ই-কমার্স: এক মাসে সুপারিশ দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি

ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির শত শত কোটি টাকার প্রতারণা ও আত্মসাতের ঘটনার মধ্যে এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রথম সভা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2021, 12:06 PM
Updated : 18 Oct 2021, 12:06 PM

সোমবার মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে কমিটির সভায় এক মাসের মধ্যে সুপারিশ প্রস্তুত করাসহ করণীয় ঠিক করা হয়।

সফিকুজ্জামান জানান, ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পাওনাদারদের টাকা উদ্ধার, এই খাতের সার্বিক আর্থিক লেনদেনের পদ্ধতি, একক পেমেন্ট গেটওয়ে ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনার বিষয়ে সুপারিশ তৈরি করে কমিটি প্রতিবেদন দেবেন।

তিনি বলেন, “ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় আমরা ৮টি সুপারিশ নির্ধারণ করেছি। এই সুপারিশগুলো আমরা কেবিনেটে পাঠাব।”

কমিটির সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর পর সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ই-কমার্স খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি সফিকুজ্জামান জানান।

বাংলাদেশে গত কয়েক মাস ধরে ই কমার্সে গ্রাহকের প্রতারিত হওয়ার নতুন নতুন ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, কিউকম, আলেশামার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

কয়েকদিন পরপরই এসব প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কথিত উদ্যোক্তারা ধরা পড়ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জালে। এরই মধ্যে অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠানের মূল ব্যক্তিরা প্রতারণার মাধ্যমে পাওয়া অর্থ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন; দেশের ভেতরেই অনেকে গেছেন আত্মগোপনে বলে খবর বেড়িয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর গঠিত এই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ হেড কোয়াটার্স, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ইউনিট, এনবিআর, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ও কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর প্রতিনিধি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যুগ্ম সচিবরা আছেন।

পুরনো খবর: