সঙ্কট ‘শাপেবর’ হবে সম্ভাবনার ই-কমার্সে?

এক দশক ধরে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া ই-কমার্স খাত ছাড় ও অফারে বছর দু’য়েক ধরে যতটুকু ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল, এখন ততটুকুই মিইয়ে গেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা আর অর্থ আত্মসাতের ঘটনায়; তৈরি হয়েছে ‘আস্থাহীনতা’।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2021, 06:04 PM
Updated : 5 Oct 2021, 06:59 PM

দেশে অনলাইন কেনাকাটায় সবেমাত্র সম্ভাবনা জাগাতে শুরু করা এ খাতকে ‘অস্বাভাবিক ব্যবসা পদ্ধতি’ অনুসরণ করে পরিচালিত ১০ থেকে ১২টি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের কারণেই মূলত মূল্য দিতে হচ্ছে বলেই মনে করছেন অন্য উদ্যোক্তারা।

কয়েকটি কোম্পানির গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই এ খাতে আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা।

তবে চলমান এ সঙ্কটই সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দেবে বলেও আশা করছেন ছয় থেকে সাত বছর ধরে নিয়ম মেনে ব্যবসা করে আসা উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ। তারা বলছেন, সাময়িক এ ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে পণ্য কেনাকাটার উদীয়মান এ মাধ্যম।

ই-কমার্সের এ দুঃসময়ে নিজেরা নিয়ম মেনে চললেও অন্যদের অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে বলে হতাশ স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ডিভাইস কেনাবেচার মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া প্ল্যাটফর্ম পিকাবুর সিইও মনির হোসেইন তালুকদার।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন ই কমার্স নির্দেশিকা অসাধু প্রতিযোগিতার ধকল থেকে দেশের মূলধারার ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়।

“তবে সাম্প্রতিক প্রতারণার ঘটনাগুলো অনলাইনে কেনাকাটায় কিছুটা আস্থাহীনতা তৈরি করেছে।“

একটির সঙ্গে আরেকটি ফ্রি কিংবা বিশাল ছাড় ও অফারের গড্ডালিকায় গা না ভাসানো আরেক অনলাইন কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম সিন্দাবাদ ডটকমের সিইও কামরুল হাসানও মনে করেন, ই কমার্সে প্রতারণার কারণে গ্রাহকের একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে যারা কোনো অনিয়ম করেননি তারা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

“দোকানিরা এখন আমাদের লোকজনকে প্রশ্ন করে আপনারাও কি ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ধান্দাবাজি করবেন কিনা?”

আস্থার এ সঙ্কট কাটতে সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি।

ই কমার্স খাতের অন্যতম পুরোনো উদ্যোক্তা আজকের ডিল’র প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ফাহিম মাশরুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জুলাই মাসে নির্দেশিকা চালুর আগে একটা স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম। নির্দেশিকা জারির পর আজকের ডিলের মতো কমদামি পণ্যের ই কমার্সগুলোতে বেশি প্রভাব না পড়লেও ৫০/৬০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য বেচাকেনা থমকে গেছে।

“তবে যারা আগে থেকেই অস্বাভাবিক পথ এড়িয়ে চলেছে তাদের তেমন সমস্যা হয়নি।“

আলীবাবার বিনিয়োগ পাওয়া শীর্ষস্থানীয় অনলাইন কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের ই-কমার্স খাত এখন অনেক বেশি পরিণত। তাদের দাবি সাম্প্রতিক ‘প্রতারণা কাণ্ড’ তাদের তেমন চাপে ফেলেনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের জবাবে কোম্পানিটির হেড অব পিআর ও কমিউনিকেশন্স সায়ন্তনী ত্বিষা বলেন, “ই- কমার্স নিয়ে চলমান অস্থিরতার কারণে দারাজের বিক্রি বা ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। ই-কমার্স খাত এখন অনেক বেশি পরিণত।“

প্রতারণার ঝাঁপি খুলতেই দেখা দিল বিপদ

বাংলাদেশে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ই কমার্সে গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার নতুন নতুন ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে।

ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, ইভ্যালি, কিউকম, আলেশামার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন রিং আইডি।

কয়েকদিন পরপরই এসব প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কথিত উদ্যোক্তারা ধরা পড়ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জালে।

এরই মধ্যে অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠানের মূল ব্যক্তিরা প্রতারণার মাধ্যমে পাওয়া অর্থ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন; দেশের ভেতরেই অনেকে গেছেন আত্মগোপনে বলে খবর বেড়িয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে অনলাইন থেকে দামি পণ্য কেনাকাটার বিষয়ে গ্রাহকদের অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আবার ভালো পণ্য নিয়েও শুধু অনলাইন শপ হওয়ায় অনেকেই ভোক্তার সন্দেহের শিকার হচ্ছেন বলে হতাশা বাড়ছে অনেক উদ্যোক্তার।

ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের বিক্ষোভ।

ইভ্যালির দেখাদেখি গ্রাহক ঠকানোর নতুন ফাঁদ

বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাবেচা শুরু মূলত ২০১১ সাল থেকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনএসপিবি) চালু করলে ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি চালু হয়, যা নতুন মাত্রা যোগ করে ই কমার্সে।

এরপর গুটি গুটি পায়ে এগিয়েছে দেশি নতুন সব স্টার্টআপ। এসেছে বিদেশি কিছু কোম্পানি, মিলেছে বিদেশি বিনিয়োগও। সুবিধা করতে না পেরে কেউ কেউ ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। কেউবা অন্যটির সঙ্গে একীভূত হয়ে গেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল কেনাকাটার সম্পূর্ণ নতুন এ ব্যবস্থাকে নিয়মের মধ্যে আনতে সরকার ২০১৮ সালে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা’করলেও পুরো তৎপরতাটি ছিল আইনের ধরাবাঁধার বাইরে।

চলতি বছর ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ই কমার্স নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর এ খাতে শুদ্ধাচার ফিরে আসার পথ তৈরি হয়। যদিও মূল ক্ষতিটা এ খাতেই হয়ে গেছে।

মূলত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করা ইভ্যালি থেকেই অনলাইন কেনাকাটায় নতুন একটা মাত্রা যোগ হয়। অফারের পর অফার দিয়ে গ্রাহককে প্রলুব্ধ করা হয়। অনেকেই এ ফাঁদে পা দিয়ে বসেন।

বছর তিনেক ধরে টানা লোভনীয় অফারে গ্রাহক ও কেনাকাটা যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি অগ্রিম দিয়ে পণ্য না পাওয়ার অভিযোগের স্তুপও পাহাড়সম হতে থাকে।

এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে ইভ্যালিকে মডেল ধরে একের পর এক বড় ধরনের প্রতারণার নতুন নতুন শাখা প্রশাখা গজাতে থাকে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের অনুসারীরা তার দেখাদেখি কিউকম, সিরাজগঞ্জশপ, ধামাকা, ই-অরেঞ্জসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে অফারের পর অফারের একপ্রকার বন্যা বইয়ে দেয়।

অর্ধেকের চেয়েও কম মূল্যে দামি দামি সব পণ্য বিক্রির নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করে। আর মাসের পর মাস অপেক্ষায় থেকেও পণ্য না পেয়ে গ্রাহক নিজেদের প্রতারিত ভাবতে শুরু করেন।

শেষ পর্যন্ত তাদের অনেকের রাস্তায় নামার মধ্যে দিয়ে অগাস্টের শেষ থেকে সামনে আসতে থাকে টাকা আত্মসাতের একের পর এক ঘটনা।

আস্থার সঙ্কট?

২০১৬ সাল থেকে অনলাইনে মোবাইল ডিভাইস ও বিভিন্ন গেজেট বিপণন করে আসছে দেশি প্রতিষ্ঠান পিকাবু। ই কমার্স সঙ্কটের এ ডামাডোলে ধাক্কা খেয়েছে প্রতিষ্ঠানটিও। গত জুলাইয়ের পর থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবসা কমে গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও মনির হোসেইন বলেন, “এখন নতুন কোনো কাস্টমার ই কমার্স থেকে কেনাকাটা করতে আসছে বলে মনে হয় না। সাধারণ ক্রেতার মধ্যে একটা ধারণা হয়ে গেছে যে ই কমার্স মানেই বুঝি প্রতারণা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলব যে আমরা একটা সাময়িক চ্যালেঞ্জ ভোগ করতেছি।

“আরেকটা বিষয় হচ্ছে সাপ্লাইয়াররা আমাদের এখন পণ্য দিতে ভয় পাচ্ছে। কাস্টমার ও সাপ্লাইয়ার- দুই দিক থেকেই আসছে চ্যালেঞ্জটা।“

বাজার স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতিতে বিক্রি ২২ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রেও একটা পেনিক সৃষ্টি হয়েছে। ৩০ শতাংশ কমে গেছে অনলাইন পেমেন্ট।“

ই কমার্সের নতুন নির্দেশিকার বিষয়ে তিনি বলেন, “পিকাবু আগে থেকেই ঢাকার ভেতরে ৩ দিন এবং ঢাকার বাইরে ৫ দিন সময় নিয়ে পণ্য সরবরাহ করে আসছে। ৮০ শতাংশ অর্ডারই নেওয়া হয় ক্যাশ অন ডেলিভারি (পণ্য বুঝে পাওয়ার পর টাকা প্রদান) পদ্ধতিতে। বাকি ২০ শতাংশ অর্ডার আসে প্রি পেমেন্ট পদ্ধতিতে। তাই নতুন নিয়মগুলো ব্যবসায় বিশেষ কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।

“এখন আরও সুবিধা হয়েছে; অসাধু প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ হওয়ার ফলে আমরা এখন স্মুথলি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছি, যেটা আগে যেটা ছিল না।”

নতুন নির্দেশিকায় আছে, অর্ডার নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পণ্য গ্রাহকের হাতে পৌঁছাতে না পারলে টাকা তৃতীয় পক্ষের কাছে জমা পড়ে থাকবে। ঢাকার ভেতরে ৫ দিনের মধ্যে এবং ঢাকার বাইরে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে হবে।

প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এসব উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে উল্লেখ করে মনির হোসেন বলেন, “২০১৬ সাল থেকে পিকাবো শুরু হয়েছে। প্রথম ৩/৪ বছরে কিন্তু একটা গ্রোথ প্রগ্রেস দেখেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান এসে, ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ অন্যান্য অসাধু অফার এনে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি থামিয়ে দিয়েছিল।

“সঠিক পথে ব্যবসা করে আসলে এ ধরনের ‘ডিপ ডিসকাউন্ট’ সম্ভব না। গত দুই বছর একটা ভোগান্তির মধ্যে গেছে।”

আজকের ডিলের ফাহিম মাশরুর নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি তুলে ধরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার্বিক বেচাকেনার ২০ শতাংশেরও কম অগ্রিম জমা বা প্রি-পেমেন্ট হত। এসক্রো সার্ভিস চালু হওয়ার কারণে প্রি-পেমেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

“কারণ যারা অর্ডার নেওয়ার পাঁচ দিন বা এর বেশি সময় পর ডেলিভারি দেয় তাদের ক্ষেত্রেই পেমেন্ট গেটওয়েগুলো যাচাই বাছাই করছে। আমরা ৫ দিনের আগেই পণ্য সরবরাহ করি। তাই আমাদের টাকা আটকা থাকছে না।“

প্রতারিত গ্রাহকরা বিক্ষোভে।

গৃহস্থালী পণ্যের আরেক উদীয়মান প্রতিষ্ঠান চালডাল ডটকমের হেড অব প্রোডাক্ট মোহাম্মদ নাজিমউদদৌলা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ই কমার্স নিয়ে চলমান অস্থির পরিস্থিতির কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব চালডালের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পড়েনি। এ পরিস্থিতি নিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা হই, কিন্তু ওভারঅল বিজনেসে এর প্রভাব নেই।

“যেই ক্যাটাগরির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সমস্যাটা হয়েছে আমরা তার থেকে আলাদা। আমরা পরিপূর্ণভাবে গ্রসারি পণ্য বিপণন করি এবং এক ঘণ্টার মধ্যেই ডেলিভারি দেই। আমাদের অধিকাংশ পেমেন্ট হয় ক্যাশ অন ডেলিভারি মেথডে।“

রান্না ঘরের নিত্যপণ্যসহ দৈনন্দিন কাজের পণ্যের অনলাইন দোকান ‘যাচাই’ এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বলেন, “মানুষের মাঝে ই কমার্স নিয়ে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে এটা বাস্তব। কিন্তু আমরা শুরু থেকেই ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে ব্যবসা করে আসছি বলে আমাদের ওপর চলমান সমস্যার প্রভাব পড়েছে কম।”

তবে নির্দেশিকা আরও আগে করলে হয়ত আজকের আস্থার সঙ্কট আসত না, বলেন তিনিও।

চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় অক্টোবরে এসে প্রায় ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে যাচাই। ‍দুটি ওয়্যার হাউস থেকে বাড়িয়ে এই কয়দিনে ঢাকার বিভিন্ন অংশ ১৪টি ওয়্যার হাউস করার তথ্য দেন তিনি।

সিন্দাবাদের সিইও কামরুল হাসানের দাবি ভোক্তা অধিকারে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কখনও জমা পড়েনি। কিন্তু তারাও সার্বিক পরিস্থিতির শিকার বনে গেছেন।

তিনি বলেন, “একটা ই-কমার্স কোম্পানির সিইও হিসেবে আমিও মানুষের বকাঝকা শুনছি। অনেকেই সন্দেহ করছে, আমরাও আবার কোনো ধান্দাবাজি শুরু করি কিনা? এই আস্থার সঙ্কট কাটাতে সময় লাগবে।”

আরও পড়ুন