জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে নতুন আইন করার প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।
Published : 30 Apr 2019, 10:05 PM
এ আইন কার্যকর হলে জীবন বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা হবে। আর সাধারণ বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার ‘বীমা করপোরেশন বিল- ২০১৯’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
১৯৩৮ সালের ইনসুরেন্স করপোরেশন অ্যাক্ট রহিত করে নতুন এই আইন করতে গত ৬ মার্চ বিলটি সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী।
পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এতদিন জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ২০ কোটি টাকা।
সংসদে উত্থাপিত বিলে জীবন বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। আর সাধারণ বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়।
যাচাই বাছাইয়ের সময় সংসদীয় কমিটি সাধারণ বীমার অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করে। সেটাই সংসদে পাস হয়েছে।
নতুন আইনে জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ডের পরিচালকের সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ১১ জন করা হয়েছে।
১৯৭৩ সালের আইনে সরকারি সম্পর্কিত ৫০ শতাংশ বীমা বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের কাছে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা কর্পোরেশন অথবা অন্য কোনো বেসরকারি কোম্পানির কাছে করার বিধান ছিল।
নতুন আইনে কোনো সরকারি সম্পত্তি অথবা সরকারি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনো ঝুঁকি বা দায় সম্পর্কিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা ব্যবসা সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের শত ভাগ অবলিখন (আন্ডারাইট) করে তার ৫০ শতাংশ নিজের কাছে রেখে অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সকল বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বণ্টন করার বিধান রাখা হয়েছে।