রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন মধ্যরাত থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
Published : 27 Jun 2017, 09:49 PM
এ সময় সারাদেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহও বন্ধ থাকবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গণসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলবে। এতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় তিতাস যেসব সিএনজি ফিলিং স্টেশনে (সারা দেশের মোট স্টেশনের ৬০ শতাংশ) গ্যাস সরবরাহ করে, সেগুলোতে গ্যাস দেওয়া বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে সারা দেশের ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
এই ২৪ ঘণ্টা বাসা-বাড়িতে সীমিত আকারে গ্যাস সরবরাহ করা হবে বলে তিতাসের কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান।
ঈদের ছুটির সময় কল-কারখানায় গ্যাসের ব্যবহার কম থাকায় গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালে একই কারণে ঈদের দিন রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টা ফিলিং স্টেশনগুলো গ্যাস পায়নি।
এর ফলে ওই রাতেই ফিলিং স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা দেয়। পরদিনও বাইরে বেরিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে।
এবারও সিএনজি পাম্প বন্ধ থাকলে ঈদ ফেরত মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর।
“ঈদে বাড়ি যাওয়া এবং বাড়ি থেকে ফেরার সুবিধার জন্য সরকার ২৪ ঘণ্টা পাম্প খোলা রাখার অনুমতি দিল। আবার এই সময়ের মধ্যেই সারাদেশে পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। এ কারণে মানুষের অনেক দুর্ভোগ হবে।”
এরইমধ্যে অনেকের পাম্পে ভিড় করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্যাসক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঈদের ভিড় শেষ হওয়ার পর করলে ভালো হত।”