করপোরেট কোম্পানিগুলো এই সুযোগ নিয়ে জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পোল্ট্রি সমিতি।
Published : 26 Apr 2024, 12:04 AM
চলমান তাপপ্রবাহের ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে পোল্ট্রি মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএ। এতে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা গত, ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকার মত।
এসব মুরগির মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্রয়লার, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লেয়ার, বাকি ৫ শতাংশ সোনালি মুরগি।
সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলন, গরমের কারণে মুরগির উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত, ডিমের উৎপাদন কমেছে ৪ শতাংশ।
এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে বলেও শঙ্কার কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
দিনে এক লাখ মুরগির মৃত্যুর তথ্য কীভাবে জানলেন, এই প্রশ্নে সুমন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খামার থেকে তথ্য আসছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ২২ লাখ মুরগি খামার থেকে বের হয়। ৫ শতাংশ হিসেব করলে এক লাখ মুরগি হয়।”
করপোরেট কোম্পানিগুলো এই সুযোগ নিয়ে জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মক ভাবে বাড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের উচিত খামারিদের রক্ষা করা।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখতে হবে এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে যাতে বাজারে সংকট সৃষ্টি না হয়।”
মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিড বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিলে প্রান্তিক খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলেও মত দেন সুমন।
মৃত্যু বেশি নরসিংদীতে
সারাদেশের খামারিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিপিএ বলেছে, মুরগির মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি নরসিংদীতে।
এ অঞ্চলে গত ১২ দিনে প্রায় ৩ লাখ, ময়মনসিংহ-গাজিপুর অঞ্চলে ২ লাখ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১ লাখ ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ৫০ হাজার যশোর ১ লাখ ৫০ হাজার, পাবনা ৫০ হাজার, চুয়াডাঙ্গা ১ লাখ, মুরগি মারা গেছে।
এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ হাজার খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রান্তিক খামারিরা কখনো ডিম মজুত করতে পারে না জানিয়ে সুমন বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলো ও ঢাকার তেঁজগাও,কাপ্তান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে মজুত করা শুরু করেছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা বেশি দামে বিক্রি করবে।
দেশে ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিস জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাভাবিক সময়ে উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হলেও এখন তাপমাত্রা বাড়ার কারণে তা কমে ৩ কোটি ৮০ লাখ থেকে ৯০ লাখে নেমেছে।