তোবা গ্রুপের বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো খুলতে এবার ৩০ কোটি টাকা ঋণের দাবি তুলেছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের শর্তে যিনি গত মাসে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
Published : 24 Aug 2014, 02:04 PM
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সুন্দরবন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি যদি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫-৩০ কোটি টাকা স্বল্পসুদে ঋণ পাই, তাহলে কারখানাগুলো চালু করে ৪০-৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে।”
দেলোয়ারের দাবি, ‘ইচ্ছা করে’ তিনি কারখানা বন্ধ করেননি। আর্থিক সংকটের কারণে কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে গণমাধ্যমের খবর, শ্রমিক আন্দোলনকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে গত ১৮ অগাস্ট তোবা গ্রুপের পাঁচটি কারখানা বন্ধ করে দেন দেলোয়ার। কারখানাগুলো হচ্ছে বন্ধ কারখানাগুলো হলো- তোবা টেক্সটাইল, তায়েব ডিজাইন, মিতা ডিজাইন, বুকশান গার্মেন্টস ও তোবা ফ্যাশনস।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার কৌশল হিসাবেই দেলোয়ার তিন মাসের বেতন-ভাতা আটকে রেখেছিলেন বলে তোবা শ্রমিকদের অভিযোগ।
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রোজার ঈদের আগের দিন থেকে অনশনে থাকা তোবা গ্রুপ সংগ্রাম কমিটির সদস্যদের গত ৭ অগাস্ট কারখানা থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় পুলিশ। এরই মধ্যে বিজিএমইএর মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা হয়।
এর আগে শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যেই বেতন দেয়ার অঙ্গীকার করে হাই কোর্ট থেকে জামিন পান দেলোয়ার। এ গ্রুপের কারখানা তাজরীন ফ্যাশন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা এক মামলায় কারাগারে ছিলেন তিনি।
“এসব জমি যেসব লিজিং কোম্পানির কাছে বন্ধক ছিল, তারা ৩ কোটি টাকা নিয়ে নেয়। বাকি টাকা আমি শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধে দিয়ে দিয়েছি। এখনো আমার ৫০ লাখ টাকা দেনা আছে।”
এই মুহূর্তে সবগুলো না হলেও দুই-একটি কারখানা চালু করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তোবার মালিক বলেন, “আমার পরিস্থিতি এমন যে, সবাইকে যদি চালাতে না পারি, তাহলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে।
“আমার কারণে যেন এ খাতে আর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্য সুযোগ পেলে ভালোভাবেই কারখানা চালাতে চাই।”
তোবা শ্রমিকরা ‘দক্ষ’ মন্তব্য করে তাদের কাজ দিতে অন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।