কৃষকদের বাজারে প্রবেশে সহায়তা এবং খাদ্য অপচয় কমানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি মধ্যস্থতাকারীদের বাদ দিয়ে কৃষকদের সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
দেশি ফার্মার ট্রান্সফর্মের সঙ্গে নিয়ে প্রথম বছরে তিন হাজার কৃষক এবং ২০ হাজার ভোক্তা যাতে উপকার পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অপরদকে টেকনো প্লাস্টিক সল্যুশন সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে প্লাস্টিক সংগ্রহের পরিকাঠামো বাড়াতে কাজ করে এবং এর সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও প্লাস্টিক সংগ্রহের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
ট্রান্সফর্মের সহায়তায় এটি কুয়াকাটায় একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করবে, যেখানে বিশেষ লক্ষ্য থাকবে ফেলে দেওয়া মাছ ধরার জাল এবং পিইটি বোতলগুলো সংগ্রহ করা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ১০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে।
ইউনিলিভার বলছে, এই প্রথম ইউনিলিভার, যুক্তরাজ্য সরকার ও ইওয়াই বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে এ কর্মসূচির জন্য উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করা এবং নির্বাচন করার জন্য একত্রে কাজ করেছে। এটি ট্রান্সফর্মের ভারতের ও পূর্ব আফ্রিকার সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর অনুরূপ।
ট্রান্সফর্ম, হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের দক্ষিণ এশিয়া প্রধান রবিরাজ দুরবাস বলেন, “স্থানীয় ইমপ্যাক্ট এন্টারপ্রাইজগুলো তাদের এলাকাভিত্তিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় একটি অনন্য অবস্থানে রয়েছে।”
সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইমপ্যাক্ট পার্টনার্স প্রধান সারাহ ইকবাল বলেন, “বাংলাদেশে লক্ষণীয় পরিবর্তন আনতে ট্রান্সফর্ম ও ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ উপদেষ্টা মারজান নূর বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে, আমরা জানি যে, শুধু সহায়তার মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যগুলো অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের প্রয়োজন এমন একটি বহুখাতভিত্তিক সহযোগিতা, যা আমাদের সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং দক্ষতার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে।”
ইওয়াই ইন্ডিয়ার কনসালটিং পার্টনার প্রজ্ঞাল সিং বলেন, “আমরা আশাবাদী যে তারা এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা উন্নত করতে এবং সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে।”
ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের বাংলাদেশ ডিরেক্টর ইশরাত ওয়ারিস বলেন, “জলবায়ু সহনশীলতার এজেন্ডা অনুসারে, ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্কুলার ইকোনমির সম্ভাবনা উন্মোচনে ট্রান্সফর্মকে সহায়তা করতে পেরে গর্বিত।”
ট্রান্সফর্ম ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করেছে এবং ১৭টি দেশের ১২৫টিরও বেশি প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।