রাজধানীর গুলশানে নানদুজের একটি রেস্তোরাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা করার বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে নানদুজ কর্তৃপক্ষ।
Published : 03 Jun 2019, 05:33 PM
নানদুজ বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ অপারেশনস পারভেজ হোসাইন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, “র্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত গুলশানে নানদুজের একটি দোকানকে জরিমানা করেছে। কিন্তু কোনো ভেজাল অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার সেখানে পাওয়া যায়নি।”
যে খাবার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তার মেয়াদপূর্তির তারিখ ৩ জুন ছিল জানিয়ে তার একটি ছবিও নানদুজ কর্তৃপক্ষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠিয়েছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নানদুজের দোকানে পচা-বাসি খাবার পাওয়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
তাহলে কী কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করল- সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি বিবৃতিতে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুলশানের ছয়টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
রেস্তোরাঁগুলো হল- নানদুজ, খাজানা, খানা খাজানা ইন্ডিয়ান, বি বি কিউ, স্প্লিট ফায়ার ও সালৎজ রেস্টুরেন্ট।
নানদুজের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নানদুজে মেয়াদোত্তীর্ণ চিকেন পাওয়া গেছে। একদিন আগে মেয়াদ শেষ হলেও তারা ক্রেতাকে সরবরাহের জন্য রেখেছিল।
“তাছাড়া যে সব প্যাকেটে চিকেন থাকে তার বেশ কিছু প্যাকেট ছেঁড়া ছিল। ছেঁড়া প্যাকেটে থাকা খাবার ব্যবহারের অনুপযোগী। কিছু সসের প্যাকেটও ফেটে গিয়েছিল। এগুলো ফেলে দেওয়ার কথা।”
ওই রেস্তোরাঁ থেকে ১২ থেকে ১৪ কেজি চিকেন জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “এসব কারণে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।”